Hi

০১:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সৌদি, তুরস্ক ও ইরাকের জন্যও ইসরায়েলি বোমা অপেক্ষা করছে: সাবেক আইআরজিসি প্রধান

  • আপডেট : ০৭:১১:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫২৫ জন দেখেছে

“যুদ্ধের আগে জোট”: ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আঞ্চলিক জোট গঠনের আহ্বান ইরানি কর্মকর্তাদের

রেজাইয়ের হুঁশিয়ারি: ‘যদি এখন না জোট বাঁধো, কাল বোমা পড়বে রিয়াদে, আঙ্কারায়’

ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) সাবেক প্রধান এবং দেশটির অন্যতম প্রভাবশালী কৌশলবিদ মোহসেন রেজাই শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) এক্স-এ (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে সৌদি আরব, তুরস্ক ও ইরাককে প্রকাশ্যে সতর্ক করে বলেন, তারা যদি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সামরিক জোট গঠনে ব্যর্থ হয়, তবে তাদের নিজ ভূমিতেই ইসরায়েলি বোমা বর্ষণের ঝুঁকি তৈরি হবে।

তিনি লেখেন:

“যদি দোহায় আসন্ন শীর্ষ সম্মেলন গাজায় গণহত্যা ও মুসলিম দেশগুলোর বিরুদ্ধে আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় বাস্তব পদক্ষেপ না নেয়, তবে সৌদি আরব, তুরস্ক ও ইরাকও হামলার লক্ষ্যবস্তু হতে পারে।”

আরও হুঁশিয়ারি: “নতুন ফ্রন্ট খুলতে পারে ইসরায়েল”

ইসরায়েলি পত্রিকা হারেৎজটাইমস অব ইসরায়েল সম্প্রতি আভাস দেয়, তেল আবিব হামাস নেতৃত্বকে লক্ষ্য করে কাতারে হামলা চালানোর পর তুরস্কের বিরুদ্ধে একটি সম্ভাব্য ফ্রন্ট বিবেচনা করছে।

বিশ্লেষকদের মতে:

  • আঙ্কারার সঙ্গে সংঘর্ষ কাতারের তুলনায় অনেক বেশি কৌশলগত ও সামরিক বিপর্যয় ডেকে আনবে।
  • তেল আবিব পূর্বে ন্যাটোর সদস্য হওয়ার কারণে তুরস্ককে সরাসরি আক্রমণ থেকে বিরত ছিল।
  • এখন পরিস্থিতি বদলাচ্ছে—আরেকটি ফ্রন্ট খুললে তা সার্বিক আঞ্চলিক যুদ্ধের জন্ম দিতে পারে।

আহ্বান: “যৌথ সামরিক সদর দপ্তর গঠন করো”

ইরানের শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা আলী লারিজানিও একই দিন বলেন:

“ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের উন্মাদনা বন্ধ করতে মুসলিম দেশগুলোকে একটি যৌথ অভিযান সদর দপ্তর গঠন করতে হবে।”

এ বক্তব্যে উঠে আসে একটি “প্যান-মুসলিম প্রতিরোধ কাঠামো” গঠনের চাপ, যা কূটনৈতিক পথের বাইরে চলে গিয়ে একটি সামরিক উদ্যোগে পরিণত হতে পারে।

বিশ্লেষণ: কী ঘটতে যাচ্ছে?

বিষয় বিশ্লেষণ
ইরানের অবস্থান ইসরায়েলবিরোধী অবস্থানে আরও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে
আরব-তুর্কি প্রতিক্রিয়া এখনো সাবধানী—কূটনৈতিক বার্তায় সীমাবদ্ধ, সামরিক প্রতিক্রিয়া অনুপস্থিত
ইসরায়েলের কৌশল ফ্রন্ট স্থানান্তর করে প্রতিপক্ষকে চাপে রাখা
মুসলিম বিশ্বের অবস্থা ঐক্যের অভাব, নেতৃত্বের দুর্বলতা ও রাজনৈতিক বিভাজন প্রকট

উপসংহার: দোহা সম্মেলন কি হবে প্রতিরোধের টার্নিং পয়েন্ট?

মোহসেন রেজাইয়ের মতো প্রভাবশালী ব্যক্তিদের প্রকাশ্য হুঁশিয়ারি এবং কৌশলগত জোটের প্রস্তাব এখন সরাসরি সংঘাতের সম্ভাবনার ছায়া ফেলছে মধ্যপ্রাচ্যে। আসন্ন দোহা ইসলামিক-আরব শীর্ষ সম্মেলন হবে কি কেবল নিন্দা আর বিবৃতির মিলনমেলা, না কি সেখান থেকেই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নতুন জোট ও নীতিগত অবস্থান গঠিত হবে—তা বিশ্ব নজর দিয়ে দেখছে।

প্রস্তাবিত শিরোনাম (বিকল্প):

🔥 “দোহা সম্মেলন ব্যর্থ হলে বোমা পড়বে রিয়াদে” — ইরানি হুঁশিয়ারি

  1. 🛡️ “যুদ্ধের আগেই জোট বাঁধো”: ইসরায়েলের আগ্রাসনে আঞ্চলিক সংকট ঘনীভূত
  2. ⚔️ মুসলিম বিশ্ব কি যৌথ সামরিক জোট গড়বে? ইরানের সতর্কবার্তা আলোচনার কেন্দ্রে

 

লেখক সম্পর্কে তথ্য

পলাতক হাসিনার জন্মদিন পালন ও গোপন বৈঠক, কলেজ অধ্যক্ষ বেলাল গ্রেফতার

সৌদি, তুরস্ক ও ইরাকের জন্যও ইসরায়েলি বোমা অপেক্ষা করছে: সাবেক আইআরজিসি প্রধান

আপডেট : ০৭:১১:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

“যুদ্ধের আগে জোট”: ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আঞ্চলিক জোট গঠনের আহ্বান ইরানি কর্মকর্তাদের

রেজাইয়ের হুঁশিয়ারি: ‘যদি এখন না জোট বাঁধো, কাল বোমা পড়বে রিয়াদে, আঙ্কারায়’

ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) সাবেক প্রধান এবং দেশটির অন্যতম প্রভাবশালী কৌশলবিদ মোহসেন রেজাই শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) এক্স-এ (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে সৌদি আরব, তুরস্ক ও ইরাককে প্রকাশ্যে সতর্ক করে বলেন, তারা যদি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সামরিক জোট গঠনে ব্যর্থ হয়, তবে তাদের নিজ ভূমিতেই ইসরায়েলি বোমা বর্ষণের ঝুঁকি তৈরি হবে।

তিনি লেখেন:

“যদি দোহায় আসন্ন শীর্ষ সম্মেলন গাজায় গণহত্যা ও মুসলিম দেশগুলোর বিরুদ্ধে আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় বাস্তব পদক্ষেপ না নেয়, তবে সৌদি আরব, তুরস্ক ও ইরাকও হামলার লক্ষ্যবস্তু হতে পারে।”

আরও হুঁশিয়ারি: “নতুন ফ্রন্ট খুলতে পারে ইসরায়েল”

ইসরায়েলি পত্রিকা হারেৎজটাইমস অব ইসরায়েল সম্প্রতি আভাস দেয়, তেল আবিব হামাস নেতৃত্বকে লক্ষ্য করে কাতারে হামলা চালানোর পর তুরস্কের বিরুদ্ধে একটি সম্ভাব্য ফ্রন্ট বিবেচনা করছে।

বিশ্লেষকদের মতে:

  • আঙ্কারার সঙ্গে সংঘর্ষ কাতারের তুলনায় অনেক বেশি কৌশলগত ও সামরিক বিপর্যয় ডেকে আনবে।
  • তেল আবিব পূর্বে ন্যাটোর সদস্য হওয়ার কারণে তুরস্ককে সরাসরি আক্রমণ থেকে বিরত ছিল।
  • এখন পরিস্থিতি বদলাচ্ছে—আরেকটি ফ্রন্ট খুললে তা সার্বিক আঞ্চলিক যুদ্ধের জন্ম দিতে পারে।

আহ্বান: “যৌথ সামরিক সদর দপ্তর গঠন করো”

ইরানের শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা আলী লারিজানিও একই দিন বলেন:

“ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের উন্মাদনা বন্ধ করতে মুসলিম দেশগুলোকে একটি যৌথ অভিযান সদর দপ্তর গঠন করতে হবে।”

এ বক্তব্যে উঠে আসে একটি “প্যান-মুসলিম প্রতিরোধ কাঠামো” গঠনের চাপ, যা কূটনৈতিক পথের বাইরে চলে গিয়ে একটি সামরিক উদ্যোগে পরিণত হতে পারে।

বিশ্লেষণ: কী ঘটতে যাচ্ছে?

বিষয় বিশ্লেষণ
ইরানের অবস্থান ইসরায়েলবিরোধী অবস্থানে আরও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে
আরব-তুর্কি প্রতিক্রিয়া এখনো সাবধানী—কূটনৈতিক বার্তায় সীমাবদ্ধ, সামরিক প্রতিক্রিয়া অনুপস্থিত
ইসরায়েলের কৌশল ফ্রন্ট স্থানান্তর করে প্রতিপক্ষকে চাপে রাখা
মুসলিম বিশ্বের অবস্থা ঐক্যের অভাব, নেতৃত্বের দুর্বলতা ও রাজনৈতিক বিভাজন প্রকট

উপসংহার: দোহা সম্মেলন কি হবে প্রতিরোধের টার্নিং পয়েন্ট?

মোহসেন রেজাইয়ের মতো প্রভাবশালী ব্যক্তিদের প্রকাশ্য হুঁশিয়ারি এবং কৌশলগত জোটের প্রস্তাব এখন সরাসরি সংঘাতের সম্ভাবনার ছায়া ফেলছে মধ্যপ্রাচ্যে। আসন্ন দোহা ইসলামিক-আরব শীর্ষ সম্মেলন হবে কি কেবল নিন্দা আর বিবৃতির মিলনমেলা, না কি সেখান থেকেই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নতুন জোট ও নীতিগত অবস্থান গঠিত হবে—তা বিশ্ব নজর দিয়ে দেখছে।

প্রস্তাবিত শিরোনাম (বিকল্প):

🔥 “দোহা সম্মেলন ব্যর্থ হলে বোমা পড়বে রিয়াদে” — ইরানি হুঁশিয়ারি

  1. 🛡️ “যুদ্ধের আগেই জোট বাঁধো”: ইসরায়েলের আগ্রাসনে আঞ্চলিক সংকট ঘনীভূত
  2. ⚔️ মুসলিম বিশ্ব কি যৌথ সামরিক জোট গড়বে? ইরানের সতর্কবার্তা আলোচনার কেন্দ্রে