Hi

১০:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ২০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

“আন্দোলনের নামে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়েছে”: মাহফুজ

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট : ০৪:২২:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
  • ৫৬৫ জন দেখেছে

আজ এক সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, “আমি মনে করি, যারা জুলাই মাসের গণআন্দোলনের সঙ্গে প্রকৃতভাবে যুক্ত ছিলেন, তারা আমার উপর কোনো আক্রমণ করেননি। বরং যারা এই আন্দোলনের আড়ালে উদ্দেশ্যমূলকভাবে পরিস্থিতি গোলমেলে করার চেষ্টা করেছেন, তারাই এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছেন।”

তিনি আরও জানান, আন্দোলনের প্রধান প্রতিনিধিদের সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী বৈঠকের পরিকল্পনা ছিল—গতকাল রাত, আজ রাত ও আগামীকাল সকালে। কিন্তু তারা কোনো বৈঠকেই অংশ নেননি। বরং কোনো পূর্বঘোষণা ছাড়া কিছু অংশ হঠাৎ করে পুরান ঢাকা থেকে কাকরাইল পর্যন্ত শোভাযাত্রা করে, যা ছিল সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত।

মাহফুজ আলম বলেন, “আজ থেকে আমরা কঠোর অবস্থান নেব। যথেষ্ট সহনশীলতা দেখানো হয়েছে। এই ধরণের কর্মকাণ্ড আর বরদাস্ত করা হবে না। যেসব ব্যক্তি গোপনে এই পরিস্থিতি তৈরি করেছে, শিক্ষার্থীদের উচিত তাদের আলাদা করে চিহ্নিত করা এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করা।”

তিনি দাবি করেন, “আমি আজ এখানে আসার পর লক্ষ্য করি, একটি নির্দিষ্ট অংশ আগে থেকেই বিভিন্ন স্থানে ঢুকে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করেছে। আমি কারও নাম বলছি না, তবে প্রশাসন ও সংবাদমাধ্যমের দায়িত্ব—তাদের রাজনৈতিক যোগসূত্র খুঁজে বের করা।”

তিনি বলেন, গত আট মাস ধরে একটি গোষ্ঠী তার বিরুদ্ধে নেতিবাচক মানসিকতা পোষণ করে আসছে, এবং আজকের ঘটনাও সেই ধারাবাহিকতার অংশ হতে পারে। “আমি কেবল সন্দেহ প্রকাশ করছি,” বলেন তিনি।

আন্দোলনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, “যখন শিক্ষক বা শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামেন, তখন প্রথমে তাদের সঙ্গে সংলাপের চেষ্টা করা উচিত। সরাসরি কোনো রকম চাপ প্রয়োগ করা উচিত নয়। এটি জাতীয়ভাবে একটি স্পর্শকাতর বিষয়।”

তিনি জানান, আজকের ঘটনায় কয়েকজন শিক্ষক আহত হয়েছেন, যা নিয়ে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, “আপনাদের দাবি যদি ন্যায্য হয়, সরকার শুনতে এবং কথা বলতে প্রস্তুত।”

তিনি বলেন, “আমি আজকে প্রায় ৩০ মিটার দূরত্বে গিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তারা সেই সম্মান দেখাতে পারেনি। আমরা চাই, সরকার যেন প্রমাণ করতে পারে যে সে সবাইকে শোনার এবং যৌক্তিক সমাধানের চেষ্টা করে।”

আলোচনার পথ খোলা রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “শাহবাগ বা কাকরাইলের পথে নামার আগে যেন ছাত্ররা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সংলাপের পথে অগ্রাধিকার দেয়। আলোচনার মাধ্যমেই বহু জটিলতা দূর করা সম্ভব।”

ট্যাগ :
লেখক সম্পর্কে তথ্য

হাজারো শঙ্খর ধ্বনি ও প্রদীপের আলোয় বিতর্কিত পুজোর– প্রতিমার নিরঞ্জন শোভাযাত্রা।

“আন্দোলনের নামে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়েছে”: মাহফুজ

আপডেট : ০৪:২২:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

আজ এক সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, “আমি মনে করি, যারা জুলাই মাসের গণআন্দোলনের সঙ্গে প্রকৃতভাবে যুক্ত ছিলেন, তারা আমার উপর কোনো আক্রমণ করেননি। বরং যারা এই আন্দোলনের আড়ালে উদ্দেশ্যমূলকভাবে পরিস্থিতি গোলমেলে করার চেষ্টা করেছেন, তারাই এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছেন।”

তিনি আরও জানান, আন্দোলনের প্রধান প্রতিনিধিদের সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী বৈঠকের পরিকল্পনা ছিল—গতকাল রাত, আজ রাত ও আগামীকাল সকালে। কিন্তু তারা কোনো বৈঠকেই অংশ নেননি। বরং কোনো পূর্বঘোষণা ছাড়া কিছু অংশ হঠাৎ করে পুরান ঢাকা থেকে কাকরাইল পর্যন্ত শোভাযাত্রা করে, যা ছিল সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত।

মাহফুজ আলম বলেন, “আজ থেকে আমরা কঠোর অবস্থান নেব। যথেষ্ট সহনশীলতা দেখানো হয়েছে। এই ধরণের কর্মকাণ্ড আর বরদাস্ত করা হবে না। যেসব ব্যক্তি গোপনে এই পরিস্থিতি তৈরি করেছে, শিক্ষার্থীদের উচিত তাদের আলাদা করে চিহ্নিত করা এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করা।”

তিনি দাবি করেন, “আমি আজ এখানে আসার পর লক্ষ্য করি, একটি নির্দিষ্ট অংশ আগে থেকেই বিভিন্ন স্থানে ঢুকে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করেছে। আমি কারও নাম বলছি না, তবে প্রশাসন ও সংবাদমাধ্যমের দায়িত্ব—তাদের রাজনৈতিক যোগসূত্র খুঁজে বের করা।”

তিনি বলেন, গত আট মাস ধরে একটি গোষ্ঠী তার বিরুদ্ধে নেতিবাচক মানসিকতা পোষণ করে আসছে, এবং আজকের ঘটনাও সেই ধারাবাহিকতার অংশ হতে পারে। “আমি কেবল সন্দেহ প্রকাশ করছি,” বলেন তিনি।

আন্দোলনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, “যখন শিক্ষক বা শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামেন, তখন প্রথমে তাদের সঙ্গে সংলাপের চেষ্টা করা উচিত। সরাসরি কোনো রকম চাপ প্রয়োগ করা উচিত নয়। এটি জাতীয়ভাবে একটি স্পর্শকাতর বিষয়।”

তিনি জানান, আজকের ঘটনায় কয়েকজন শিক্ষক আহত হয়েছেন, যা নিয়ে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, “আপনাদের দাবি যদি ন্যায্য হয়, সরকার শুনতে এবং কথা বলতে প্রস্তুত।”

তিনি বলেন, “আমি আজকে প্রায় ৩০ মিটার দূরত্বে গিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তারা সেই সম্মান দেখাতে পারেনি। আমরা চাই, সরকার যেন প্রমাণ করতে পারে যে সে সবাইকে শোনার এবং যৌক্তিক সমাধানের চেষ্টা করে।”

আলোচনার পথ খোলা রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “শাহবাগ বা কাকরাইলের পথে নামার আগে যেন ছাত্ররা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সংলাপের পথে অগ্রাধিকার দেয়। আলোচনার মাধ্যমেই বহু জটিলতা দূর করা সম্ভব।”