“যুদ্ধের আগে জোট”: ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আঞ্চলিক জোট গঠনের আহ্বান ইরানি কর্মকর্তাদের
রেজাইয়ের হুঁশিয়ারি: ‘যদি এখন না জোট বাঁধো, কাল বোমা পড়বে রিয়াদে, আঙ্কারায়’
ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) সাবেক প্রধান এবং দেশটির অন্যতম প্রভাবশালী কৌশলবিদ মোহসেন রেজাই শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) এক্স-এ (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে সৌদি আরব, তুরস্ক ও ইরাককে প্রকাশ্যে সতর্ক করে বলেন, তারা যদি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সামরিক জোট গঠনে ব্যর্থ হয়, তবে তাদের নিজ ভূমিতেই ইসরায়েলি বোমা বর্ষণের ঝুঁকি তৈরি হবে।
তিনি লেখেন:
“যদি দোহায় আসন্ন শীর্ষ সম্মেলন গাজায় গণহত্যা ও মুসলিম দেশগুলোর বিরুদ্ধে আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় বাস্তব পদক্ষেপ না নেয়, তবে সৌদি আরব, তুরস্ক ও ইরাকও হামলার লক্ষ্যবস্তু হতে পারে।”
আরও হুঁশিয়ারি: “নতুন ফ্রন্ট খুলতে পারে ইসরায়েল”
ইসরায়েলি পত্রিকা হারেৎজ ও টাইমস অব ইসরায়েল সম্প্রতি আভাস দেয়, তেল আবিব হামাস নেতৃত্বকে লক্ষ্য করে কাতারে হামলা চালানোর পর তুরস্কের বিরুদ্ধে একটি সম্ভাব্য ফ্রন্ট বিবেচনা করছে।
বিশ্লেষকদের মতে:
- আঙ্কারার সঙ্গে সংঘর্ষ কাতারের তুলনায় অনেক বেশি কৌশলগত ও সামরিক বিপর্যয় ডেকে আনবে।
- তেল আবিব পূর্বে ন্যাটোর সদস্য হওয়ার কারণে তুরস্ককে সরাসরি আক্রমণ থেকে বিরত ছিল।
- এখন পরিস্থিতি বদলাচ্ছে—আরেকটি ফ্রন্ট খুললে তা সার্বিক আঞ্চলিক যুদ্ধের জন্ম দিতে পারে।
আহ্বান: “যৌথ সামরিক সদর দপ্তর গঠন করো”
ইরানের শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা আলী লারিজানিও একই দিন বলেন:
“ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের উন্মাদনা বন্ধ করতে মুসলিম দেশগুলোকে একটি যৌথ অভিযান সদর দপ্তর গঠন করতে হবে।”
এ বক্তব্যে উঠে আসে একটি “প্যান-মুসলিম প্রতিরোধ কাঠামো” গঠনের চাপ, যা কূটনৈতিক পথের বাইরে চলে গিয়ে একটি সামরিক উদ্যোগে পরিণত হতে পারে।
বিশ্লেষণ: কী ঘটতে যাচ্ছে?
বিষয় | বিশ্লেষণ |
---|---|
ইরানের অবস্থান | ইসরায়েলবিরোধী অবস্থানে আরও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে |
আরব-তুর্কি প্রতিক্রিয়া | এখনো সাবধানী—কূটনৈতিক বার্তায় সীমাবদ্ধ, সামরিক প্রতিক্রিয়া অনুপস্থিত |
ইসরায়েলের কৌশল | ফ্রন্ট স্থানান্তর করে প্রতিপক্ষকে চাপে রাখা |
মুসলিম বিশ্বের অবস্থা | ঐক্যের অভাব, নেতৃত্বের দুর্বলতা ও রাজনৈতিক বিভাজন প্রকট |
উপসংহার: দোহা সম্মেলন কি হবে প্রতিরোধের টার্নিং পয়েন্ট?
মোহসেন রেজাইয়ের মতো প্রভাবশালী ব্যক্তিদের প্রকাশ্য হুঁশিয়ারি এবং কৌশলগত জোটের প্রস্তাব এখন সরাসরি সংঘাতের সম্ভাবনার ছায়া ফেলছে মধ্যপ্রাচ্যে। আসন্ন দোহা ইসলামিক-আরব শীর্ষ সম্মেলন হবে কি কেবল নিন্দা আর বিবৃতির মিলনমেলা, না কি সেখান থেকেই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নতুন জোট ও নীতিগত অবস্থান গঠিত হবে—তা বিশ্ব নজর দিয়ে দেখছে।
প্রস্তাবিত শিরোনাম (বিকল্প):
🔥 “দোহা সম্মেলন ব্যর্থ হলে বোমা পড়বে রিয়াদে” — ইরানি হুঁশিয়ারি
- 🛡️ “যুদ্ধের আগেই জোট বাঁধো”: ইসরায়েলের আগ্রাসনে আঞ্চলিক সংকট ঘনীভূত
- ⚔️ মুসলিম বিশ্ব কি যৌথ সামরিক জোট গড়বে? ইরানের সতর্কবার্তা আলোচনার কেন্দ্রে