Hi

০৫:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ২১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আ. লীগের দোসর হারুন: রাজশাহীর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

  • আপডেট : ০৫:৪৮:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫
  • ৭৪৫ জন দেখেছে

রাজশাহী, ১ জুলাই ২০২৫: নিষিদ্ধ সংগঠন আ. লীগের দোসর হিসেবে পরিচিত মোঃ হারুন আর রশিদ বর্তমানে রাজশাহী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরে নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত আছেন। তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার, ঠিকাদারদের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক এবং দফতরে অনুপস্থিতি সহ ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।


 

রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ও প্রভাব বিস্তার

 

একটি সূত্রে জানা গেছে, হারুন আর রশিদ রাজশাহীর ফ্যাসিস্ট আ. লীগের প্রভাবশালী সাবেক এমপি এবং সাবেক মেয়র লিটনের ঘনিষ্ঠজন। বিগত ফ্যাসিস্ট আ. লীগের সরকারের আমলে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে রাজশাহীতে নির্বাহী প্রকৌশলী পদে যোগদান করার পর থেকে আওয়ামী পন্থী ঠিকাদারদের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন করে বিভিন্ন কাজের অনৈতিক সুবিধা দিয়ে যাচ্ছেন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, তিনি ফ্যাসিস্ট আ. লীগের রাজনীতির সাথে পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। পাবনায় তার নিজ বাড়ির পাশের প্রতিবেশীরাও তার ও তার পরিবারের সদস্যদের ফ্যাসিস্ট আ. লীগের রাজনীতির সাথে পরোক্ষভাবে জড়িত থাকার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। অভিযোগ রয়েছে, নিষিদ্ধ সংগঠন আ. লীগের দোসর হিসেবে হারুন আর রশিদের সাবেক এমপি ও মন্ত্রীদের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল।


 

ঠিকাদারদের অভিযোগ ও অনিয়ম

 

ঠিকাদারদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, রাজশাহীতে যোগদানের পর হারুন আর রশিদ আ. লীগ পন্থী ঠিকাদারদের সহযোগিতা করেই চলেছেন। তিনি অফিসে সময়মতো উপস্থিত থাকেন না এবং অনেক সময় অসুস্থতার অজুহাতে বাসায় অবস্থান করেন। শুক্রবার ও শনিবার পাবনার নিজ বাসায় অবস্থান করেন এবং সোমবার বা মঙ্গলবার রাজশাহীতে এসে অফিস করেন না।

নির্বাহী প্রকৌশলী হারুন আর রশিদের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি অবৈধ অর্থ না পেলে বিল ও চেক অনুমোদনে অযথা সময়ক্ষেপণ করেন, ফলে কাজের বিল পেতে ২৫-৩০ দিন পর্যন্ত সময় লাগে। চূড়ান্ত বিল প্রদানের পূর্বে সাইট ভিজিট করার কথা বলে বিল আটকে রাখার অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রকল্পে রাজশাহীর অগ্রগতি অত্যন্ত ধীর। অন্যান্য জেলায় কাজ শেষ হলেও রাজশাহীতে এখনো শুধু দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

তিনি অফিসের পরিবর্তে বাসা থেকেই দাপ্তরিক কাজ পরিচালনা করেন, এতে অনেক সময় অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। ঠিকাদারদেরকে ভয় দেখান এবং নিজের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক সংযোগের অপব্যবহার করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

ঠিকাদারদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সরজমিনে গিয়ে প্রকৌশলীর অনুপস্থিতি ও নানা অনিয়মের তথ্য পাওয়া গেছে।


 

যোগাযোগের চেষ্টা

 

এ বিষয়ে রাজশাহী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ হারুন আর রশিদের সাথে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।


ট্যাগ :
লেখক সম্পর্কে তথ্য

জনপ্রিয়

ঝিনাইদহে  হুলস্থুল! আ.লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ‘বিগ শট’ নেতারা হাজতে! পুরনো ‘ভাঙচুর’ মামলায় কাঁপছে রাজনীতি! 

আ. লীগের দোসর হারুন: রাজশাহীর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

আপডেট : ০৫:৪৮:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫

রাজশাহী, ১ জুলাই ২০২৫: নিষিদ্ধ সংগঠন আ. লীগের দোসর হিসেবে পরিচিত মোঃ হারুন আর রশিদ বর্তমানে রাজশাহী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরে নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত আছেন। তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার, ঠিকাদারদের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক এবং দফতরে অনুপস্থিতি সহ ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।


 

রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ও প্রভাব বিস্তার

 

একটি সূত্রে জানা গেছে, হারুন আর রশিদ রাজশাহীর ফ্যাসিস্ট আ. লীগের প্রভাবশালী সাবেক এমপি এবং সাবেক মেয়র লিটনের ঘনিষ্ঠজন। বিগত ফ্যাসিস্ট আ. লীগের সরকারের আমলে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে রাজশাহীতে নির্বাহী প্রকৌশলী পদে যোগদান করার পর থেকে আওয়ামী পন্থী ঠিকাদারদের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন করে বিভিন্ন কাজের অনৈতিক সুবিধা দিয়ে যাচ্ছেন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, তিনি ফ্যাসিস্ট আ. লীগের রাজনীতির সাথে পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। পাবনায় তার নিজ বাড়ির পাশের প্রতিবেশীরাও তার ও তার পরিবারের সদস্যদের ফ্যাসিস্ট আ. লীগের রাজনীতির সাথে পরোক্ষভাবে জড়িত থাকার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। অভিযোগ রয়েছে, নিষিদ্ধ সংগঠন আ. লীগের দোসর হিসেবে হারুন আর রশিদের সাবেক এমপি ও মন্ত্রীদের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল।


 

ঠিকাদারদের অভিযোগ ও অনিয়ম

 

ঠিকাদারদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, রাজশাহীতে যোগদানের পর হারুন আর রশিদ আ. লীগ পন্থী ঠিকাদারদের সহযোগিতা করেই চলেছেন। তিনি অফিসে সময়মতো উপস্থিত থাকেন না এবং অনেক সময় অসুস্থতার অজুহাতে বাসায় অবস্থান করেন। শুক্রবার ও শনিবার পাবনার নিজ বাসায় অবস্থান করেন এবং সোমবার বা মঙ্গলবার রাজশাহীতে এসে অফিস করেন না।

নির্বাহী প্রকৌশলী হারুন আর রশিদের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি অবৈধ অর্থ না পেলে বিল ও চেক অনুমোদনে অযথা সময়ক্ষেপণ করেন, ফলে কাজের বিল পেতে ২৫-৩০ দিন পর্যন্ত সময় লাগে। চূড়ান্ত বিল প্রদানের পূর্বে সাইট ভিজিট করার কথা বলে বিল আটকে রাখার অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রকল্পে রাজশাহীর অগ্রগতি অত্যন্ত ধীর। অন্যান্য জেলায় কাজ শেষ হলেও রাজশাহীতে এখনো শুধু দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

তিনি অফিসের পরিবর্তে বাসা থেকেই দাপ্তরিক কাজ পরিচালনা করেন, এতে অনেক সময় অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। ঠিকাদারদেরকে ভয় দেখান এবং নিজের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক সংযোগের অপব্যবহার করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

ঠিকাদারদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সরজমিনে গিয়ে প্রকৌশলীর অনুপস্থিতি ও নানা অনিয়মের তথ্য পাওয়া গেছে।


 

যোগাযোগের চেষ্টা

 

এ বিষয়ে রাজশাহী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ হারুন আর রশিদের সাথে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।