নিজস্ব প্রতিবেদক: 
ঢাকা, ১৭ জুন ২০২৫: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ছয়টি আসনে দলীয় প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। দলটির এই সিদ্ধান্তকে তাদের রাজনৈতিক কৌশলের একটি নতুন দিক হিসেবে দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে বিএনপি বর্তমান নির্বাচনী ব্যবস্থার প্রতি তাদের অনাস্থা এবং সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির কৌশল গ্রহণ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সিদ্ধান্তের সম্ভাব্য কারণ:
- নির্বাচনী ব্যবস্থার প্রতি অনাস্থা: বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে যে, বর্তমান সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এই ছয়টি আসনে প্রার্থী না দিয়ে তারা তাদের এই অবস্থানকে আরও জোরালো করতে চাইছে এবং ভোটারদের কাছে এই বার্তা দিতে চাইছে যে, তারা একটি নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ চায়।
- সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি: প্রার্থী না দেওয়ার মাধ্যমে বিএনপি সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চাইছে, যাতে তারা একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করে। এর মাধ্যমে তারা আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেও চাইছে বলে মনে করা হচ্ছে।
- বৃহত্তর ভোট বর্জনের ইঙ্গিত: এই সিদ্ধান্তকে বৃহত্তর অর্থে ভোট বর্জনের একটি অংশ হিসেবেও দেখা যেতে পারে। এর মাধ্যমে বিএনপি জনগণকে ভোটদানে নিরুৎসাহিত করতে চাইছে, যাতে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ওপর চাপ বাড়ে।
- সমমনা দলের প্রতি সমর্থন: ধারণা করা হচ্ছে, বিএনপি এই আসনগুলোতে তাদের সমমনা কোনো দল বা জোটের প্রার্থীকে সমর্থন দিতে পারে, অথবা এই আসনগুলোতে নিজেদের প্রার্থী না দিয়ে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টির জন্য এটি একটি ফাঁকা মাঠ তৈরি করার কৌশল।
বিএনপি’র এই সিদ্ধান্তের পেছনে তাদের দীর্ঘমেয়াদী রাজনৈতিক লক্ষ্য থাকতে পারে, যা তারা ভবিষ্যতে আরও স্পষ্ট করবে। এই পদক্ষেপ বাংলাদেশের আগামী রাজনীতিতে কী ধরনের প্রভাব ফেলে, তা দেখার জন্য রাজনৈতিক মহল অপেক্ষা করছে।
