সিরাজগঞ্জ, ১৯ জুন ২০২৫: সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার যমুনা নদীতে মাছ ধরতে জেলেদের কাছ থেকে মাসোহারা আদায়ের অভিযোগে বিডি২৪-এ গত সোমবার (১৬ জুন) সংবাদ প্রকাশিত হয়। বিষয়টি আমলে নিয়ে নৌ-পুলিশ এর পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা যাচাই ও প্রয়োজনীয় তদন্তের জন্য নৌ-পুলিশের হেডকোয়ার্টারের নির্দেশ মোতাবেক টাংগাইল অঞ্চলের নৌ-পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হুমায়ুন কবির আকন্দকে তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নৌ-পুলিশ টাংগাইল অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. সোহেল রানা।
তিনি বলেন, “তদন্ত কর্মকর্তা অনুসন্ধান-তদন্ত সাপেক্ষে যে প্রতিবেদন জমা দেবে সে প্রতিবেদন আমরা নৌ-পুলিশের হেডকোয়ার্টারে পাঠিয়ে দেব। এবং সত্যতা সাপেক্ষে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এর আগে বিডি২৪-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে অভিযোগ ওঠে, যমুনা নদীতে মাছ ধরার জন্য চৌহালী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির আইসি গাজী মিজানুর রহমান জেলে প্রতি ১৫শ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত মাসোহারা আদায় করেন। অর্থ না দিলে জেলেদের জাল জব্দ করা হয় এবং পরবর্তীতে টাকা নিয়ে তা ফেরত দেওয়া হয়।
অভিযোগের পক্ষে সিসিটিভি ফুটেজ ও স্থিরচিত্রসহ বেশ কিছু প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়, যেখানে দেখা যায়—আইসি মিজান খামে করে টাকা নিচ্ছেন এবং জেলের কাছ থেকে সরাসরি অর্থ গ্রহণ করছেন।