Hi

০৪:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ২০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজায় কাফনের কাপড় ফুরিয়ে যাওয়ায় নিহতদের দাফনে চরম দুর্ভোগ

ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় বিপর্যস্ত গাজা উপত্যকায় নিহত ফিলিস্তিনিদের দাফনের জন্য প্রয়োজনীয় কাফনের কাপড় প্রায় শেষ হয়ে গেছে। এই মর্মান্তিক পরিস্থিতিতে নিহতদের স্বজনরা তাদের প্রিয়জনদের যথাযথভাবে শেষ বিদায় জানাতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।

শনিবার, ১৭ মে ২০২৫ তারিখের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সকাল থেকেই গাজার হাসপাতালগুলোতে আহত ফিলিস্তিনিদের ব্যাপক ভিড় দেখা গেছে, যা তাদের ধারণক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। একদিকে চিকিৎসার সরঞ্জামের অভাব, অন্যদিকে মৃতদেহ সৎকারের জন্য কাফনের কাপড় ও সাবানের দুষ্প্রাপ্যতা পরিস্থিতিকে আরও অমানবিক করে তুলেছে। হাসপাতালগুলোতে আর কোনো কাফন অবশিষ্ট না থাকায়, হামলায় নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা তাদের প্রিয়জনদের জন্য উপযুক্ত দাফনের ব্যবস্থা করতে পারছেন না।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ইসরায়েলি বাহিনী গাজা শহরের পূর্বাঞ্চলে নির্বিচারে ঘরবাড়ি ধ্বংস করছে, যা সেখানকার পরিস্থিতিকে অত্যন্ত উদ্বেগজনক করে তুলেছে। বিস্ফোরণের তীব্র শব্দে চারিদিক কেঁপে উঠছে এবং অসংখ্য মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন।

গ্লিয়া ইন্টারন্যাশনালের মেডিকেল স্বেচ্ছাসেবক আফিফ নেসৌলি জানিয়েছেন, গাজার পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। উত্তর গাজায় সহিংসতা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতালগুলোতে আহতদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। প্রয়োজনীয় ঔষধ ও সরঞ্জামের অভাবে পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে পড়েছে।

দীর্ঘদিনের অবরোধের কারণে এমনিতেই গাজার মানুষ চরম খাদ্য সংকটে ভুগছে। তার ওপর এই লাগাতার হামলায় পরিস্থিতি আরও অসহনীয় হয়ে উঠেছে। ক্ষুধার্ত শিশুরা ময়লাযুক্ত রুটি ও মাটি থেকে কুড়ানো চাল খেতে বাধ্য হচ্ছে। শুক্রবার ভোর থেকে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ১১৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার ফলে হাজার হাজার মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন।

ট্যাগ :
লেখক সম্পর্কে তথ্য

শৈলকুপায় বজ্রপাতে ১ কৃষকের মৃত্যু

গাজায় কাফনের কাপড় ফুরিয়ে যাওয়ায় নিহতদের দাফনে চরম দুর্ভোগ

আপডেট : ০৬:২৯:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় বিপর্যস্ত গাজা উপত্যকায় নিহত ফিলিস্তিনিদের দাফনের জন্য প্রয়োজনীয় কাফনের কাপড় প্রায় শেষ হয়ে গেছে। এই মর্মান্তিক পরিস্থিতিতে নিহতদের স্বজনরা তাদের প্রিয়জনদের যথাযথভাবে শেষ বিদায় জানাতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।

শনিবার, ১৭ মে ২০২৫ তারিখের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সকাল থেকেই গাজার হাসপাতালগুলোতে আহত ফিলিস্তিনিদের ব্যাপক ভিড় দেখা গেছে, যা তাদের ধারণক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। একদিকে চিকিৎসার সরঞ্জামের অভাব, অন্যদিকে মৃতদেহ সৎকারের জন্য কাফনের কাপড় ও সাবানের দুষ্প্রাপ্যতা পরিস্থিতিকে আরও অমানবিক করে তুলেছে। হাসপাতালগুলোতে আর কোনো কাফন অবশিষ্ট না থাকায়, হামলায় নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা তাদের প্রিয়জনদের জন্য উপযুক্ত দাফনের ব্যবস্থা করতে পারছেন না।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ইসরায়েলি বাহিনী গাজা শহরের পূর্বাঞ্চলে নির্বিচারে ঘরবাড়ি ধ্বংস করছে, যা সেখানকার পরিস্থিতিকে অত্যন্ত উদ্বেগজনক করে তুলেছে। বিস্ফোরণের তীব্র শব্দে চারিদিক কেঁপে উঠছে এবং অসংখ্য মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন।

গ্লিয়া ইন্টারন্যাশনালের মেডিকেল স্বেচ্ছাসেবক আফিফ নেসৌলি জানিয়েছেন, গাজার পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। উত্তর গাজায় সহিংসতা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতালগুলোতে আহতদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। প্রয়োজনীয় ঔষধ ও সরঞ্জামের অভাবে পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে পড়েছে।

দীর্ঘদিনের অবরোধের কারণে এমনিতেই গাজার মানুষ চরম খাদ্য সংকটে ভুগছে। তার ওপর এই লাগাতার হামলায় পরিস্থিতি আরও অসহনীয় হয়ে উঠেছে। ক্ষুধার্ত শিশুরা ময়লাযুক্ত রুটি ও মাটি থেকে কুড়ানো চাল খেতে বাধ্য হচ্ছে। শুক্রবার ভোর থেকে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ১১৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার ফলে হাজার হাজার মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন।