মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর উপজেলার বাচামারা, বাগুটিয়া, পারুলিয়া চর… এই নামগুলো এখন কেবলই স্মৃতি! যমুনার আগ্রাসী ছোবলে হাজার হাজার পরিবারের বসতভিটা আর বেঁচে থাকার শেষ আশ্রয়টুকুও বিলীন হয়ে গেছে নদীগর্ভে। যেদিকে চোখ যায়, শুধু ভিটেমাটি হারানো মানুষের হাহাকার আর ধ্বংসস্তূপের চিহ্ন। স্বপ্নভঙ্গের তীব্র বেদনা বুকে নিয়ে এই মানুষগুলো এখন আশ্রয়হীন!
স্থানীয়দের অভিযোগ, এই ভয়ংকর ভাঙনের নেপথ্যে রয়েছে যমুনা নদীতে অবাধে ড্রেজার দিয়ে মাটি কাটার দৌরাত্ম্য! উন্নত মানের যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে নদী থেকে মাটি লুটে নেওয়ার কারণেই আজ হাজারো পরিবার নিঃস্ব। তাদের অভিযোগের তীর স্থানীয় প্রশাসনের দিকেও, যারা এই অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না।
চাতক পাখির মতো চেয়ে আছে মানুষ…
দিনের পর দিন নদীর দিকে তাকিয়ে আছেন ভিটেমাটি হারানো মানুষগুলো। হয়তো শেষবারের মতো দেখছেন তাদের প্রিয় আঙ্গিনাটুকু বিলীন হয়ে যেতে। এই ভাঙন যেন থামছেই না। প্রতিটি জোয়ারে আরও নতুন নতুন এলাকা তলিয়ে যাচ্ছে যমুনার অতল গহ্বরে।
অবিলম্বে পদক্ষেপের দাবি!
এলাকাবাসী সরকারের কাছে দ্রুত এই নদী ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধান এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জোর দাবি জানিয়েছেন। তারা বলছেন, এখনই যদি কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তবে মানিকগঞ্জের মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে আরও অনেক জনপদ। এই অসহায় মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ানো এখন সময়ের দাবি!