Hi

১২:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ২১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লাল চাঁদ হত্যার বিচারে গর্জে উঠল রাঙ্গামাটি বর্বরতার বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার রাজপথ কাঁপানো মিছিল

রাজধানীর মিটফোর্ড এলাকায় লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ নামের এক ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে রাঙ্গামাটিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ছাত্র ও সাধারণ জনতা।

১২ জুলাই শনিবার বিকেলে বনরূপা জামে মসজিদের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়। এতে অংশগ্রহণকারীরা হাতে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার নিয়ে সোচ্চার হন। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে শহর “খুন, চাঁদাবাজি আর নয়! “সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই! “বর্বরতার বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজ ঐক্যবদ্ধ!

সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা নুরুল আলম। এতে বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা মোঃ ইমাম হোছাইন ইমু, কৃষি ইনস্টিটিউটের ছাত্রনেতা মোঃ জালাল উদ্দীন, রেড জুলাইয়ের সহ-মুখপাত্র সাদিয়া ইসলাম সায়েদা, এনসিপি রাঙ্গামাটির যুগ্ম সমন্বয়কারী জাকির হোসেন, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ওয়াহিদুজ্জামান রোমান প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, এই নৃশংসতা ও বিচারহীনতার বাংলাদেশ দেখার জন্য আমাদের ছাত্র জনতা আপনাদের ক্ষমতায় বসায়নি। চাঁদা না পেয়ে খুন ও ধর্ষণের মতো অপরাধ ঘটছে। এই বাংলাদেশ গঠনের জন্য জুলাই অভ্যুত্থানে আমাদের ভাই-বোনরা নিজেদের প্রাণ উৎসর্গ করেনি।

তারা আরও বলেন, যদি এই নতুন বাংলাদেশকে শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে গড়ে তুলতে ব্যর্থ হন, তবে ক্ষমতায় থাকার কোনো নৈতিক অধিকার আপনাদের নেই।

বক্তারা লাল চাঁদের হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন পায়ের রগ কেটে হত্যা এটা কোনো সভ্য সমাজে কল্পনাও করা যায় না। বিচারহীনতার সংস্কৃতিই এসব নৃশংসতার মূল কারণ। আমরা এই বর্বরতার বিরুদ্ধে ‘নো টলারেন্স’ ঘোষণা করছি।

সমাবেশ থেকে সর্বসম্মতভাবে দাবি জানানো হয়
যে রাষ্ট্রে খুনের বিচার হয় না, সেই রাষ্ট্রে কারও নিরাপত্তা নেই। আমরা লাল চাঁদ হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব এবং খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

ট্যাগ :
লেখক সম্পর্কে তথ্য

জনপ্রিয়

ঝিনাইদহে  হুলস্থুল! আ.লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ‘বিগ শট’ নেতারা হাজতে! পুরনো ‘ভাঙচুর’ মামলায় কাঁপছে রাজনীতি! 

লাল চাঁদ হত্যার বিচারে গর্জে উঠল রাঙ্গামাটি বর্বরতার বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার রাজপথ কাঁপানো মিছিল

আপডেট : ০১:৫২:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

রাজধানীর মিটফোর্ড এলাকায় লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ নামের এক ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে রাঙ্গামাটিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ছাত্র ও সাধারণ জনতা।

১২ জুলাই শনিবার বিকেলে বনরূপা জামে মসজিদের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়। এতে অংশগ্রহণকারীরা হাতে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার নিয়ে সোচ্চার হন। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে শহর “খুন, চাঁদাবাজি আর নয়! “সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই! “বর্বরতার বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজ ঐক্যবদ্ধ!

সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা নুরুল আলম। এতে বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা মোঃ ইমাম হোছাইন ইমু, কৃষি ইনস্টিটিউটের ছাত্রনেতা মোঃ জালাল উদ্দীন, রেড জুলাইয়ের সহ-মুখপাত্র সাদিয়া ইসলাম সায়েদা, এনসিপি রাঙ্গামাটির যুগ্ম সমন্বয়কারী জাকির হোসেন, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ওয়াহিদুজ্জামান রোমান প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, এই নৃশংসতা ও বিচারহীনতার বাংলাদেশ দেখার জন্য আমাদের ছাত্র জনতা আপনাদের ক্ষমতায় বসায়নি। চাঁদা না পেয়ে খুন ও ধর্ষণের মতো অপরাধ ঘটছে। এই বাংলাদেশ গঠনের জন্য জুলাই অভ্যুত্থানে আমাদের ভাই-বোনরা নিজেদের প্রাণ উৎসর্গ করেনি।

তারা আরও বলেন, যদি এই নতুন বাংলাদেশকে শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে গড়ে তুলতে ব্যর্থ হন, তবে ক্ষমতায় থাকার কোনো নৈতিক অধিকার আপনাদের নেই।

বক্তারা লাল চাঁদের হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন পায়ের রগ কেটে হত্যা এটা কোনো সভ্য সমাজে কল্পনাও করা যায় না। বিচারহীনতার সংস্কৃতিই এসব নৃশংসতার মূল কারণ। আমরা এই বর্বরতার বিরুদ্ধে ‘নো টলারেন্স’ ঘোষণা করছি।

সমাবেশ থেকে সর্বসম্মতভাবে দাবি জানানো হয়
যে রাষ্ট্রে খুনের বিচার হয় না, সেই রাষ্ট্রে কারও নিরাপত্তা নেই। আমরা লাল চাঁদ হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব এবং খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।