Hi

০২:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ২০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পানির প্রবাহ বন্ধ করলে তা যুদ্ধের কাজ হিসেবে গণ্য হবে: পাকিস্তান

এবার পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, পাকিস্তানের পানির প্রবাহ যদি বন্ধ বা বাঁকানো হয়, তবে তা ‘যুদ্ধের কাজ’ হিসেবে বিবেচিত হবে।

সিএনএন-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দার বলেন, ‘জাতীয় স্বার্থে কখনও কখনও দেশগুলোকে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়, যেমনটা আমরা ৯ মে রাতে নিয়েছিলাম।’ তিনি বলেন, উভয় দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্মান ও রাষ্ট্রীয় পরিপক্বতা বজায় রেখে ইতিবাচক পথে এগিয়ে যাওয়া জরুরি। আমরা চাই পুরো প্রক্রিয়াটি মর্যাদা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার সঙ্গে এগিয়ে যাক।

দার আবারও পাকিস্তানের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমরা চাই সব বিষয় আলোচনা ও কূটনৈতিক পথে সমাধান হোক—যাতে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি ও স্থিতিশীলতার ভিত্তি গড়ে ওঠে।’ কাশ্মীর প্রসঙ্গে দার বলেন, এটি কেবল পাকিস্তানের দাবি নয়, বরং একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিরোধ।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতার প্রস্তাব নিয়ে প্রশ্নের জবাবে দার বলেন, ‘ট্রাম্পের এই প্রস্তাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ তিনি বলেন, এই দীর্ঘমেয়াদি বিরোধ নিরসনে যুক্তরাষ্ট্রসহ তৃতীয় পক্ষের সমর্থন দরকার। তিনি বলেন, ‘এই সমস্যার সমাধান দুই দেশের যৌথ উদ্যোগেই সম্ভব। এক হাতে তালি বাজে না। একতরফাভাবে পাকিস্তান কিছু করতে পারবে না।’

ইসহাক দার আরও বলেন, এমন বিষয়ে দেরি করা মানেই আরও জটিলতা বাড়ানো। তিনি বলেন, ‘সময়ক্ষেপণ এড়ানো সকল পক্ষের স্বার্থেই জরুরি।’ পাশাপাশি তিনি স্পষ্ট করে জানান, পাকিস্তান উত্তেজনা বাড়াতে চায় না এবং দেশটি ইতোমধ্যে তার কৌশলগত ভারসাম্য ও সার্বভৌম মর্যাদা দেখিয়ে দিয়েছে।

ট্যাগ :
লেখক সম্পর্কে তথ্য

হাজারো শঙ্খর ধ্বনি ও প্রদীপের আলোয় বিতর্কিত পুজোর– প্রতিমার নিরঞ্জন শোভাযাত্রা।

পানির প্রবাহ বন্ধ করলে তা যুদ্ধের কাজ হিসেবে গণ্য হবে: পাকিস্তান

আপডেট : ০৯:৩৫:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

এবার পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, পাকিস্তানের পানির প্রবাহ যদি বন্ধ বা বাঁকানো হয়, তবে তা ‘যুদ্ধের কাজ’ হিসেবে বিবেচিত হবে।

সিএনএন-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দার বলেন, ‘জাতীয় স্বার্থে কখনও কখনও দেশগুলোকে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়, যেমনটা আমরা ৯ মে রাতে নিয়েছিলাম।’ তিনি বলেন, উভয় দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্মান ও রাষ্ট্রীয় পরিপক্বতা বজায় রেখে ইতিবাচক পথে এগিয়ে যাওয়া জরুরি। আমরা চাই পুরো প্রক্রিয়াটি মর্যাদা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার সঙ্গে এগিয়ে যাক।

দার আবারও পাকিস্তানের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমরা চাই সব বিষয় আলোচনা ও কূটনৈতিক পথে সমাধান হোক—যাতে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি ও স্থিতিশীলতার ভিত্তি গড়ে ওঠে।’ কাশ্মীর প্রসঙ্গে দার বলেন, এটি কেবল পাকিস্তানের দাবি নয়, বরং একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিরোধ।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতার প্রস্তাব নিয়ে প্রশ্নের জবাবে দার বলেন, ‘ট্রাম্পের এই প্রস্তাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ তিনি বলেন, এই দীর্ঘমেয়াদি বিরোধ নিরসনে যুক্তরাষ্ট্রসহ তৃতীয় পক্ষের সমর্থন দরকার। তিনি বলেন, ‘এই সমস্যার সমাধান দুই দেশের যৌথ উদ্যোগেই সম্ভব। এক হাতে তালি বাজে না। একতরফাভাবে পাকিস্তান কিছু করতে পারবে না।’

ইসহাক দার আরও বলেন, এমন বিষয়ে দেরি করা মানেই আরও জটিলতা বাড়ানো। তিনি বলেন, ‘সময়ক্ষেপণ এড়ানো সকল পক্ষের স্বার্থেই জরুরি।’ পাশাপাশি তিনি স্পষ্ট করে জানান, পাকিস্তান উত্তেজনা বাড়াতে চায় না এবং দেশটি ইতোমধ্যে তার কৌশলগত ভারসাম্য ও সার্বভৌম মর্যাদা দেখিয়ে দিয়েছে।