জামালপুর, ২১ জুন ২০২৫: জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় একজন অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষকের পৈতৃক ও কেনা সম্পত্তি জোর করে দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার চর আমখাওয়া ইউনিয়নের চর মাদার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিক্ষক হাবিবুর রহমান চর আমখাওয়া ইউনিয়নের চর মাদার এলাকার বাসিন্দা এবং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক।
জানা গেছে, কয়েক বছর আগে চাকরি থেকে অবসরে যান শিক্ষক হাবিবুর রহমান। বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি শারীরিকভাবে নানা রোগে ভুগছেন। আর এই সুযোগেই স্থানীয় প্রভাবশালী একটি চক্র তার পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ও নিজের কেনা সম্পত্তি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। প্রতিবাদ করার মতো অবস্থা না থাকায় নিত্যদিনই তার জমি বেদখল করার হুমকি দিচ্ছে ওই চক্রটি। সুযোগ পেয়ে এতে যুক্ত হয়েছে তার কিছু অসাধু আত্মীয়স্বজন।
ভুক্তভোগী শিক্ষক হাবিবুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, “আমার সন্তানেরা ব্যবসার সুবাদে এলাকার বাইরে থাকে। আমি অধিকাংশ সময় অসুস্থতায় ভুগি। আমাকে অসহায় পেয়ে আমার কতিপয় আত্মীয় নুরনবী, মাহাবুব, শাহজাহান, ইউনুছ মোল্লা গং আমার পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ও নিজের কেনা সম্পত্তি জবর দখল করার পায়তারা করছে। তারা আমার ক্ষেতের ফসল জোরপূর্বক কেটে নিচ্ছে, আমার পুকুরের মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে। কিছু বলতে গেলে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। ইতিপূর্বে তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েও কোনো কাজ হয়নি। ক্রমেই তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এখন তারা আমার জমি দখল করার হুমকি দিচ্ছে। এ বিষয়ে আমি প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ চাই।”
শিক্ষক হাবিবুর রহমানের স্ত্রী মাহাবুবা বেগম জানান, তাদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে তারা তাকে ও তার সন্তানদের ক্ষতি করবে বলে হুমকি দিচ্ছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, শাহজাহান মোল্লা কয়েক বছর আগে তার স্বামীর কাছে জমি বিক্রি করে টাকা নিলেও এখনো জমি রেজিষ্ট্রি করে দিচ্ছেন না। উল্টো তার স্বামীর অন্য সম্পত্তিও তারা দখল করবে বলে হুমকি দিচ্ছে। স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন সময় সালিশ দরবার হলেও তারা সালিশের রায় মানছে না। এমতাবস্থায় পরিবারের সবাই শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত নুরনবী, শাহজাহান, ইউনুস মোল্লার মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তারা রিসিভ করেননি। চর আমখাওয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউল ইসলামের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, হাবিবুর রহমানের সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক ঝামেলার কথা শুনেছি। তবে এ বিষয়ে কোনো পক্ষ তার কাছে আসেনি।