Hi

০৫:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ২১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ব্রেকিং: গোপালগঞ্জে নজিরবিহীন সহিংসতা! সংঘর্ষ-গুলি-ভাঙচুরে নিহত ৪, আহত অর্ধশতাধিক! শহরজুড়ে কারফিউ জারি, যুদ্ধাবস্থার মধ্যে রাত কাটছে গোপালগঞ্জের!

  • আপডেট : ০৩:২৬:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫
  • ৫৬৭ জন দেখেছে

গোপালগঞ্জ, ১৭ জুলাই ২০২৫ (সকাল ৯:২৫): বুধবার (১৬ জুলাই) জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পূর্বনির্ধারিত সমাবেশকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জ শহরে ছড়িয়ে পড়ে নজিরবিহীন সহিংসতা, যা এক কথায় রণক্ষেত্রে পরিণত করে পুরো এলাকাকে! শহরের কেন্দ্রস্থলে দফায় দফায় সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, গুলিবর্ষণ ও ভাঙচুরের পর সন্ধ্যায় পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও, শহরজুড়ে এখনো বিরাজ করছে চরম আতঙ্ক।


 

রক্তাক্ত গোপালগঞ্জ: নিহত ৪, আহত ৫০, জারি হয়েছে কারফিউ!

 

গোপালগঞ্জের আজকের দিনটি ছিল রক্তক্ষয়ী সংঘাতের সাক্ষী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পুলিশের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ কর্মীদের সঙ্গে এনসিপি’র একাধিকবার ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষে ইট-পাটকেল, ককটেল ও গুলিবিনিময়ে কমপক্ষে ৪ জন নিহত হয়েছেন, যা শহরের ইতিহাসে এক কালো অধ্যায়। এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জেলা প্রশাসন গতকাল রাত ৮টা থেকে শহরজুড়ে কারফিউ জারি করেছে। মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী ও বিজিবি।


 

সংঘর্ষের ক্ষতচিহ্ন: ‘ভাঙা তোরণ, ছেঁড়া ফেস্টুন, পুড়ে যাওয়া চেয়ার!’

 

সংঘর্ষের ক্ষতচিহ্ন এখনো স্পষ্ট শহরের আনাচে-কানাচে। পুরাতন বাসস্ট্যান্ড, আদালত চত্বর ও ভাটিয়াপাড়া মোড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ভাঙা তোরণ, ছেঁড়া ফেস্টুন এবং ইট-পাটকেল। সমাবেশস্থলে দেখা গেছে পুড়ে যাওয়া চেয়ার ও সাউন্ড সিস্টেমের টুকরো, যা গতকালের ভয়াবহতার চিত্র তুলে ধরছে।

জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শহরে যৌথ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও, এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কমপক্ষে ২০ জনকে আটক করা হয়েছে, এবং আরও অনেককে শনাক্ত করে গ্রেফতার অভিযান চলছে।


 

যুদ্ধাবস্থায় থমথমে গোপালগঞ্জ: ‘একপ্রকার যুদ্ধাবস্থার মধ্যে রাত পার করছে!’

 

গতকাল সন্ধ্যার পর থেকে শহরের সমস্ত দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। রাস্তায় নেই কোনো যানবাহন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে কেউ বের হচ্ছেন না। একপ্রকার যুদ্ধাবস্থার মধ্যে রাত পার করেছে গোপালগঞ্জবাসী। জনমনে তীব্র আতঙ্ক বিরাজ করছে এবং পরিস্থিতি কখন পুরোপুরি স্বাভাবিক হবে, তা এখনো অনিশ্চিত।

এই নজিরবিহীন সহিংসতা গোপালগঞ্জের ইতিহাসে এক চরম কলঙ্কজনক অধ্যায় হয়ে থাকবে।


ট্যাগস: #গোপালগঞ্জ #নজিরবিহীনসহিংসতা #এনসিপি #আওয়ামীলীগ #ছাত্রলীগ #যুবলীগ #সংঘর্ষ #কারফিউ #গুলিতেহত #আহত #সেনাবাহিনী #বিজিবি #ব্রেকিংনিউজ #যুদ্ধাবস্থা #রাজনৈতিকসংঘাত

ট্যাগ :
লেখক সম্পর্কে তথ্য

জনপ্রিয়

ঝিনাইদহে  হুলস্থুল! আ.লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ‘বিগ শট’ নেতারা হাজতে! পুরনো ‘ভাঙচুর’ মামলায় কাঁপছে রাজনীতি! 

ব্রেকিং: গোপালগঞ্জে নজিরবিহীন সহিংসতা! সংঘর্ষ-গুলি-ভাঙচুরে নিহত ৪, আহত অর্ধশতাধিক! শহরজুড়ে কারফিউ জারি, যুদ্ধাবস্থার মধ্যে রাত কাটছে গোপালগঞ্জের!

আপডেট : ০৩:২৬:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

গোপালগঞ্জ, ১৭ জুলাই ২০২৫ (সকাল ৯:২৫): বুধবার (১৬ জুলাই) জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পূর্বনির্ধারিত সমাবেশকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জ শহরে ছড়িয়ে পড়ে নজিরবিহীন সহিংসতা, যা এক কথায় রণক্ষেত্রে পরিণত করে পুরো এলাকাকে! শহরের কেন্দ্রস্থলে দফায় দফায় সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, গুলিবর্ষণ ও ভাঙচুরের পর সন্ধ্যায় পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও, শহরজুড়ে এখনো বিরাজ করছে চরম আতঙ্ক।


 

রক্তাক্ত গোপালগঞ্জ: নিহত ৪, আহত ৫০, জারি হয়েছে কারফিউ!

 

গোপালগঞ্জের আজকের দিনটি ছিল রক্তক্ষয়ী সংঘাতের সাক্ষী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পুলিশের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ কর্মীদের সঙ্গে এনসিপি’র একাধিকবার ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষে ইট-পাটকেল, ককটেল ও গুলিবিনিময়ে কমপক্ষে ৪ জন নিহত হয়েছেন, যা শহরের ইতিহাসে এক কালো অধ্যায়। এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জেলা প্রশাসন গতকাল রাত ৮টা থেকে শহরজুড়ে কারফিউ জারি করেছে। মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী ও বিজিবি।


 

সংঘর্ষের ক্ষতচিহ্ন: ‘ভাঙা তোরণ, ছেঁড়া ফেস্টুন, পুড়ে যাওয়া চেয়ার!’

 

সংঘর্ষের ক্ষতচিহ্ন এখনো স্পষ্ট শহরের আনাচে-কানাচে। পুরাতন বাসস্ট্যান্ড, আদালত চত্বর ও ভাটিয়াপাড়া মোড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ভাঙা তোরণ, ছেঁড়া ফেস্টুন এবং ইট-পাটকেল। সমাবেশস্থলে দেখা গেছে পুড়ে যাওয়া চেয়ার ও সাউন্ড সিস্টেমের টুকরো, যা গতকালের ভয়াবহতার চিত্র তুলে ধরছে।

জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শহরে যৌথ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও, এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কমপক্ষে ২০ জনকে আটক করা হয়েছে, এবং আরও অনেককে শনাক্ত করে গ্রেফতার অভিযান চলছে।


 

যুদ্ধাবস্থায় থমথমে গোপালগঞ্জ: ‘একপ্রকার যুদ্ধাবস্থার মধ্যে রাত পার করছে!’

 

গতকাল সন্ধ্যার পর থেকে শহরের সমস্ত দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। রাস্তায় নেই কোনো যানবাহন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে কেউ বের হচ্ছেন না। একপ্রকার যুদ্ধাবস্থার মধ্যে রাত পার করেছে গোপালগঞ্জবাসী। জনমনে তীব্র আতঙ্ক বিরাজ করছে এবং পরিস্থিতি কখন পুরোপুরি স্বাভাবিক হবে, তা এখনো অনিশ্চিত।

এই নজিরবিহীন সহিংসতা গোপালগঞ্জের ইতিহাসে এক চরম কলঙ্কজনক অধ্যায় হয়ে থাকবে।


ট্যাগস: #গোপালগঞ্জ #নজিরবিহীনসহিংসতা #এনসিপি #আওয়ামীলীগ #ছাত্রলীগ #যুবলীগ #সংঘর্ষ #কারফিউ #গুলিতেহত #আহত #সেনাবাহিনী #বিজিবি #ব্রেকিংনিউজ #যুদ্ধাবস্থা #রাজনৈতিকসংঘাত