ফিলিস্তিনের গাজা যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে লন্ডনের রয়াল কলেজ অব ডিফেন্স স্টাডিজ (RCDS) ইসরায়েলি নাগরিকদের ভর্তি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সোমবার ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য টাইমস ও দ্য টেলিগ্রাফ এ খবর প্রকাশ করেছে।
সিদ্ধান্তের মূল কারণ ও প্রেক্ষাপট
- ভর্তি নিষেধাজ্ঞা: ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এই স্নাতকোত্তর কলেজটি আগামী বছর থেকে ইসরায়েলি শিক্ষার্থীদের আর ভর্তি করবে না। এই কলেজটি যুক্তরাজ্য এবং আন্তর্জাতিক সশস্ত্র বাহিনী ও সিভিল সার্ভিসের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের জন্য কৌশলগত প্রশিক্ষণ প্রদান করে।
- ব্রিটিশ সরকারের অবস্থান: প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সরকার গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখতে চাইছে। এর অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আগেও যুক্তরাজ্য গাজায় ব্যবহৃত অস্ত্রের জন্য ইসরায়েলে কিছু অস্ত্র রপ্তানি লাইসেন্স স্থগিত করেছে।
- অস্ত্র মেলার ঘটনা: গত সপ্তাহে লন্ডনে অনুষ্ঠিত একটি বড় অস্ত্র মেলায় ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণও নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। যদিও ৫১টি ইসরায়েলি অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সেই মেলায় অংশ নেয়, যা ফিলিস্তিনপন্থীদের প্রতিবাদের কারণ হয়।
ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া
এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক আমির বারাম। তিনি নিজেও এই কলেজের একজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী।
- বৈষম্যমূলক: তিনি এই সিদ্ধান্তকে ‘বৈষম্যমূলক’ এবং ‘যুদ্ধরত মিত্রের প্রতি অবিশ্বাস’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
- আত্মঘাতী পদক্ষেপ: ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে লেখা এক চিঠিতে তিনি বলেছেন, ইসরায়েলের প্রতি এই ধরনের পদক্ষেপ যুক্তরাজ্যের নিরাপত্তার জন্য ‘স্ব-বিনাশের কাজ’ ছাড়া আর কিছু নয়।
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে এই পদক্ষেপগুলো থেকে বোঝা যায় যে গাজা যুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাজ্যের সরকার ও জনগণের মধ্যে ইসরায়েলের প্রতি এক ধরনের অসন্তোষ বাড়ছে