অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামানের বক্তব্য: জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও সাংবিধানিক পুনর্গঠন
অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও সাংবিধানিক পুনর্গঠন: তরুণদের আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য রাখেন। তার বক্তব্যের মূল বিষয়বস্তু ছিল জুলাই গণঅভ্যুত্থান এবং এর মাধ্যমে সৃষ্ট নতুন বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা।
বক্তব্যের মূল পয়েন্টগুলো হলো:
- জুলাই ও ১৯৭১-এর চেতনা: তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে সংযুক্ত করেছেন। তার মতে, উভয় ক্ষেত্রেই স্বৈরাচারী সরকারের পতন হয়েছে এবং একটি স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
- সাংবিধানিক পুনর্গঠন: তিনি একটি নতুন সংবিধানের স্বপ্ন দেখেন, যেখানে কোনো মা বা বোনকে স্বামী-সন্তানের জন্য রাতে দুশ্চিন্তা করতে হবে না, কোনো কার্টুনিস্টকে জেলে মারা যেতে হবে না, এবং গুমের মতো ঘটনা আর ঘটবে না।
- জুলাইয়ের অপরাধের বিচার: আসাদুজ্জামান বলেন, গত ১৭ বছরে ৩০ হাজার মানুষকে গুম করা হয়েছে। তিনি এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত সবার বিচারের আওতায় আনার কথা বলেন। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন যে, ‘আমার ভোট আমি দেব যাকে খুশি তাকে দিব’—এই নীতি প্রতিষ্ঠা করতে সব বাধা মোকাবিলা করা হবে।
- গণঅভ্যুত্থানের ক্ষয়ক্ষতি: তিনি জানান, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ১৫ শতাধিক মানুষ শহীদ হয়েছেন এবং ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ স্থায়ীভাবে পঙ্গুত্ববরণ করেছেন।
- ১৭ বছরের নিপীড়ন: তিনি অভিযোগ করেন যে, গত ১৭ বছরে ৫ হাজারেরও বেশি মানুষ শহীদ হয়েছে এবং ৬০ লাখ মানুষ বিনাদোষে রাজনৈতিক মামলার শিকার হয়েছে, যার ৯৯ শতাংশ মামলার বাদী ছিল পুলিশ।
অ্যাটর্নি জেনারেল তার বক্তব্যে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের রক্তের মর্যাদা রক্ষা এবং সাংবিধানিকভাবে একটি উন্নত বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।