Hi

০৫:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ২১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ব্রেকিং: কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে নিজ ঘরেই ঝুলছিল জেলের নিথর দেহ! গলায় ফাঁস দিয়ে রহস্যজনক আত্মহত্যা, নেপথ্যে পারিবারিক কলহ নাকি ঋণ? এলাকায় শোকের ছায়া!

ভূরুঙ্গামারী, কুড়িগ্রাম, ১৬ জুলাই ২০২৫: কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে গলায় ফাঁস দিয়ে এক যুবকের রহস্যজনক আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে! বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুর আনুমানিক ১২ টার সময় উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের হেলিপ্যাড এলাকায় নিজ ঘরে আড়ের সাথে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় মৃত ছোরাপ ব্যাপারীর ছেলে নুর ইসলাম (৩৫)-কে দেখতে পান তার ছেলে। এই মর্মান্তিক ঘটনা এলাকায় শোকের ছায়া ফেলেছে।


 

ছেলের চোখে বাবার নিথর দেহ: ‘চিৎকার দিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ি!’

 

নুর ইসলামের ছেলে জানায়, ঘুম থেকে উঠে বাবাকে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় সে। এরপর দড়ি কেটে নিচে নামানোর পর চিৎকার দিয়ে নিজেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে। ছেলের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে নুর ইসলামকে উদ্ধার করে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার গলায় দড়ির স্পষ্ট দাগ রয়েছে বলে জানা গেছে।


 

পারিবারিক কলহ নাকি ঋণ: পুলিশের তদন্তে যা উঠে এলো?

 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নুর ইসলাম পেশায় ছিলেন একজন জেলে। নদী থেকে মাছ ধরে বিক্রি করে সংসার চালাতেন। তার পরিবারে স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। সংসারে সহযোগিতার জন্য তার ১২ বছর বয়সী ছেলে পাটেশ্বরী বাজারে একটি চায়ের দোকানে কাজ করতো।

পুলিশ তদন্ত করতে হাসপাতালে গেলে পারিবারিক কলহ বা ঋণের বিষয়ে জানতে চায়। তবে এ সময় নুর ইসলামের স্ত্রী জানান, তিনি তালিমে (ধর্মীয় শিক্ষা) ছিলেন এবং খবর পেয়ে হাসপাতালে এসেছেন। তাদের মধ্যে কোনো সমস্যা ছিল না বলেও দাবি করেন তিনি। স্বামীর সম্পর্কে তিনি বলেন, “তিনি খুব ভালো মানুষ ছিলেন, তবে যা মনে চাইত, তাই করতেন।” তার এই মন্তব্য রহস্য আরও ঘনীভূত করেছে।

এ বিষয়ে ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ আল হেলাল মাহমুদ বলেন, “এ বিষয়ে আমরা তদন্ত করতেছি। তদন্ত শেষে বলা যাবে কি ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে একটি ইউ ডি মামলা হবে।”

নুর ইসলামের এমন মর্মান্তিক মৃত্যু স্বাভাবিক নাকি এর পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে, তা জানতে এখন পুলিশের তদন্তের দিকে তাকিয়ে আছে স্থানীয়রা। দারিদ্রতা, পারিবারিক টানাপোড়েন নাকি অন্য কোনো অজানা চাপ – কী কারণে এই তরুণ জেলে আত্মহননের পথ বেছে নিলেন, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।


ট্যাগস: #ভূরুঙ্গামারী #কুড়িগ্রাম #আত্মহত্যা #জেলে #রহস্যজনকমৃত্যু #পারিবারিককলহ #ঋণ #ব্রেকিংনিউজ #পুলিশতদন্ত #শোকেরছায়া

ট্যাগ :
লেখক সম্পর্কে তথ্য

জনপ্রিয়

ঝিনাইদহে  হুলস্থুল! আ.লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ‘বিগ শট’ নেতারা হাজতে! পুরনো ‘ভাঙচুর’ মামলায় কাঁপছে রাজনীতি! 

ব্রেকিং: কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে নিজ ঘরেই ঝুলছিল জেলের নিথর দেহ! গলায় ফাঁস দিয়ে রহস্যজনক আত্মহত্যা, নেপথ্যে পারিবারিক কলহ নাকি ঋণ? এলাকায় শোকের ছায়া!

আপডেট : ১১:৩৮:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

ভূরুঙ্গামারী, কুড়িগ্রাম, ১৬ জুলাই ২০২৫: কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে গলায় ফাঁস দিয়ে এক যুবকের রহস্যজনক আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে! বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুর আনুমানিক ১২ টার সময় উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের হেলিপ্যাড এলাকায় নিজ ঘরে আড়ের সাথে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় মৃত ছোরাপ ব্যাপারীর ছেলে নুর ইসলাম (৩৫)-কে দেখতে পান তার ছেলে। এই মর্মান্তিক ঘটনা এলাকায় শোকের ছায়া ফেলেছে।


 

ছেলের চোখে বাবার নিথর দেহ: ‘চিৎকার দিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ি!’

 

নুর ইসলামের ছেলে জানায়, ঘুম থেকে উঠে বাবাকে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় সে। এরপর দড়ি কেটে নিচে নামানোর পর চিৎকার দিয়ে নিজেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে। ছেলের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে নুর ইসলামকে উদ্ধার করে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার গলায় দড়ির স্পষ্ট দাগ রয়েছে বলে জানা গেছে।


 

পারিবারিক কলহ নাকি ঋণ: পুলিশের তদন্তে যা উঠে এলো?

 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নুর ইসলাম পেশায় ছিলেন একজন জেলে। নদী থেকে মাছ ধরে বিক্রি করে সংসার চালাতেন। তার পরিবারে স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। সংসারে সহযোগিতার জন্য তার ১২ বছর বয়সী ছেলে পাটেশ্বরী বাজারে একটি চায়ের দোকানে কাজ করতো।

পুলিশ তদন্ত করতে হাসপাতালে গেলে পারিবারিক কলহ বা ঋণের বিষয়ে জানতে চায়। তবে এ সময় নুর ইসলামের স্ত্রী জানান, তিনি তালিমে (ধর্মীয় শিক্ষা) ছিলেন এবং খবর পেয়ে হাসপাতালে এসেছেন। তাদের মধ্যে কোনো সমস্যা ছিল না বলেও দাবি করেন তিনি। স্বামীর সম্পর্কে তিনি বলেন, “তিনি খুব ভালো মানুষ ছিলেন, তবে যা মনে চাইত, তাই করতেন।” তার এই মন্তব্য রহস্য আরও ঘনীভূত করেছে।

এ বিষয়ে ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ আল হেলাল মাহমুদ বলেন, “এ বিষয়ে আমরা তদন্ত করতেছি। তদন্ত শেষে বলা যাবে কি ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে একটি ইউ ডি মামলা হবে।”

নুর ইসলামের এমন মর্মান্তিক মৃত্যু স্বাভাবিক নাকি এর পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে, তা জানতে এখন পুলিশের তদন্তের দিকে তাকিয়ে আছে স্থানীয়রা। দারিদ্রতা, পারিবারিক টানাপোড়েন নাকি অন্য কোনো অজানা চাপ – কী কারণে এই তরুণ জেলে আত্মহননের পথ বেছে নিলেন, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।


ট্যাগস: #ভূরুঙ্গামারী #কুড়িগ্রাম #আত্মহত্যা #জেলে #রহস্যজনকমৃত্যু #পারিবারিককলহ #ঋণ #ব্রেকিংনিউজ #পুলিশতদন্ত #শোকেরছায়া