Hi

১২:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ২০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে কন্যাসন্তান জন্মের পর মিষ্টির প্যাকেটে মাটি! স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ

কন্যাসন্তান জন্ম নেওয়ার পর শ্বশুরবাড়িতে উপহার হিসেবে মিষ্টির প্যাকেটে মিষ্টির পরিবর্তে মাটি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক জামাইয়ের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের কাজাইকাটা এলাকায়। গত বুধবার (১১ জুন) ঘটনাটি ঘটলেও শনিবার (১৪ জুন) জানাজানি হলে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের বড় ধনতোলা এলাকার সাহেব আলী ওরফে সব্দুল হকের ছেলে মোকছেদুল ইসলামের সঙ্গে একই ইউনিয়নের কাজাইকাটা এলাকার আফতার আলীর মেয়ে আছমা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছর পর সম্প্রতি তাদের ঘরে একটি ফুটফুটে কন্যাসন্তানের জন্ম হয়েছে।

মোকছেদুল ইসলামের স্ত্রী আছমা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, “বিয়ের পর থেকে আমার স্বামী আমাকে নির্যাতন করত। মাঝে মধ্যে আমার পরিবারের কাছে টাকা চাইত। আমরা গরিব মানুষ, তাই টাকা দিতে পারিনি। এদিকে আমার গর্ভে সন্তান এসেছে, এ খবর জানার পর আরও বেশি নির্যাতন করেছে। আমার স্বামী আমাকে বলত, ছেলে হলে সুখ পাবে, আর মেয়ে হলে দুঃখ পাবে।”

আছমা আরও বলেন, “এখন আমার মেয়ে সন্তান হয়েছে। এ সংবাদ পেয়ে আমার স্বামী আমাদের বাড়িতে মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে হাজির হয়। বাড়ির লোকজন ও পাড়া প্রতিবেশীকে মিষ্টি দিতে গিয়ে প্যাকেট খুলে দেখি মাটি ও ইটের গুঁড়া দিয়েছে।”

তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আছমার স্বামী মোকছেদুল ইসলাম। তিনি বলেন, “আমার কন্যাসন্তান জন্ম হওয়ার কথা শুনে বুধবার আনন্দে শ্বশুরবাড়িতে যাই। ১১ জুন সকালে এক কেজি মিষ্টি ও মেয়ের জন্য কিছু পোশাক নিয়ে গিয়েছিলাম। এখন শ্বশুরবাড়ির লোকজন মিষ্টির প্যাকেটে নাকি মাটি-ইটের গুঁড়া দেখছে। এগুলো সব সাজানো। আমার সুখের সংসারে যারা আগুন দিচ্ছে তাদের ভালো হবে না। আমার স্ত্রীকে আমি কখনো কোনো নির্যাতন করিনি। যারা আমার স্ত্রীকে দিয়ে এসব করাচ্ছে আল্লাহ তাদের বিচার করবে।”

এদিকে দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবু সাঈদ এ বিষয়ে সরাসরি কিছু না জানার কথা বলেছেন। তিনি বলেন, “এ বিষয়ে আমার কিছুই জানা নেই। এলাকার মানুষের কাছে আমি শুনেছি তবে খোঁজখবর নিয়ে জানা যাবে আসলে ঘটনাটি কী ঘটেছিল।”

ট্যাগ :
লেখক সম্পর্কে তথ্য

শিক্ষকদের পায়ে ফুল, আর সেই সঙ্গে ‘শিক্ষাগুরুর মর্যাদা’ নিয়ে ঝড় তোলা পাঠচক্র! ঝিনাইদহ বন্ধুসভার এক অন্যরকম শিক্ষক দিবস উদযাপন, যা মন জয় করেছে সবার! ঝিনাইদহ: ‘শিক্ষাগুরুর মর্যাদা’ নিয়ে কবিতা-আলোচনা!

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে কন্যাসন্তান জন্মের পর মিষ্টির প্যাকেটে মাটি! স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ

আপডেট : ১০:২৪:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

কন্যাসন্তান জন্ম নেওয়ার পর শ্বশুরবাড়িতে উপহার হিসেবে মিষ্টির প্যাকেটে মিষ্টির পরিবর্তে মাটি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক জামাইয়ের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের কাজাইকাটা এলাকায়। গত বুধবার (১১ জুন) ঘটনাটি ঘটলেও শনিবার (১৪ জুন) জানাজানি হলে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের বড় ধনতোলা এলাকার সাহেব আলী ওরফে সব্দুল হকের ছেলে মোকছেদুল ইসলামের সঙ্গে একই ইউনিয়নের কাজাইকাটা এলাকার আফতার আলীর মেয়ে আছমা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছর পর সম্প্রতি তাদের ঘরে একটি ফুটফুটে কন্যাসন্তানের জন্ম হয়েছে।

মোকছেদুল ইসলামের স্ত্রী আছমা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, “বিয়ের পর থেকে আমার স্বামী আমাকে নির্যাতন করত। মাঝে মধ্যে আমার পরিবারের কাছে টাকা চাইত। আমরা গরিব মানুষ, তাই টাকা দিতে পারিনি। এদিকে আমার গর্ভে সন্তান এসেছে, এ খবর জানার পর আরও বেশি নির্যাতন করেছে। আমার স্বামী আমাকে বলত, ছেলে হলে সুখ পাবে, আর মেয়ে হলে দুঃখ পাবে।”

আছমা আরও বলেন, “এখন আমার মেয়ে সন্তান হয়েছে। এ সংবাদ পেয়ে আমার স্বামী আমাদের বাড়িতে মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে হাজির হয়। বাড়ির লোকজন ও পাড়া প্রতিবেশীকে মিষ্টি দিতে গিয়ে প্যাকেট খুলে দেখি মাটি ও ইটের গুঁড়া দিয়েছে।”

তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আছমার স্বামী মোকছেদুল ইসলাম। তিনি বলেন, “আমার কন্যাসন্তান জন্ম হওয়ার কথা শুনে বুধবার আনন্দে শ্বশুরবাড়িতে যাই। ১১ জুন সকালে এক কেজি মিষ্টি ও মেয়ের জন্য কিছু পোশাক নিয়ে গিয়েছিলাম। এখন শ্বশুরবাড়ির লোকজন মিষ্টির প্যাকেটে নাকি মাটি-ইটের গুঁড়া দেখছে। এগুলো সব সাজানো। আমার সুখের সংসারে যারা আগুন দিচ্ছে তাদের ভালো হবে না। আমার স্ত্রীকে আমি কখনো কোনো নির্যাতন করিনি। যারা আমার স্ত্রীকে দিয়ে এসব করাচ্ছে আল্লাহ তাদের বিচার করবে।”

এদিকে দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবু সাঈদ এ বিষয়ে সরাসরি কিছু না জানার কথা বলেছেন। তিনি বলেন, “এ বিষয়ে আমার কিছুই জানা নেই। এলাকার মানুষের কাছে আমি শুনেছি তবে খোঁজখবর নিয়ে জানা যাবে আসলে ঘটনাটি কী ঘটেছিল।”