Hi

০৬:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ২০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিগারেটের দাম সর্বনিম্ন ৯০ টাকা করার দাবিতে মানববন্ধন

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট : ১০:০১:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
  • ৫৬৪ জন দেখেছে

এবার সিগারেটের নিম্ন ও মধ্যম স্তর একীভূত করে প্রতি ১০ শলাকা প্যাকেটের সর্বনিম্ন দাম ৯০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে বলে দাবি জানিয়েছে ডর্প যুব ফোরাম। আসন্ন ২০২৫–২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে সকল তামাক পণ্যের দাম ও কর বৃদ্ধি এবং তামাক করণীতি সংস্কারের দাবি জানায় তারা। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে অংশ নেয় শতাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

এদিকে মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে সিগারেটের সহজলভ্যতা ও সস্তা মূল্য তরুণদের মধ্যে ধূমপানের প্রবণতা বাড়িয়ে তুলছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। বর্তমানে দেশের ১৮ শতাংশ তরুণ ও প্রাপ্তবয়স্ক ধূমপান করে। ফলে বছরে তামাকজনিত রোগে প্রায় ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করছে।

ঢাবি শিক্ষার্থী ইমন বলেন, বর্তমানে বাজারে প্রচলিত সিগারেটের চারটি মূল্যস্তরের মধ্যে নিম্ন ও মধ্যম স্তরের সিগারেটের বিক্রি বৃদ্ধি পেয়েছে। সিগারেট বাজারের সিংহভাগ এই দুই স্তরের দখলে রয়েছে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় নিম্ন ও মধ্যম স্তর একীভূত করে প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটের প্যাকেটের সর্বনিম্ন দাম ৯০ টাকা নির্ধারণ করলে তরুণ প্রজন্ম ধূমপান শুরু করতে নিরুৎসাহিত হবে।

যুব প্রতিনিধি সিন্থিয়া বলেন, আমাদের দাবি বাস্তবায়ন হলে তামাকের ভয়াবহ করাল গ্রাস থেকে রক্ষা পাবে অন্তত ১৭ লাখ তরুণ। তামাকজনিত কারণে যেসব অকাল মৃত্যু ঘটে, তা উল্লেখযোগ্য হারে কমানো সম্ভব হবে। একইসাথে সরকার অতিরিক্ত ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আয় করতে পারবে, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৪৩ শতাংশ বেশি।

ডর্প তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের প্রতিনিধি ডা. সিলভানা ইশরাত বলেন, ২০১৬ সালের তুলনায় বর্তমানে মানুষের গড় আয় দ্বিগুণ হয়েছে এবং মূল্যস্ফীতিও বেড়েছে, কিন্তু নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম সে হারে বাড়েনি। এতে এই পণ্য আরও সহজলভ্য হয়ে উঠেছে। করণীতি সংস্কার ছাড়া তামাক নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়।

এদিকে মানববন্ধন থেকে সরকারকে আহ্বান জানানো হয়, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে সিগারেটের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত করে একটি শক্তিশালী ও জনস্বাস্থ্যবান্ধব তামাক করণীতি গড়ে তোলার জন্য। সরকার তরুণদের কণ্ঠস্বরকে গুরুত্ব দিয়ে আগামীর প্রজন্মের জন্য একটি তামাকমুক্ত, সুস্থ ও টেকসই বাংলাদেশ গঠনে কার্যকর সিদ্ধান্ত নেবে আশাবাদ ব্যক্ত করে ডর্প যুব ফোরাম।

ট্যাগ :
লেখক সম্পর্কে তথ্য

শৈলকুপায় বজ্রপাতে ১ কৃষকের মৃত্যু

সিগারেটের দাম সর্বনিম্ন ৯০ টাকা করার দাবিতে মানববন্ধন

আপডেট : ১০:০১:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

এবার সিগারেটের নিম্ন ও মধ্যম স্তর একীভূত করে প্রতি ১০ শলাকা প্যাকেটের সর্বনিম্ন দাম ৯০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে বলে দাবি জানিয়েছে ডর্প যুব ফোরাম। আসন্ন ২০২৫–২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে সকল তামাক পণ্যের দাম ও কর বৃদ্ধি এবং তামাক করণীতি সংস্কারের দাবি জানায় তারা। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে অংশ নেয় শতাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

এদিকে মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে সিগারেটের সহজলভ্যতা ও সস্তা মূল্য তরুণদের মধ্যে ধূমপানের প্রবণতা বাড়িয়ে তুলছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। বর্তমানে দেশের ১৮ শতাংশ তরুণ ও প্রাপ্তবয়স্ক ধূমপান করে। ফলে বছরে তামাকজনিত রোগে প্রায় ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করছে।

ঢাবি শিক্ষার্থী ইমন বলেন, বর্তমানে বাজারে প্রচলিত সিগারেটের চারটি মূল্যস্তরের মধ্যে নিম্ন ও মধ্যম স্তরের সিগারেটের বিক্রি বৃদ্ধি পেয়েছে। সিগারেট বাজারের সিংহভাগ এই দুই স্তরের দখলে রয়েছে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় নিম্ন ও মধ্যম স্তর একীভূত করে প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটের প্যাকেটের সর্বনিম্ন দাম ৯০ টাকা নির্ধারণ করলে তরুণ প্রজন্ম ধূমপান শুরু করতে নিরুৎসাহিত হবে।

যুব প্রতিনিধি সিন্থিয়া বলেন, আমাদের দাবি বাস্তবায়ন হলে তামাকের ভয়াবহ করাল গ্রাস থেকে রক্ষা পাবে অন্তত ১৭ লাখ তরুণ। তামাকজনিত কারণে যেসব অকাল মৃত্যু ঘটে, তা উল্লেখযোগ্য হারে কমানো সম্ভব হবে। একইসাথে সরকার অতিরিক্ত ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আয় করতে পারবে, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৪৩ শতাংশ বেশি।

ডর্প তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের প্রতিনিধি ডা. সিলভানা ইশরাত বলেন, ২০১৬ সালের তুলনায় বর্তমানে মানুষের গড় আয় দ্বিগুণ হয়েছে এবং মূল্যস্ফীতিও বেড়েছে, কিন্তু নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম সে হারে বাড়েনি। এতে এই পণ্য আরও সহজলভ্য হয়ে উঠেছে। করণীতি সংস্কার ছাড়া তামাক নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়।

এদিকে মানববন্ধন থেকে সরকারকে আহ্বান জানানো হয়, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে সিগারেটের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত করে একটি শক্তিশালী ও জনস্বাস্থ্যবান্ধব তামাক করণীতি গড়ে তোলার জন্য। সরকার তরুণদের কণ্ঠস্বরকে গুরুত্ব দিয়ে আগামীর প্রজন্মের জন্য একটি তামাকমুক্ত, সুস্থ ও টেকসই বাংলাদেশ গঠনে কার্যকর সিদ্ধান্ত নেবে আশাবাদ ব্যক্ত করে ডর্প যুব ফোরাম।