🔥 ব্রেকিং: ফেনীতে ‘পাওনা টাকা’ চাইতে গিয়ে ব্যবসায়ী বেধড়ক মারধর! যুবদল নেতার বিরুদ্ধে তোলপাড় করা অভিযোগ – ভাইরাল ভিডিওতে চাঞ্চল্য! 🔥

আপডেট : ০৫:১০:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫
৫৮৮ জন দেখেছে

ফেনী, ১৩ জুলাই ২০২৫, সকাল ১১:৫০: ফেনীর পরশুরামে এক ভয়ংকর ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে! পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ী সুমন হোসেনকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে সম্প্রতি দল থেকে অব্যাহতি পাওয়া স্থানীয় যুবদল নেতার বিরুদ্ধে! শনিবার (১২ জুলাই) বিকেলে ভুক্তভোগীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এই নির্মম ঘটনাটি ঘটে। রাতেই মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।

পরশুরাম উত্তর বাজারের ব্যবসায়ী সুমনের অভিযোগ, বকেয়া টাকা চাইতে গেলে দক্ষিণ কোলাপাড়া ৫ নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি মো. সায়েম এবং তার ভাতিজা ফয়সাল সহ কয়েকজন তাকে নির্মমভাবে মারধর করেন।

ভাইরাল ভিডিওতে লোমহর্ষক দৃশ্য:

৫ মিনিট ৪০ সেকেন্ডের সেই ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, যুবদল নেতা সায়েম ও তার ভাতিজা ফয়সালসহ কয়েকজন ওই ব্যবসায়ীকে বর্বরোচিতভাবে টানাহেঁচড়া করছেন। একপর্যায়ে টানতে টানতে তার গায়ের পোশাক খুলে ফেলা হয় এবং তাকে অবিরত মারধর করা হয়। বার বার টেনে সুমনকে দোকান থেকে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছিল। এই ভিডিও ফুটেজ দেখে সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় বইছে।

ভুক্তভোগী সুমন হোসেন বর্তমানে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। তিনি জানিয়েছেন, পরিবারের সঙ্গে কথা বলে মামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

দল থেকে অব্যাহতি, তবুও বিতর্ক:

এদিকে, অভিযুক্ত যুবদলের ওয়ার্ড সভাপতি মো. সায়েমকে গত ২৫ জুন অর্থাৎ ১৭ দিন আগেই দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে পরশুরাম পৌর যুবদলের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। পরশুরাম পৌর যুবদলের আহ্বায়ক মোস্তফা খোকন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মিছফাকুছ ছামাদ রনি ও যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আবছার চৌধুরী কমল সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, “দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ফেনী জেলা যুবদলের নির্দেশক্রমে পরশুরাম পৌর যুবদলের ৫ নং ওয়ার্ডের আহ্বায়ক মো. সায়েমকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।”

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মো. সায়েমের মোবাইলে বার বার কল দেওয়া হলেও ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

দল থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পরও একজন সাবেক নেতার এমন কাণ্ড কি রাজনৈতিক দলগুলোর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণহীনতাকে ইঙ্গিত করে? মিটফোর্ড, দৌলতপুর, টেকনাফের পর এবার ফেনীতেও যুবদল নেতার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ – দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে জনমনে প্রশ্ন ক্রমশ বাড়ছে। এই ঘটনার বিচার কি হবে? সেটাই এখন দেখার বিষয়।