Hi

১২:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ২০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তীব্র তাপদাহের পর অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টি পাঁচবিবিতে

জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে তীব্র তাপদাহের পর অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টি নেমেছে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর এই কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি জনজীবন ও প্রাণীকূলে প্রশান্তি এনে দিয়েছে।

গত ১৬ জুন রবিবার বেলা ৩টা থেকে পাঁচবিবিতে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পড়তে শুরু করে, যা তীব্র গরম থেকে মানুষকে মুক্তি দেয়। এর আগে গত কয়েকদিন ধরে চলা প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে জনজীবন ও প্রাণীকূল অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। কৃষকরা আমন ধান আবাদের জন্য জমি প্রস্তুত করতে পারছিলেন না এবং শ্রমজীবী মানুষ রোজগারে ভোগান্তিতে পড়েছিলেন। এই স্বস্তির বৃষ্টির পর কিছুটা হলেও প্রশান্তি ফিরে এসেছে।

উপজেলার বারোয়ারী কেন্দ্রীয় মন্দিরের পাশে পান দোকানদার সানোয়ার হোসেন অনেকটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে বলেন, “গত ১ সপ্তাহ ধরে তীব্র রোদ আর গরমে জীবন বিষিয়ে উঠেছিল। দোকানে বসে থাকা যাচ্ছিল না। আজ বৃষ্টিতে একটু স্বস্তি নেমে আসলো।”

উপজেলার ধরঞ্জী গ্রামের কৃষক আজাদ আলী জানান, “বৃষ্টির অভাবে আমন ধানের বীজতলা রোপণ করতে পারছিলাম না। সেই সঙ্গে জমিও প্রস্তুত করতে পারছিলাম না। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় সময় পার করছিলাম।”

পাঁচবিবি বাজারের পোল্ট্রি মুরগি বিক্রেতা রিপন আকন্দ বলেন, “গত কয়েক দিনের প্রচণ্ড গরমে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দিনে অন্তত ৩-৪টি করে ব্রয়লার মুরগি মারা গেছে। এতে করে লোকসানের মুখে পড়ে গেছি। তবে আজ কিছুটা বৃষ্টি নামার পর জনজীবনের স্বস্তি নেমেছে।”

দীর্ঘ খরার পর এই বৃষ্টি স্থানীয় অর্থনীতি, বিশেষ করে কৃষিখাতে, কিছুটা হলেও আশার আলো দেখাচ্ছে।

ট্যাগ :
লেখক সম্পর্কে তথ্য

শিক্ষকদের পায়ে ফুল, আর সেই সঙ্গে ‘শিক্ষাগুরুর মর্যাদা’ নিয়ে ঝড় তোলা পাঠচক্র! ঝিনাইদহ বন্ধুসভার এক অন্যরকম শিক্ষক দিবস উদযাপন, যা মন জয় করেছে সবার! ঝিনাইদহ: ‘শিক্ষাগুরুর মর্যাদা’ নিয়ে কবিতা-আলোচনা!

তীব্র তাপদাহের পর অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টি পাঁচবিবিতে

আপডেট : ১০:০২:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে তীব্র তাপদাহের পর অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টি নেমেছে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর এই কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি জনজীবন ও প্রাণীকূলে প্রশান্তি এনে দিয়েছে।

গত ১৬ জুন রবিবার বেলা ৩টা থেকে পাঁচবিবিতে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পড়তে শুরু করে, যা তীব্র গরম থেকে মানুষকে মুক্তি দেয়। এর আগে গত কয়েকদিন ধরে চলা প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে জনজীবন ও প্রাণীকূল অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। কৃষকরা আমন ধান আবাদের জন্য জমি প্রস্তুত করতে পারছিলেন না এবং শ্রমজীবী মানুষ রোজগারে ভোগান্তিতে পড়েছিলেন। এই স্বস্তির বৃষ্টির পর কিছুটা হলেও প্রশান্তি ফিরে এসেছে।

উপজেলার বারোয়ারী কেন্দ্রীয় মন্দিরের পাশে পান দোকানদার সানোয়ার হোসেন অনেকটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে বলেন, “গত ১ সপ্তাহ ধরে তীব্র রোদ আর গরমে জীবন বিষিয়ে উঠেছিল। দোকানে বসে থাকা যাচ্ছিল না। আজ বৃষ্টিতে একটু স্বস্তি নেমে আসলো।”

উপজেলার ধরঞ্জী গ্রামের কৃষক আজাদ আলী জানান, “বৃষ্টির অভাবে আমন ধানের বীজতলা রোপণ করতে পারছিলাম না। সেই সঙ্গে জমিও প্রস্তুত করতে পারছিলাম না। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় সময় পার করছিলাম।”

পাঁচবিবি বাজারের পোল্ট্রি মুরগি বিক্রেতা রিপন আকন্দ বলেন, “গত কয়েক দিনের প্রচণ্ড গরমে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দিনে অন্তত ৩-৪টি করে ব্রয়লার মুরগি মারা গেছে। এতে করে লোকসানের মুখে পড়ে গেছি। তবে আজ কিছুটা বৃষ্টি নামার পর জনজীবনের স্বস্তি নেমেছে।”

দীর্ঘ খরার পর এই বৃষ্টি স্থানীয় অর্থনীতি, বিশেষ করে কৃষিখাতে, কিছুটা হলেও আশার আলো দেখাচ্ছে।