Hi

০৫:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ২১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ব্রেকিং: গোপালগঞ্জের হামলায় এবার ছাত্রশিবিরের সভাপতির হুংকার! জাহিদুল ইসলাম: ‘ফ্যাসিবাদ এখনো নির্মূল হয়নি, লড়াই অব্যাহত থাকবে শিকড় উপড়ে ফেলা পর্যন্ত!’ – উত্তাল রাজনৈতিক পরিস্থিতি!

  • আপডেট : ১১:৫৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
  • ৬০০ জন দেখেছে

ঢাকা, ১৬ জুলাই ২০২৫: গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ ও গাড়িবহরে ভয়াবহ হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এবার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম! তিনি বলেছেন, “গোপালগঞ্জের ঘটনা প্রমাণ করে ফ্যাসিবাদ এখনো নির্মূল হয়নি। আমাদের জুলাই সহযোদ্ধাদের ওপর হামলা কখনোই মেনে নিব না।” আজ বুধবার (১৬ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এই মন্তব্য করেন, যা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে দিয়েছে।


 

জাহিদুল ইসলামের ফেসবুক পোস্ট: ‘লড়াই অব্যাহত থাকবে!’

 

ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, “আমাদের লড়াই ফ্যাসিবাদের শিকড় উপড়ে ফেলা পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।” তার এই মন্তব্য গোপালগঞ্জের চলমান সহিংসতার পর রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে ক্রমবর্ধমান সংঘাতের ইঙ্গিত দিচ্ছে, সেটাই স্পষ্ট করে।


 

গোপালগঞ্জে দিনভর সংঘাতের চিত্র: হামলা-পাল্টা হামলা!

 

উল্লেখ্য, আজ বুধবার গোপালগঞ্জে এনসিপি’র সমাবেশকে কেন্দ্র করে দিনভর চরম উত্তেজনা বিরাজ করেছে। সমাবেশ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একদল ব্যক্তি এনসিপি নেতা-কর্মীদের ঘিরে হামলার চেষ্টা করে। তারা চারদিক থেকে এনসিপি’র নেতা-কর্মী ও পুলিশের গাড়ি আটকে দেয়। এই সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা সাউন্ড গ্রেনেড ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এরপর এনসিপি’র নেতা-কর্মীরা অন্য দিক দিয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

এর আগেও, বেলা পৌনে দুইটার দিকে ২০০ থেকে ৩০০ লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে এনসিপি’র সমাবেশস্থলে যায়। সে সময় মঞ্চের আশপাশে থাকা পুলিশ সদস্যরা দ্রুত আদালত চত্বরে ঢুকে পড়েন। একই সময়ে মঞ্চে ও মঞ্চের সামনে থাকা এনসিপি’র নেতা-কর্মীরাও দৌড়ে সরে যান। যারা হামলা চালান, তাঁরা সবাই আওয়ামী লীগের সমর্থক বলে এনসিপি’র নেতা-কর্মীরা অভিযোগ করেছিলেন।

এই হামলার পাশাপাশি সকালে গোপালগঞ্জে পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ইউএনও’র গাড়িবহরে হামলা, ডিসি বাংলোতে হামলা এবং জেলা কারাগারে হামলার মতো একাধিক ঘটনা ঘটেছে।

জাহিদুল ইসলামের এই কড়া মন্তব্য এবং ‘ফ্যাসিবাদের শিকড় উপড়ে ফেলার’ লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা, গোপালগঞ্জের পরিস্থিতিকে ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। দেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে এই সংঘাতের কী প্রভাব পড়ে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।


ট্যাগস: #জাহিদুলইসলাম #ছাত্রশিবির #গোপালগঞ্জ #এনসিপি #ফ্যাসিবাদ #রাজনৈতিকসহিংসতা #ব্রেকিংনিউজ #ফেসবুকপোস্ট #আওয়ামীলীগ #হামলা #সংঘাত

ট্যাগ :
লেখক সম্পর্কে তথ্য

জনপ্রিয়

ঝিনাইদহে  হুলস্থুল! আ.লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ‘বিগ শট’ নেতারা হাজতে! পুরনো ‘ভাঙচুর’ মামলায় কাঁপছে রাজনীতি! 

ব্রেকিং: গোপালগঞ্জের হামলায় এবার ছাত্রশিবিরের সভাপতির হুংকার! জাহিদুল ইসলাম: ‘ফ্যাসিবাদ এখনো নির্মূল হয়নি, লড়াই অব্যাহত থাকবে শিকড় উপড়ে ফেলা পর্যন্ত!’ – উত্তাল রাজনৈতিক পরিস্থিতি!

আপডেট : ১১:৫৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

ঢাকা, ১৬ জুলাই ২০২৫: গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ ও গাড়িবহরে ভয়াবহ হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এবার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম! তিনি বলেছেন, “গোপালগঞ্জের ঘটনা প্রমাণ করে ফ্যাসিবাদ এখনো নির্মূল হয়নি। আমাদের জুলাই সহযোদ্ধাদের ওপর হামলা কখনোই মেনে নিব না।” আজ বুধবার (১৬ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এই মন্তব্য করেন, যা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে দিয়েছে।


 

জাহিদুল ইসলামের ফেসবুক পোস্ট: ‘লড়াই অব্যাহত থাকবে!’

 

ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, “আমাদের লড়াই ফ্যাসিবাদের শিকড় উপড়ে ফেলা পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।” তার এই মন্তব্য গোপালগঞ্জের চলমান সহিংসতার পর রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে ক্রমবর্ধমান সংঘাতের ইঙ্গিত দিচ্ছে, সেটাই স্পষ্ট করে।


 

গোপালগঞ্জে দিনভর সংঘাতের চিত্র: হামলা-পাল্টা হামলা!

 

উল্লেখ্য, আজ বুধবার গোপালগঞ্জে এনসিপি’র সমাবেশকে কেন্দ্র করে দিনভর চরম উত্তেজনা বিরাজ করেছে। সমাবেশ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একদল ব্যক্তি এনসিপি নেতা-কর্মীদের ঘিরে হামলার চেষ্টা করে। তারা চারদিক থেকে এনসিপি’র নেতা-কর্মী ও পুলিশের গাড়ি আটকে দেয়। এই সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা সাউন্ড গ্রেনেড ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এরপর এনসিপি’র নেতা-কর্মীরা অন্য দিক দিয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

এর আগেও, বেলা পৌনে দুইটার দিকে ২০০ থেকে ৩০০ লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে এনসিপি’র সমাবেশস্থলে যায়। সে সময় মঞ্চের আশপাশে থাকা পুলিশ সদস্যরা দ্রুত আদালত চত্বরে ঢুকে পড়েন। একই সময়ে মঞ্চে ও মঞ্চের সামনে থাকা এনসিপি’র নেতা-কর্মীরাও দৌড়ে সরে যান। যারা হামলা চালান, তাঁরা সবাই আওয়ামী লীগের সমর্থক বলে এনসিপি’র নেতা-কর্মীরা অভিযোগ করেছিলেন।

এই হামলার পাশাপাশি সকালে গোপালগঞ্জে পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ইউএনও’র গাড়িবহরে হামলা, ডিসি বাংলোতে হামলা এবং জেলা কারাগারে হামলার মতো একাধিক ঘটনা ঘটেছে।

জাহিদুল ইসলামের এই কড়া মন্তব্য এবং ‘ফ্যাসিবাদের শিকড় উপড়ে ফেলার’ লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা, গোপালগঞ্জের পরিস্থিতিকে ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। দেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে এই সংঘাতের কী প্রভাব পড়ে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।


ট্যাগস: #জাহিদুলইসলাম #ছাত্রশিবির #গোপালগঞ্জ #এনসিপি #ফ্যাসিবাদ #রাজনৈতিকসহিংসতা #ব্রেকিংনিউজ #ফেসবুকপোস্ট #আওয়ামীলীগ #হামলা #সংঘাত