Hi

০২:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ২১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাভারে ইয়ামিন হত্যা : গুলি করা সেই পুলিশ সদস্য মাহাফুজ গ্রেফতার

জুলাই আন্দোলনে সাভারে আসহাবুল ইয়ামিনকে এপিসি থেকে ছুড়ে ফেলার আগে গুলি করা কনস্টেবল মাহাফুজকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শনিবার (১২ জুলাই) আদালতে গুলি করার কথা স্বীকার করেছেন ওই পুলিশ সদস্য। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।

মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন শাইখ আসহাবুল ইয়ামিন। গত ১৮ জুলাই সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা চালান পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা। ইয়ামিনকে ধরে টেনে পুলিশের সাঁজোয়া যানের কাছে নিয়ে দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে বুকের বাঁ পাশে গুলি করেন তারা। গুলিতে তার বুকের বাঁ পাশে অসংখ্য স্প্লিন্টার বিদ্ধ হয়।

একপর্যায়ে ইয়ামিনকে টেনে সাঁজোয়া যানের ওপরে ফেলে রেখে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতাকে ভীতি প্রদর্শনের জন্য গাড়িটি এপাশ থেকে ওপাশ প্রদক্ষিণ করতে থাকেন দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা। প্রায় মৃত অবস্থায় তাকে রাস্তায় ফেলে দেন। একই সঙ্গে সাঁজোয়া যানের ভেতর থেকে একজন পুলিশ সদস্যকে বের করে তার পায়ে পুনরায় গুলির নির্দেশ দেন। ওই পুলিশ সদস্য ইয়ামিনকে মৃতভেবে পায়ে গুলি না করে রাস্তার ওপরের একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে টেনে নিয়ে রোড ডিভাইডারের পাশে ফেলে দেন।

গুলিবিদ্ধ ইয়ামিনকে তখনও নিশ্বাস নিতে দেখা যায়। পরে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এই ঘটনায় গত ২৩ সেপ্টেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৭৮ জনের নামে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেন ইয়ামিনের মামা।

ট্যাগ :
লেখক সম্পর্কে তথ্য

জনপ্রিয়

ঝিনাইদহে  হুলস্থুল! আ.লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ‘বিগ শট’ নেতারা হাজতে! পুরনো ‘ভাঙচুর’ মামলায় কাঁপছে রাজনীতি! 

সাভারে ইয়ামিন হত্যা : গুলি করা সেই পুলিশ সদস্য মাহাফুজ গ্রেফতার

আপডেট : ১১:২৫:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

জুলাই আন্দোলনে সাভারে আসহাবুল ইয়ামিনকে এপিসি থেকে ছুড়ে ফেলার আগে গুলি করা কনস্টেবল মাহাফুজকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শনিবার (১২ জুলাই) আদালতে গুলি করার কথা স্বীকার করেছেন ওই পুলিশ সদস্য। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।

মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন শাইখ আসহাবুল ইয়ামিন। গত ১৮ জুলাই সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা চালান পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা। ইয়ামিনকে ধরে টেনে পুলিশের সাঁজোয়া যানের কাছে নিয়ে দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে বুকের বাঁ পাশে গুলি করেন তারা। গুলিতে তার বুকের বাঁ পাশে অসংখ্য স্প্লিন্টার বিদ্ধ হয়।

একপর্যায়ে ইয়ামিনকে টেনে সাঁজোয়া যানের ওপরে ফেলে রেখে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতাকে ভীতি প্রদর্শনের জন্য গাড়িটি এপাশ থেকে ওপাশ প্রদক্ষিণ করতে থাকেন দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা। প্রায় মৃত অবস্থায় তাকে রাস্তায় ফেলে দেন। একই সঙ্গে সাঁজোয়া যানের ভেতর থেকে একজন পুলিশ সদস্যকে বের করে তার পায়ে পুনরায় গুলির নির্দেশ দেন। ওই পুলিশ সদস্য ইয়ামিনকে মৃতভেবে পায়ে গুলি না করে রাস্তার ওপরের একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে টেনে নিয়ে রোড ডিভাইডারের পাশে ফেলে দেন।

গুলিবিদ্ধ ইয়ামিনকে তখনও নিশ্বাস নিতে দেখা যায়। পরে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এই ঘটনায় গত ২৩ সেপ্টেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৭৮ জনের নামে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেন ইয়ামিনের মামা।