Hi

০২:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ২০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সৈয়দপুরে ভবঘুরে ব্যক্তির বস্তায় মিললো ৩ লাখ ৬৯ হাজার ৫২ টাকা ও জমির দলিল!

নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরে এক ভবঘুরে ব্যক্তির বস্তা ও পোশাকের ভাঁজে তিন লাখ ৬৯ হাজার ৫২ টাকা এবং একাধিক জমির দলিল-দস্তাবেজ পাওয়া গেছে। নোংরা পোশাক আর কাঁধে বড় বস্তা নিয়ে পথেই দিন কাটানো ৫০ বছর বয়সী গণি মিয়াকে গত শনিবার (১৪ জুন) সকালে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘হিউম্যানিটি বাংলাদেশ’ গোসল করানোর উদ্যোগ নিলে এই চাঞ্চল্যকর টাকার সন্ধান মেলে।

ঘটনার পর পরই সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবক ময়নুল ইসলাম জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশকে বিষয়টি জানান। পরে সৈয়দপুর থানা পুলিশ ও উপজেলা সমাজসেবা অফিস গণি মিয়াকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। সেখানে পুলিশের উপস্থিতিতে টাকাগুলো গণনা করা হলে মোট পরিমাণ দাঁড়ায় ৩ লাখ ৬৯ হাজার ৫২ টাকা। বর্তমানে এই টাকাগুলো সৈয়দপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার কার্যালয়ের সমাজকর্মী রশিদুল ইসলামের হেফাজতে রাখা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, গণি মিয়া দীর্ঘদিন ধরে সৈয়দপুর শহরে ভবঘুরের মতো ঘুরে বেড়ান। তিনি সাধারণত কারো ক্ষতি করেন না এবং অনেকেই তাকে দয়া করে কিছু অর্থ সহায়তা করেন। ধারণা করা হচ্ছে, এসব টাকাই তিনি খরচ না করে কাপড় বা বস্তার ভেতরে গুঁজে রাখতেন।

সৈয়দপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফইম উদ্দীন বলেন, “ওই ব্যক্তি বেশির ভাগ সময় শহরের জিআরপি এলাকায় থাকেন। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তার বাড়ি রংপুরের আলমনগরের রবার্টসনগঞ্জ এলাকায়। তার পরিবারের খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা চলছে।”

ট্যাগ :
লেখক সম্পর্কে তথ্য

শিক্ষকদের পায়ে ফুল, আর সেই সঙ্গে ‘শিক্ষাগুরুর মর্যাদা’ নিয়ে ঝড় তোলা পাঠচক্র! ঝিনাইদহ বন্ধুসভার এক অন্যরকম শিক্ষক দিবস উদযাপন, যা মন জয় করেছে সবার! ঝিনাইদহ: ‘শিক্ষাগুরুর মর্যাদা’ নিয়ে কবিতা-আলোচনা!

সৈয়দপুরে ভবঘুরে ব্যক্তির বস্তায় মিললো ৩ লাখ ৬৯ হাজার ৫২ টাকা ও জমির দলিল!

আপডেট : ০১:১৫:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরে এক ভবঘুরে ব্যক্তির বস্তা ও পোশাকের ভাঁজে তিন লাখ ৬৯ হাজার ৫২ টাকা এবং একাধিক জমির দলিল-দস্তাবেজ পাওয়া গেছে। নোংরা পোশাক আর কাঁধে বড় বস্তা নিয়ে পথেই দিন কাটানো ৫০ বছর বয়সী গণি মিয়াকে গত শনিবার (১৪ জুন) সকালে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘হিউম্যানিটি বাংলাদেশ’ গোসল করানোর উদ্যোগ নিলে এই চাঞ্চল্যকর টাকার সন্ধান মেলে।

ঘটনার পর পরই সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবক ময়নুল ইসলাম জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশকে বিষয়টি জানান। পরে সৈয়দপুর থানা পুলিশ ও উপজেলা সমাজসেবা অফিস গণি মিয়াকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। সেখানে পুলিশের উপস্থিতিতে টাকাগুলো গণনা করা হলে মোট পরিমাণ দাঁড়ায় ৩ লাখ ৬৯ হাজার ৫২ টাকা। বর্তমানে এই টাকাগুলো সৈয়দপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার কার্যালয়ের সমাজকর্মী রশিদুল ইসলামের হেফাজতে রাখা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, গণি মিয়া দীর্ঘদিন ধরে সৈয়দপুর শহরে ভবঘুরের মতো ঘুরে বেড়ান। তিনি সাধারণত কারো ক্ষতি করেন না এবং অনেকেই তাকে দয়া করে কিছু অর্থ সহায়তা করেন। ধারণা করা হচ্ছে, এসব টাকাই তিনি খরচ না করে কাপড় বা বস্তার ভেতরে গুঁজে রাখতেন।

সৈয়দপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফইম উদ্দীন বলেন, “ওই ব্যক্তি বেশির ভাগ সময় শহরের জিআরপি এলাকায় থাকেন। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তার বাড়ি রংপুরের আলমনগরের রবার্টসনগঞ্জ এলাকায়। তার পরিবারের খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা চলছে।”