খাগড়াছড়ি, ২৮ জুন ২০২৫: পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) এর খাগড়াছড়ি জেলা শাখা আজ শনিবার (২৮ জুন) সকাল ১০টায় জেলা প্রেসক্লাব সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন করেছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা-এর আদিবাসী স্বীকৃতি দাবি ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইন ২০১০ সংশোধনপূর্বক ‘জাতি বৈচিত্র্য সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান অধ্যাদেশ ২০২৫ খ্রিঃ (প্রস্তাবিত)’ প্রণয়নের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ ও উত্থাপিত অভিযোগ
পিসিসিপি খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য নাগরিক পরিষদ (পিসিএনপি) কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ, পিসিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান, সদর উপজেলা সভাপতি তারিকুল ইসলাম রায়হান, সাইদুর রহমান ছাড়াও জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এইচ প্রফুল্ল, সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম রাজু সহ গণমাধ্যম কর্মী ও ব্যক্তিবর্গ।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, এই প্রস্তাবিত অধ্যাদেশ পার্বত্য অঞ্চলের দীর্ঘদিনের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও জাতীয় সংহতির জন্য হুমকিস্বরূপ। তারা আরও বলেন, এই অধ্যাদেশ বাস্তবায়ন হলে তা সংবিধানের মূল নীতিমালার সাথে সাংঘর্ষিক হবে এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে জাতিগত বিভেদ সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।
দাবিসমূহ ও আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
বক্তারা উক্ত উদ্যোগ অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানান এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও জাতির অখণ্ডতা বজায় রাখার আহ্বান জানান। পরিশেষে তারা হুঁশিয়ারি দেন যে, আশানুরূপ দাবী আদায় না হলে পরবর্তীতে রাজপথে থেকেই কঠোর আন্দোলন করা হবে।
তাদের দাবিসমূহ নিচে প্রদান করা হলো:
১. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইন ২০১০ সংশোধন করে ‘জাতি বৈচিত্র্য ইনস্টিটিউট অধ্যাদেশ ২০২৫’ প্রণয়নের সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।
২. ৬ জন সদস্যের সবাইকে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী থেকে মনোনয়নের সিদ্ধান্ত সংবিধান পরিপন্থী হওয়ায় তা বাতিল করতে হবে।
৩. উপদেষ্টা মোস্তফা সারোয়ার ফারুকী ও সুপ্রদীপ চাকমার বিতর্কিত ভূমিকার জন্য তদন্তসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৪. পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দে সাম্প্রদায়িক বৈষম্যের নিরপেক্ষ তদন্ত করে পুনর্বিন্যাস নিশ্চিত করতে হবে।