Hi

০১:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ২১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পার্বত্য চট্টগ্রামের ভবিষ্যৎ নিয়ে জ্বলন্ত প্রশ্ন: ঢাকায় জাতিসংঘের কার্যালয় কি বিদেশি ষড়যন্ত্রের নতুন মঞ্চ?

  • আপডেট : ০৮:৫৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
  • ৬৪১ জন দেখেছে

খুলছে কি এক নতুন Pandora’s Box? খাগড়াছড়ির সচেতন নাগরিক ওমর ফারুকের বিশ্লেষণ এক অগ্নিগর্ভ সত্য সামনে এনেছে। ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় (OHCHR) প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত কি পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি ও সার্বভৌমত্বের জন্য এক গভীর ষড়যন্ত্রের পূর্বাভাস? এই প্রশ্নে এখন পুরো জাতি সরব!

 

১. ‘আদিবাসী’ বিতর্কে নতুন ইন্ধন: আন্তর্জাতিক ফোরামে কি সার্বভৌমত্ব বিপন্ন?

 

লেখক বলছেন, এই কার্যালয় ‘আদিবাসী’ ইস্যুকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে নতুন করে উস্কে দেবে। অগাস্টিনা চাকমা বা বিতর্কিত ‘আদিবাসী’ প্রতিনিধিদের রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য কি আরও জোরালো হবে? যখন নিজ দেশের সরকার ও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে জাতিসংঘের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্মে প্রকাশ্য বিরোধিতা হয়, তখন কি আমাদের সার্বভৌমত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠে না? এটা কি নিছকই মানবাধিকারের প্রশ্ন, নাকি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ—সেই প্রশ্নটাই এখন কোটি টাকার!

 

২. পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি: বিদেশি হস্তক্ষেপে কি রাষ্ট্রের হাত বাঁধা পড়বে?

 

১৯৯৭ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি নিয়ে এমনিতেই বহু বিতর্ক। এর অনেক ধারা নাকি বাংলাদেশের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক! কিন্তু জাতিসংঘের কার্যালয় স্থাপিত হলে এই চুক্তির বাস্তবায়ন নিয়ে বিদেশি চাপ পাহাড়সমান বাড়বে। সেনাবাহিনী ও বাঙালিদের প্রত্যাহার, ডেড-ল ‘সিএইচটি ম্যানুয়াল ১৯০০’-এর মতো স্পর্শকাতর বিষয়গুলো নিয়ে কি বাইরের শক্তি আমাদের ওপর খবরদারি করবে? ওমর ফারুকের এই আশঙ্কা রীতিমতো কাঁপিয়ে দিচ্ছে!

 

৩. সশস্ত্র গোষ্ঠী ও চাঁদাবাজদের অভয়ারণ্য: মানবাধিকারের নামে সন্ত্রাসীদের সুরক্ষা?

 

সবচেয়ে ভয়াবহ যে আশঙ্কা, তা হলো—জাতিসংঘের এই অফিস নাকি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ খুঁজতে ওস্তাদ, কিন্তু সশস্ত্র গোষ্ঠীর অপরাধের প্রতি ততটা কঠোর নয়! ইউপিডিএফ, জেএসএস (সন্তু), কেএনএফ-এর মতো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো কি এবার নিজেদের ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার’ বলে জাহির করবে? চাঁদাবাজি, অস্ত্রপাচার, অপহরণ, বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যক্রমের মতো গুরুতর অপরাধগুলো কি তখন ‘উপজাতি নিপীড়ন’ তকমা পেয়ে আন্তর্জাতিক নজর এড়িয়ে যাবে? জাতিসংঘের শীর্ষ পদে উপজাতি নীতিনির্ধারকদের উপস্থিতি কি পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিভাজনের দিকে ঠেলে দেবে? এ যেন আগুনের স্ফুলিঙ্গ!

 

৪. রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারণার ঝড়: আন্তর্জাতিক মিথ্যাচারের নতুন মহড়া!

 

লেখক স্পষ্ট বলছেন, ঢাকায় জাতিসংঘের এই অফিস থাকলে বহু এনজিও ও বিদেশি মিশন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সরাসরি ও নিয়মিত ‘রিপোর্ট’ আর ‘লবিং’ চালাবে। ‘মারমা, চাকমাদের উচ্ছেদ’, ‘বাঙালিদের দ্বারা ভূমি দখল’, ‘সামরিক নির্যাতন’—এসব মিথ্যাচার কি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও ভয়াবহ রূপ নেবে? এ তো আমাদের রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এক নতুন যুদ্ধ!

 

৫. বাঙালি জনগোষ্ঠীর প্রতি বৈষম্য: নীরব কান্না কি কেউ শুনবে না?

 

আশঙ্কার পারদ চড়ছে আরও। জাতিসংঘ অফিস নাকি সংখ্যাগুরু বাঙালির অধিকার বা নিরাপত্তার প্রতি ততটা আগ্রহী নয়। ফলে পার্বত্য বাঙালিরা কি তাদের ভূমি, নিরাপত্তা বা নাগরিক অধিকার নিয়ে বিচার থেকে বঞ্চিত হবে? উল্টো তাদেরকেই কি আন্তর্জাতিক ফোরামে দোষারোপের শিকার হতে হবে? এর ফলে বাঙালি-পাহাড়ি বৈরিতা আরও বাড়বে, এমনটা ভাবতেই বুক ফেটে যাচ্ছে!

 

৬. সার্বভৌমত্বের ওপর মরণকামড়: সরকার কি আইন প্রয়োগে দ্বিধায় পড়বে?

 

সবচেয়ে বড় প্রশ্নটি এখানে। জাতিসংঘের এই অফিস থাকলে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা উপস্থিতি, নিরাপত্তা নীতি, ভূমি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত ইত্যাদি নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে প্রশ্ন তোলা হবে। ‘হিউম্যান রাইটস ভায়োলেশন’ আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশকে চাপের মুখে ফেলা হবে। এর ফলে কি সরকার ইচ্ছেমতো আইন প্রয়োগ বা অভিযান চালাতে দ্বিধা করবে? যখন মাইকেল চাকমার মতো নেতারা প্রকাশ্যে রাজধানিতে এসে স্বায়ত্তশাসিত রাষ্ট্র গঠনের হুমকি দেন, তখন এই কার্যালয় কি তাদের শক্তি বাড়াবে না? ব্যারেস্টার দেবাসিস রায়, সন্তু লারমা, ইলিরা দেওয়ান—এঁদের মতো নেতারা কি দেশ ও বিদেশে বসে আরও নির্বিঘ্নে রাষ্ট্র বিভাজনের ষড়যন্ত্র করতে পারবেন?


 

শান্তি নাকি অস্থিরতা? এক বিপজ্জনক মোড়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম!

 

ওমর ফারুকের মতে, এই অফিসের ইতিবাচক সম্ভাবনা থাকলেও বাস্তবে এর রাজনৈতিক ও জাতিগত অপব্যবহারের প্রবণতাই বেশি। এর ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামে নতুন করে অস্থিরতা, অবিশ্বাস ও বিদেশি হস্তক্ষেপের পথ সুগম হতে পারে।

এই কার্যালয় কি সত্যিই ‘আদিবাসী’ দাবির আন্তর্জাতিকীকরণ, বাংলাদেশ সরকারের ওপর বাড়তি চাপ, সশস্ত্র গোষ্ঠীর পক্ষপাতমূলক উপস্থাপনা, বাঙালি জনগোষ্ঠীর প্রতি অবহেলা এবং শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে বিদেশি হস্তক্ষেপের ঝুঁকি বাড়াবে? সবচেয়ে ভয়াবহ হলো, এটি কি অবৈধ অস্ত্রের সরবরাহ ও মজুদের সহায়ক হবে?

যদি তাই হয়, তবে এটি পার্বত্য চট্টগ্রামের নিরাপত্তা, উন্নয়ন ও জাতীয় সংহতির জন্য এক দীর্ঘমেয়াদী ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত। লেখক ওমর ফারুকের মতে, এই মুহূর্তে বাংলাদেশ সরকারের কূটনৈতিকভাবে সতর্ক অবস্থান আরও জোরালো করা ভীষণ জরুরি!

আপনার কী মনে হয়? পার্বত্য চট্টগ্রামের এই জটিল প্রেক্ষাপটে ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় কি দেশের জন্য আশীর্বাদ না অভিশাপ?

ট্যাগ :
লেখক সম্পর্কে তথ্য

জনপ্রিয়

ঝিনাইদহে  হুলস্থুল! আ.লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ‘বিগ শট’ নেতারা হাজতে! পুরনো ‘ভাঙচুর’ মামলায় কাঁপছে রাজনীতি! 

পার্বত্য চট্টগ্রামের ভবিষ্যৎ নিয়ে জ্বলন্ত প্রশ্ন: ঢাকায় জাতিসংঘের কার্যালয় কি বিদেশি ষড়যন্ত্রের নতুন মঞ্চ?

আপডেট : ০৮:৫৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

খুলছে কি এক নতুন Pandora’s Box? খাগড়াছড়ির সচেতন নাগরিক ওমর ফারুকের বিশ্লেষণ এক অগ্নিগর্ভ সত্য সামনে এনেছে। ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় (OHCHR) প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত কি পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি ও সার্বভৌমত্বের জন্য এক গভীর ষড়যন্ত্রের পূর্বাভাস? এই প্রশ্নে এখন পুরো জাতি সরব!

 

১. ‘আদিবাসী’ বিতর্কে নতুন ইন্ধন: আন্তর্জাতিক ফোরামে কি সার্বভৌমত্ব বিপন্ন?

 

লেখক বলছেন, এই কার্যালয় ‘আদিবাসী’ ইস্যুকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে নতুন করে উস্কে দেবে। অগাস্টিনা চাকমা বা বিতর্কিত ‘আদিবাসী’ প্রতিনিধিদের রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য কি আরও জোরালো হবে? যখন নিজ দেশের সরকার ও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে জাতিসংঘের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্মে প্রকাশ্য বিরোধিতা হয়, তখন কি আমাদের সার্বভৌমত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠে না? এটা কি নিছকই মানবাধিকারের প্রশ্ন, নাকি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ—সেই প্রশ্নটাই এখন কোটি টাকার!

 

২. পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি: বিদেশি হস্তক্ষেপে কি রাষ্ট্রের হাত বাঁধা পড়বে?

 

১৯৯৭ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি নিয়ে এমনিতেই বহু বিতর্ক। এর অনেক ধারা নাকি বাংলাদেশের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক! কিন্তু জাতিসংঘের কার্যালয় স্থাপিত হলে এই চুক্তির বাস্তবায়ন নিয়ে বিদেশি চাপ পাহাড়সমান বাড়বে। সেনাবাহিনী ও বাঙালিদের প্রত্যাহার, ডেড-ল ‘সিএইচটি ম্যানুয়াল ১৯০০’-এর মতো স্পর্শকাতর বিষয়গুলো নিয়ে কি বাইরের শক্তি আমাদের ওপর খবরদারি করবে? ওমর ফারুকের এই আশঙ্কা রীতিমতো কাঁপিয়ে দিচ্ছে!

 

৩. সশস্ত্র গোষ্ঠী ও চাঁদাবাজদের অভয়ারণ্য: মানবাধিকারের নামে সন্ত্রাসীদের সুরক্ষা?

 

সবচেয়ে ভয়াবহ যে আশঙ্কা, তা হলো—জাতিসংঘের এই অফিস নাকি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ খুঁজতে ওস্তাদ, কিন্তু সশস্ত্র গোষ্ঠীর অপরাধের প্রতি ততটা কঠোর নয়! ইউপিডিএফ, জেএসএস (সন্তু), কেএনএফ-এর মতো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো কি এবার নিজেদের ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার’ বলে জাহির করবে? চাঁদাবাজি, অস্ত্রপাচার, অপহরণ, বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যক্রমের মতো গুরুতর অপরাধগুলো কি তখন ‘উপজাতি নিপীড়ন’ তকমা পেয়ে আন্তর্জাতিক নজর এড়িয়ে যাবে? জাতিসংঘের শীর্ষ পদে উপজাতি নীতিনির্ধারকদের উপস্থিতি কি পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিভাজনের দিকে ঠেলে দেবে? এ যেন আগুনের স্ফুলিঙ্গ!

 

৪. রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারণার ঝড়: আন্তর্জাতিক মিথ্যাচারের নতুন মহড়া!

 

লেখক স্পষ্ট বলছেন, ঢাকায় জাতিসংঘের এই অফিস থাকলে বহু এনজিও ও বিদেশি মিশন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সরাসরি ও নিয়মিত ‘রিপোর্ট’ আর ‘লবিং’ চালাবে। ‘মারমা, চাকমাদের উচ্ছেদ’, ‘বাঙালিদের দ্বারা ভূমি দখল’, ‘সামরিক নির্যাতন’—এসব মিথ্যাচার কি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও ভয়াবহ রূপ নেবে? এ তো আমাদের রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এক নতুন যুদ্ধ!

 

৫. বাঙালি জনগোষ্ঠীর প্রতি বৈষম্য: নীরব কান্না কি কেউ শুনবে না?

 

আশঙ্কার পারদ চড়ছে আরও। জাতিসংঘ অফিস নাকি সংখ্যাগুরু বাঙালির অধিকার বা নিরাপত্তার প্রতি ততটা আগ্রহী নয়। ফলে পার্বত্য বাঙালিরা কি তাদের ভূমি, নিরাপত্তা বা নাগরিক অধিকার নিয়ে বিচার থেকে বঞ্চিত হবে? উল্টো তাদেরকেই কি আন্তর্জাতিক ফোরামে দোষারোপের শিকার হতে হবে? এর ফলে বাঙালি-পাহাড়ি বৈরিতা আরও বাড়বে, এমনটা ভাবতেই বুক ফেটে যাচ্ছে!

 

৬. সার্বভৌমত্বের ওপর মরণকামড়: সরকার কি আইন প্রয়োগে দ্বিধায় পড়বে?

 

সবচেয়ে বড় প্রশ্নটি এখানে। জাতিসংঘের এই অফিস থাকলে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা উপস্থিতি, নিরাপত্তা নীতি, ভূমি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত ইত্যাদি নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে প্রশ্ন তোলা হবে। ‘হিউম্যান রাইটস ভায়োলেশন’ আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশকে চাপের মুখে ফেলা হবে। এর ফলে কি সরকার ইচ্ছেমতো আইন প্রয়োগ বা অভিযান চালাতে দ্বিধা করবে? যখন মাইকেল চাকমার মতো নেতারা প্রকাশ্যে রাজধানিতে এসে স্বায়ত্তশাসিত রাষ্ট্র গঠনের হুমকি দেন, তখন এই কার্যালয় কি তাদের শক্তি বাড়াবে না? ব্যারেস্টার দেবাসিস রায়, সন্তু লারমা, ইলিরা দেওয়ান—এঁদের মতো নেতারা কি দেশ ও বিদেশে বসে আরও নির্বিঘ্নে রাষ্ট্র বিভাজনের ষড়যন্ত্র করতে পারবেন?


 

শান্তি নাকি অস্থিরতা? এক বিপজ্জনক মোড়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম!

 

ওমর ফারুকের মতে, এই অফিসের ইতিবাচক সম্ভাবনা থাকলেও বাস্তবে এর রাজনৈতিক ও জাতিগত অপব্যবহারের প্রবণতাই বেশি। এর ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামে নতুন করে অস্থিরতা, অবিশ্বাস ও বিদেশি হস্তক্ষেপের পথ সুগম হতে পারে।

এই কার্যালয় কি সত্যিই ‘আদিবাসী’ দাবির আন্তর্জাতিকীকরণ, বাংলাদেশ সরকারের ওপর বাড়তি চাপ, সশস্ত্র গোষ্ঠীর পক্ষপাতমূলক উপস্থাপনা, বাঙালি জনগোষ্ঠীর প্রতি অবহেলা এবং শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে বিদেশি হস্তক্ষেপের ঝুঁকি বাড়াবে? সবচেয়ে ভয়াবহ হলো, এটি কি অবৈধ অস্ত্রের সরবরাহ ও মজুদের সহায়ক হবে?

যদি তাই হয়, তবে এটি পার্বত্য চট্টগ্রামের নিরাপত্তা, উন্নয়ন ও জাতীয় সংহতির জন্য এক দীর্ঘমেয়াদী ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত। লেখক ওমর ফারুকের মতে, এই মুহূর্তে বাংলাদেশ সরকারের কূটনৈতিকভাবে সতর্ক অবস্থান আরও জোরালো করা ভীষণ জরুরি!

আপনার কী মনে হয়? পার্বত্য চট্টগ্রামের এই জটিল প্রেক্ষাপটে ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় কি দেশের জন্য আশীর্বাদ না অভিশাপ?