‘পাবনার আটঘরিয়ায় জামায়াতের কোনো মুয়াজ্জিন আজান দিতে পারবে না, জামায়াতের কোনো ঈমাম নামাজ পড়াতে পারবে না’ বলে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও পাবনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব।
শনিবার (১৭ মে ২০২৫) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার এই ধরনের একটি ভিডিও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই দিন বিকেলে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আটঘরিয়ায় জামায়াত-বিএনপির সংঘর্ষে আহত নেতাকর্মীদের দেখতে গিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।
ভিডিওতে হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, দল যে সিদ্ধান্ত নেবে, তা তো নেবেই এবং সে বিষয়ে তার কোনো দ্বিমত নেই। তবে তিনি আজ স্পষ্ট করে বলতে চান যে ভবিষ্যতে আটঘরিয়ার কোনো মসজিদে জামায়াতের কোনো মুয়াজ্জিন আজান দিতে পারবে না এবং জামায়াতের কোনো ইমাম ইমামতি করতে পারবে না। তিনি গত শুক্রবার দেবোত্তর বাজার জামে মসজিদে জুম্মার নামাজ পড়তে না পারার ঘটনার উল্লেখ করে বলেন, মসজিদে তালা দিয়ে পালানো হয়েছে, যা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক ঘটনা।
হাবিব আরও বলেন, জামায়াত মিথ্যা কথা বলে এবং তাদের পেছনে নামাজ হয় না। তিনি তাদেরকে স্বাধীনতা বিরোধী ও ‘রগ কাটা’ গোষ্ঠী হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং বলেন তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, বরং পাকিস্তানের দোসর ছিল। তাই তিনি আটঘরিয়ার জনগণকে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
জামায়াতের অফিসে কোরআন ও হাদিস পোড়ানোর প্রসঙ্গে হাবিব বলেন, বিএনপির কোনো নেতাকর্মী কোরআন পোড়ায়নি। বরং জামায়াতের লোকেরাই কোরআন পুড়িয়েছে। তিনি দায়িত্ব নিয়ে বলেন, বিএনপির কোনো নেতাকর্মী কোরআন পোড়াতে পারে না। যদি কেউ বিএনপির নেতাকর্মীদের কোরআন পোড়ানোর ভিডিও ফুটেজ দেখাতে পারে, তাহলে তিনি সমস্ত দায়ভার নেবেন। পাশাপাশি তাদের ভাঙচুর করা বিএনপির একশটি মোটরসাইকেলের ক্ষতিপূরণ দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে পাবনা জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক আবু তালেব মণ্ডলসহ একাধিক দায়িত্বশীল নেতার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা ফোন ধরেননি, ফলে তাদের কোনো মন্তব্য জানা যায়নি।