নয়াদিল্লি: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক বুধবার থেকে ভারতের ওপর কার্যকর হয়েছে। এর ফলে ভারতের ওপর আরোপিত মোট শুল্কের হার এখন ৫০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা অন্য যে কোনো দেশের তুলনায় অনেক বেশি। নতুন শুল্ক কার্যকর হওয়ায় এর সবচেয়ে বড় প্রভাব দেখা যাচ্ছে ভারতের বস্ত্রখাতে। দেশের অনেক বড় শহরে বস্ত্র উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে।

ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনের সভাপতি এস সি রালহান জানান, উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি এবং তীব্র প্রতিযোগিতার কারণে তিরুপুর, নয়ডা এবং সুরাটের মতো গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে বস্ত্র উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। তিনি বলেন, “ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশে কম খরচে পোশাক তৈরি হচ্ছে। আমরা এসব প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে পিছিয়ে আছি।”

অন্যান্য খাতে প্রভাব:

রালহানের মতে, সামুদ্রিক খাবার বিশেষ করে চিংড়ি রপ্তানিতেও বড় ধাক্কা আসছে। যেহেতু ভারতের সামুদ্রিক খাদ্য রপ্তানির প্রায় ৪০ শতাংশই যুক্তরাষ্ট্র-নির্ভর, তাই এই শুল্কের জেরে সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যাহত হওয়া এবং মাছচাষীদের দুর্দশার মতো অনেক ঝুঁকি রয়েছে। তিনি আরও বলেন, চীন, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, ফিলিপাইন এবং দক্ষিণ-পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর তুলনায় ভারতীয় পণ্য প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে রয়েছে।

কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রির (সিআইটিআই) সভাপতি রাকেশ মেহরা বলেন, তাঁরা সরকারের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তার অপেক্ষায় রয়েছেন। তিনি বলেন, “পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে আমরা আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে দৃঢ় সমর্থন চাই এবং কাঁচামালের ক্ষেত্রে নীতি পর্যায়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে চাই।”