ঢাকা, ১২ জুলাই ২০২৫: মিটফোর্ড হাসপাতালে এক নিরপরাধ ওষুধ ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্য দিবালোকে পাথর মেরে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় দেশজুড়ে তোলপাড় চলছে! এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর এবার আলোচনায় উঠে এসেছেন জনপ্রিয় ইসলামিক বক্তা শাইখ আহমাদুল্লাহ, যার একটি বিস্ফোরক পোস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রীতিমতো ঝড় তুলেছে!

শাইখ আহমাদুল্লাহ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে স্পষ্ট ভাষায় লিখেছেন, “এসব কসাইদের দমন করতে হলে কিসাস ছাড়া বিকল্প নেই।” তার এই সাহসী মন্তব্য সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। পোস্টটিতে এরই মধ্যে ২ লক্ষ ৪১ হাজারেরও বেশি রিয়েক্ট এবং প্রায় ৪ হাজার মন্তব্য পড়েছে! যেখানে ন্যায়বিচার, নিরাপত্তা এবং ইসলামী আইন প্রয়োগ নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা ও বিতর্ক।

শাইখ আহমাদুল্লাহ তার বক্তব্যে দৃঢ়তার সাথে বলেছেন, “যখন কেউ পরিকল্পিতভাবে একজন নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করে, তখন ইসলামে তার জন্য কিসাস বা বদলা হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। এই বিধান কার্যকর হলেই সমাজে সত্যিকারের শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে এবং হত্যাকারীরা অপরাধ করার আগে হাজারবার ভয় পাবে।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, বর্তমান আইন ও বিচার ব্যবস্থায় দীর্ঘসূত্রতা, দুর্নীতি এবং অপরাধীদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের কারণেই দেশে এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড দিন দিন বেড়েই চলেছে।

উল্লেখ্য, মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে একজন ওষুধ ব্যবসায়ীকে নির্মমভাবে পাথর মেরে হত্যা করা হয়, যা জনমনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেমন এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানানো হচ্ছে, তেমনি হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী ‘কিসাস’ বা মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার দাবিও ক্রমশ জোরালো হচ্ছে।

শাইখ আহমাদুল্লাহর এই পোস্ট কি বিচারহীনতার সংস্কৃতিতে আঘাত হানবে? নাকি এটি শুধু আলোচনার ঝড় তুলেই থেমে যাবে? পুরো দেশের চোখ এখন এই ঘটনা এবং এর পরবর্তী প্রতিক্রিয়ার দিকে!

ট্যাগস: #শাইখআহমাদুল্লাহ #কিসাস #মিটফোর্ডহত্যা #ইসলামীআইন #মৃত্যুদণ্ড #ন্যায়বিচার #অপরাধ #সামাজিকমাধ্যমেতোলপাড় #ব্রেকিংনিউজ #বাংলাদেশেরআইন