Hi

০৩:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বন্দিদের মুক্তির ক্ষেত্রে একমাত্র বাধা নেতানিয়াহু- ইসরায়েলি পরিবারগুলোর অভিযোগ

  • আপডেট : ০৭:১৯:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫১৭ জন দেখেছে

হামাস বন্দিদের মুক্তিতে প্রধান বাধা ইসরায়েলের নেতানিয়াহু: পরিবারগুলোর অভিযোগ

হামাসের হাতে বন্দি থাকা ইসরায়েলি বন্দিদের পরিবারগুলো অভিযোগ করেছেন, বন্দিদের মুক্তির পথে প্রধান বাধা হল দেশের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তারা বলেন, নেতানিয়াহুর কাতারে হামাসের সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক বিমান হামলা শান্তি প্রক্রিয়াকে ভাঙার একটি কৌশল।

গত সপ্তাহে, ইসরায়েল কাতারের রাজধানী দোহায় হামাসের শীর্ষ নেতাদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায়, যেখানে হামাসের পাঁচ সদস্য ও এক কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত হন। ইসরায়েলি পরিবারগুলো বলেন, এই হামলা প্রমাণ করে যে বন্দিদের মুক্তি এবং যুদ্ধ শেষ করার একমাত্র বাধা হল প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু।

নেতানিয়াহু বলেন, হামাস নেতাদের ধ্বংস করলে বন্দিদের মুক্তি এবং যুদ্ধে সমাপ্তি আনার পথ খুলবে। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে এ বক্তব্যকে ‘অজুহাত’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে, যা শুধুমাত্র নেতানিয়াহুর ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।

একই দিনে মার্কো রুবিও ইসরায়েল সফর করেন এবং নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। রুবিও বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কাতারে হামলা নিয়ে সন্তুষ্ট নন, কিন্তু মার্কিন-ইসরায়েল সম্পর্ক অটুট রয়েছে। তিনি বলেন, ট্রাম্পের অগ্রাধিকার সব বন্দিকে ফিরিয়ে আনা এবং গাজার যুদ্ধ শেষ করা।

কাতার হামলার ব্যাপারে রুবিও বলেন, কাতার মধ্যপ্রাচ্যের গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন মিত্র এবং এখানে একটি বড় ইউএস বিমান ঘাঁটি রয়েছে। কাতার এই হামলাকে ‘আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন’ হিসেবে নিন্দা করেছে। নেতানিয়াহু অবশ্য দাবি করেন, এই হামলা ‘ন্যায্য’ ছিল, কারণ এটি ৭ অক্টোবরের হামলার পরিকল্পনাকারী সিনিয়র হামাস নেতাদের লক্ষ্য করেছিল।

 

লেখক সম্পর্কে তথ্য

পলাতক হাসিনার জন্মদিন পালন ও গোপন বৈঠক, কলেজ অধ্যক্ষ বেলাল গ্রেফতার

বন্দিদের মুক্তির ক্ষেত্রে একমাত্র বাধা নেতানিয়াহু- ইসরায়েলি পরিবারগুলোর অভিযোগ

আপডেট : ০৭:১৯:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

হামাস বন্দিদের মুক্তিতে প্রধান বাধা ইসরায়েলের নেতানিয়াহু: পরিবারগুলোর অভিযোগ

হামাসের হাতে বন্দি থাকা ইসরায়েলি বন্দিদের পরিবারগুলো অভিযোগ করেছেন, বন্দিদের মুক্তির পথে প্রধান বাধা হল দেশের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তারা বলেন, নেতানিয়াহুর কাতারে হামাসের সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক বিমান হামলা শান্তি প্রক্রিয়াকে ভাঙার একটি কৌশল।

গত সপ্তাহে, ইসরায়েল কাতারের রাজধানী দোহায় হামাসের শীর্ষ নেতাদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায়, যেখানে হামাসের পাঁচ সদস্য ও এক কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত হন। ইসরায়েলি পরিবারগুলো বলেন, এই হামলা প্রমাণ করে যে বন্দিদের মুক্তি এবং যুদ্ধ শেষ করার একমাত্র বাধা হল প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু।

নেতানিয়াহু বলেন, হামাস নেতাদের ধ্বংস করলে বন্দিদের মুক্তি এবং যুদ্ধে সমাপ্তি আনার পথ খুলবে। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে এ বক্তব্যকে ‘অজুহাত’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে, যা শুধুমাত্র নেতানিয়াহুর ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।

একই দিনে মার্কো রুবিও ইসরায়েল সফর করেন এবং নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। রুবিও বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কাতারে হামলা নিয়ে সন্তুষ্ট নন, কিন্তু মার্কিন-ইসরায়েল সম্পর্ক অটুট রয়েছে। তিনি বলেন, ট্রাম্পের অগ্রাধিকার সব বন্দিকে ফিরিয়ে আনা এবং গাজার যুদ্ধ শেষ করা।

কাতার হামলার ব্যাপারে রুবিও বলেন, কাতার মধ্যপ্রাচ্যের গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন মিত্র এবং এখানে একটি বড় ইউএস বিমান ঘাঁটি রয়েছে। কাতার এই হামলাকে ‘আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন’ হিসেবে নিন্দা করেছে। নেতানিয়াহু অবশ্য দাবি করেন, এই হামলা ‘ন্যায্য’ ছিল, কারণ এটি ৭ অক্টোবরের হামলার পরিকল্পনাকারী সিনিয়র হামাস নেতাদের লক্ষ্য করেছিল।