🔥 ব্রেকিং: অসুস্থ বিএনপি নেতা সোনাউল্লার পাশে ‘ত্রাতা’ ফজলুর রহমান খোকন! প্যারালাইজড অবস্থায় ৯ মাস – অবশেষে মিললো চিকিৎসার আশ্বাস! তোলপাড় বগুড়া! 🔥

সেলিম রেজা, শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ
আপডেট : ০৭:৫৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫
৬৪১ জন দেখেছে

শেরপুর, বগুড়া, ১৩ জুলাই ২০২৫, দুপুর ১:২৩: দীর্ঘ ৯ মাস ধরে ব্রেন স্ট্রোক করে প্যারালাইজড অবস্থায় বিছানায় পড়ে থাকা বগুড়ার শেরপুর উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও খামারকান্দি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি সোনাউল্লা প্রামাণিক-এর পাশে দাঁড়ালেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন! কেউ তার চিকিৎসায় এগিয়ে আসছেন না, এমন একটি হৃদয়বিদারক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পরই নড়েচড়ে বসেছে বিএনপি হাইকমান্ড, যা পুরো বগুড়া জেলায় নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে!

শহীদ জিয়ার আদর্শ বুকে ধারণ করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েছিলেন সোনাউল্লা প্রামাণিক। অভিযোগ রয়েছে, বিএনপির রাজনীতি করার কারণেই স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনকালে বিগত ১৭ বছরে তাকে তিনটি মামলার আসামি করা হয়। এরমধ্যে, আওয়ামী লীগ নেতার হাত কাটা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে, তিন দিনের রিমান্ডসহ ৪১ দিন কারাবাসে ছিলেন তিনি।

গত ৯ মাস ধরে সোনাউল্লা প্রামাণিক প্যারালাইজড অবস্থায় বিছানায় পড়ে আছেন। তার চিকিৎসার জন্য কেউ এগিয়ে আসছেন না বলে অভিযোগ ছিল। এই পরিস্থিতিতে তার দুর্দশার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি, বগুড়া জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ফজলুর রহমান খোকনের দৃষ্টিগোচর হয়।

গত ১২ জুলাই শনিবার সকালে ফজলুর রহমান খোকনের প্রতিনিধি শেরপুর উপজেলা যুবদলের অন্যতম সদস্য মোঃ আতিকুর রহমান সোনাউল্লা মেম্বারকে দেখতে যান এবং তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেন। একই সাথে চিকিৎসার জন্য নগদ অর্থও প্রদান করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির অন্যতম সদস্য হাসানুল মারুফ শিমুল, খামারকান্দি ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক ইউপি সদস্য মো. আমিনুল ইসলাম, ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন খোকন, ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. লিটন আজম, ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মো. আব্দুর রউফ, বিএনপি নেতা আমিনুল ইসলাম, ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোমিনুল ইসলাম, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক মোমিনুল ইসলাম, যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল করিম, কৃষক দলের সাবেক সভাপতি আজাহার আলী রাজা, ৮নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য কৃষকদল নেতা মো. পলাশ, মোয়াজ্জেম, ফরহাদ, রাকিবুল ইসলাম, বেলাল, আবু রায়হান, ফরিদুল, সুমনসহ আরো অনেকে।

রাজনৈতিক সহমর্মিতার এই দৃষ্টান্ত কি দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকেও অনুপ্রাণিত করবে? সোনাউল্লা প্রামাণিকের মতো দুঃস্থ নেতাকর্মীদের পাশে দলীয়ভাবে দাঁড়ানোর এই উদ্যোগ কি বিএনপির প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনবে? সেটাই এখন দেখার বিষয়।