Hi

০৩:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কাকে দেখেই নেপালে সরকার পতনের আন্দোলন

  • আপডেট : ১০:৩৮:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫১৬ জন দেখেছে

নেপালে গণতান্ত্রিক তরুণ আন্দোলনের জোরে কে পি শর্মা ওলির সরকার পতন ঘটলো মাত্র দুই দিনের বিক্ষোভের পর। দুর্নীতি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ এবং সরকারের প্রতি দীর্ঘদিনের জনঅসন্তোষ এই আন্দোলনের মূল কারণ।

আন্দোলনের পটভূমি:

  • দুর্নীতি ও অর্থ অপচয়ের অভিযোগ বেশ কয়েক বছর ধরেই পার্লামেন্ট ও সাধারণ জনগণের মাঝে বিরাজ করছে।
  • ২০১৭ সালের এয়ারবাস চুক্তি যেখানে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে প্রায় ১.৪৭ বিলিয়ন রুপি ক্ষতি হয়, সেটি ছিল সবচেয়ে বিতর্কিত বিষয়গুলোর একটি।
  • কর প্রদান করলেও সেগুলোর সঠিক ব্যবহার না হওয়ায় তরুণদের ক্ষোভ আরও বাড়ে।

আন্দোলনের বৈশিষ্ট্য:

  • তরুণ ও শিক্ষার্থীরা সক্রিয়ভাবে বিক্ষোভে অংশ নেয়।
  • কোনো রাজনৈতিক দলের সরাসরি প্রভাব লক্ষণীয় ছিল না, এটি ছিল মূলত জনগণভিত্তিক।
  • বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার সাম্প্রতিক সফল গণআন্দোলন তরুণদের আন্দোলনে অনুপ্রেরণা যোগায়।
  • সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাজনীতিবিদদের বিলাসবহুল জীবনযাত্রার ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়া বঞ্চনার অনুভূতি বাড়ায়।
  • সরকার যখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম (ফেসবুকসহ) বন্ধ করে দেয়, তখন ক্ষোভ তীব্র হয়।

বিক্ষোভের ধরণ ও ফলাফল:

  • বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়ে, অন্তত ১৯ জন নিহত ও ৫০০-এর বেশি আহত হয়।
  • পুলিশি গুলিতে সহিংসতা বাড়ে, আন্দোলন তীব্রতর হয়।
  • পরের দিন, প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি পদত্যাগের ঘোষণা দেন।বিশ্লেষণ:নেপালের তরুণ প্রজন্ম দুর্নীতি, শাসকদলের স্বৈরাচারী মনোভাব এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক অধিকারের জন্য একতাবদ্ধ হয়েছে। প্রতিবেশী বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কায় তরুণ নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের সফলতা তাদেরকে সাহস যুগিয়েছে। সামাজিক ও রাজনৈতিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে এই তরুণদের রোষ এবং সরকারের কঠোর পদক্ষেপের মধ্যে সংঘাত নেপালের রাজনৈতিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
লেখক সম্পর্কে তথ্য

পলাতক হাসিনার জন্মদিন পালন ও গোপন বৈঠক, কলেজ অধ্যক্ষ বেলাল গ্রেফতার

বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কাকে দেখেই নেপালে সরকার পতনের আন্দোলন

আপডেট : ১০:৩৮:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নেপালে গণতান্ত্রিক তরুণ আন্দোলনের জোরে কে পি শর্মা ওলির সরকার পতন ঘটলো মাত্র দুই দিনের বিক্ষোভের পর। দুর্নীতি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ এবং সরকারের প্রতি দীর্ঘদিনের জনঅসন্তোষ এই আন্দোলনের মূল কারণ।

আন্দোলনের পটভূমি:

  • দুর্নীতি ও অর্থ অপচয়ের অভিযোগ বেশ কয়েক বছর ধরেই পার্লামেন্ট ও সাধারণ জনগণের মাঝে বিরাজ করছে।
  • ২০১৭ সালের এয়ারবাস চুক্তি যেখানে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে প্রায় ১.৪৭ বিলিয়ন রুপি ক্ষতি হয়, সেটি ছিল সবচেয়ে বিতর্কিত বিষয়গুলোর একটি।
  • কর প্রদান করলেও সেগুলোর সঠিক ব্যবহার না হওয়ায় তরুণদের ক্ষোভ আরও বাড়ে।

আন্দোলনের বৈশিষ্ট্য:

  • তরুণ ও শিক্ষার্থীরা সক্রিয়ভাবে বিক্ষোভে অংশ নেয়।
  • কোনো রাজনৈতিক দলের সরাসরি প্রভাব লক্ষণীয় ছিল না, এটি ছিল মূলত জনগণভিত্তিক।
  • বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার সাম্প্রতিক সফল গণআন্দোলন তরুণদের আন্দোলনে অনুপ্রেরণা যোগায়।
  • সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাজনীতিবিদদের বিলাসবহুল জীবনযাত্রার ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়া বঞ্চনার অনুভূতি বাড়ায়।
  • সরকার যখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম (ফেসবুকসহ) বন্ধ করে দেয়, তখন ক্ষোভ তীব্র হয়।

বিক্ষোভের ধরণ ও ফলাফল:

  • বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়ে, অন্তত ১৯ জন নিহত ও ৫০০-এর বেশি আহত হয়।
  • পুলিশি গুলিতে সহিংসতা বাড়ে, আন্দোলন তীব্রতর হয়।
  • পরের দিন, প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি পদত্যাগের ঘোষণা দেন।বিশ্লেষণ:নেপালের তরুণ প্রজন্ম দুর্নীতি, শাসকদলের স্বৈরাচারী মনোভাব এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক অধিকারের জন্য একতাবদ্ধ হয়েছে। প্রতিবেশী বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কায় তরুণ নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের সফলতা তাদেরকে সাহস যুগিয়েছে। সামাজিক ও রাজনৈতিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে এই তরুণদের রোষ এবং সরকারের কঠোর পদক্ষেপের মধ্যে সংঘাত নেপালের রাজনৈতিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হয়ে দাঁড়িয়েছে।