Hi

০৬:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ২০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সীমান্তে সংঘর্ষে যুদ্ধবিরতির অনুরোধ করেছিল ভারত, দাবি পাকিস্তানের

সাম্প্রতিক সংঘাতে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতির অনুরোধ করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে পাকিস্তান। দেশটির সামরিক বাহিনীর মিডিয়া উইং আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর)-এর মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী এই দাবি করেছেন। তিনি আরও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ ক্ষমতাধর দেশগুলো পাকিস্তানের শান্তিপূর্ণ অবস্থানকে সম্মান জানিয়েছে। সোমবার (১৯ মে) পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এআরওয়াই নিউজ এই তথ্য জানিয়েছে।

আইএসপিআর মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি অ্যারাবিককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেন, সীমান্তে সংঘর্ষে “উপযুক্ত জবাব” পাওয়ার পরই ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পাকিস্তানের কাছে যুদ্ধবিরতির জন্য অনুরোধ করেছিল। তিনি জানান, গত ৬ ও ৭ মে রাতে ভারত পাকিস্তানের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। এর জবাবে পাকিস্তান দ্রুত ও কঠোর প্রতিক্রিয়া জানায় এবং তাদের বিমানবাহিনী পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে।

তিনি বলেন, “সারাদেশ এবং সেনাবাহিনী একত্রে একটি অটুট প্রাচীরের মতো রুখে দাঁড়িয়েছিল। ৯ ও ১০ মে রাতে ভারত আবারও ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে আতঙ্ক তৈরি করতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা ভুলে গিয়েছিল, পাকিস্তানিরা ভয় পাওয়ার জাতি নয়।” জেনারেল শরিফ আরও দাবি করেন, এরপর ১০ মে সকালে পাকিস্তান সতর্কতা ও সংযম বজায় রেখে শুধুমাত্র ভারতীয় সামরিক স্থাপনায় আঘাত হানে, কোনো বেসামরিক স্থাপনায় নয়। তিনি এটিকে “সুষম, ন্যায্য ও নিয়ন্ত্রিত জবাব” বলে উল্লেখ করেন।

আন্তর্জাতিক মহলে পাকিস্তানের কূটনৈতিক তৎপরতার প্রশংসা করে তিনি বলেন, “আমরা সহিংস নই, দায়িত্বশীল। শান্তিই আমাদের অগ্রাধিকার।” যুক্তরাষ্ট্রসহ বড় শক্তিধর দেশগুলো পাকিস্তানের শান্তিপূর্ণ অবস্থানকে সম্মান জানিয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

ভারতের বিরুদ্ধে আবারও সন্ত্রাসে মদদ দেওয়ার অভিযোগ তুলে আইএসপিআর প্রধান বলেন, “নয়াদিল্লি বারবার মিথ্যা প্রচার চালিয়ে সত্য আড়াল করার চেষ্টা করে থাকে।” কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর সাম্প্রতিক হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভারতীয় গণমাধ্যম পাকিস্তানকে দোষারোপ করে, অথচ দুই দিন পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, তদন্ত এখনও চলছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “যখন তদন্তই শেষ হয়নি, তখনই দোষারোপ কতটা যুক্তিসঙ্গত?” পাকিস্তান ভারতের কাছে প্রমাণ থাকলে নিরপেক্ষ সংস্থার মাধ্যমে তদন্তের প্রস্তাব দিলেও ভারত তা প্রত্যাখ্যান করে একতরফাভাবে আগ্রাসন চালায় বলেও তিনি অভিযোগ করেন। ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় মসজিদসহ বেসামরিক স্থাপনা লক্ষ্যবস্তু করা হয় এবং এতে নারী, শিশু ও বয়স্কদের মৃত্যু হয় বলেও তিনি দাবি করেন।

ট্যাগ :
লেখক সম্পর্কে তথ্য

শৈলকুপায় বজ্রপাতে ১ কৃষকের মৃত্যু

সীমান্তে সংঘর্ষে যুদ্ধবিরতির অনুরোধ করেছিল ভারত, দাবি পাকিস্তানের

আপডেট : ০৭:৩১:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫

সাম্প্রতিক সংঘাতে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতির অনুরোধ করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে পাকিস্তান। দেশটির সামরিক বাহিনীর মিডিয়া উইং আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর)-এর মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী এই দাবি করেছেন। তিনি আরও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ ক্ষমতাধর দেশগুলো পাকিস্তানের শান্তিপূর্ণ অবস্থানকে সম্মান জানিয়েছে। সোমবার (১৯ মে) পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এআরওয়াই নিউজ এই তথ্য জানিয়েছে।

আইএসপিআর মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি অ্যারাবিককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেন, সীমান্তে সংঘর্ষে “উপযুক্ত জবাব” পাওয়ার পরই ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পাকিস্তানের কাছে যুদ্ধবিরতির জন্য অনুরোধ করেছিল। তিনি জানান, গত ৬ ও ৭ মে রাতে ভারত পাকিস্তানের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। এর জবাবে পাকিস্তান দ্রুত ও কঠোর প্রতিক্রিয়া জানায় এবং তাদের বিমানবাহিনী পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে।

তিনি বলেন, “সারাদেশ এবং সেনাবাহিনী একত্রে একটি অটুট প্রাচীরের মতো রুখে দাঁড়িয়েছিল। ৯ ও ১০ মে রাতে ভারত আবারও ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে আতঙ্ক তৈরি করতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা ভুলে গিয়েছিল, পাকিস্তানিরা ভয় পাওয়ার জাতি নয়।” জেনারেল শরিফ আরও দাবি করেন, এরপর ১০ মে সকালে পাকিস্তান সতর্কতা ও সংযম বজায় রেখে শুধুমাত্র ভারতীয় সামরিক স্থাপনায় আঘাত হানে, কোনো বেসামরিক স্থাপনায় নয়। তিনি এটিকে “সুষম, ন্যায্য ও নিয়ন্ত্রিত জবাব” বলে উল্লেখ করেন।

আন্তর্জাতিক মহলে পাকিস্তানের কূটনৈতিক তৎপরতার প্রশংসা করে তিনি বলেন, “আমরা সহিংস নই, দায়িত্বশীল। শান্তিই আমাদের অগ্রাধিকার।” যুক্তরাষ্ট্রসহ বড় শক্তিধর দেশগুলো পাকিস্তানের শান্তিপূর্ণ অবস্থানকে সম্মান জানিয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

ভারতের বিরুদ্ধে আবারও সন্ত্রাসে মদদ দেওয়ার অভিযোগ তুলে আইএসপিআর প্রধান বলেন, “নয়াদিল্লি বারবার মিথ্যা প্রচার চালিয়ে সত্য আড়াল করার চেষ্টা করে থাকে।” কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর সাম্প্রতিক হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভারতীয় গণমাধ্যম পাকিস্তানকে দোষারোপ করে, অথচ দুই দিন পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, তদন্ত এখনও চলছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “যখন তদন্তই শেষ হয়নি, তখনই দোষারোপ কতটা যুক্তিসঙ্গত?” পাকিস্তান ভারতের কাছে প্রমাণ থাকলে নিরপেক্ষ সংস্থার মাধ্যমে তদন্তের প্রস্তাব দিলেও ভারত তা প্রত্যাখ্যান করে একতরফাভাবে আগ্রাসন চালায় বলেও তিনি অভিযোগ করেন। ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় মসজিদসহ বেসামরিক স্থাপনা লক্ষ্যবস্তু করা হয় এবং এতে নারী, শিশু ও বয়স্কদের মৃত্যু হয় বলেও তিনি দাবি করেন।