Hi

০৮:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ২০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলের ওপর যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞা: গাজায় বর্বরতার জেরে বাণিজ্য স্থগিত


ইসরায়েলের ওপর যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞা: গাজায় বর্বরতার জেরে বাণিজ্য স্থগিত

গাজায় চলমান বর্বরতার কারণে ইসরায়েলের সাথে বাণিজ্য আলোচনা স্থগিতের পাশাপাশি পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। তবে, এই পদক্ষেপ তেল আবিবকে লক্ষ্য অর্জনের পথ থেকে সরাতে পারবে না বলে হুঁশিয়ার করেছে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র দপ্তর।1


ব্রিটিশ পদক্ষেপের ব্যাখ্যা

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের অধিবেশনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপের যৌক্তিক কারণ ব্যাখ্যা করেন। তিনি জানিয়েছেন, ইসরায়েলের সাথে মুক্ত বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত করে তেল আবিব থেকে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতকে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর পাশাপাশি, পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনে সহায়তার জন্য তিন ব্যক্তি ও চার প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কায়ার স্টারমার গাজায় ইসরায়েলের বর্বরতা নিয়ে কথা বলেছেন।2 তিনি বলেছেন, ইসরায়েলের অব্যাহত গোলাবর্ষণে ফিলিস্তিনি শিশুদের হত্যা সহ্য করা যায় না। তিনি অবিলম্বে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং সব জিম্মির মুক্তির আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।


ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া

এদিকে, ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বহিরাগত শক্তির চাপে তেল আবিব মাথা নত করবে না।3 সেখানে আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের বর্তমান সরকারের সাথে এমনিতেই মুক্ত বাণিজ্য আলোচনা খুব একটা এগোয়নি। নিষেধাজ্ঞাকে অযৌক্তিক উল্লেখ করে ইসরায়েল দাবি করেছে যে, ফিলিস্তিনিদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপে ইসরায়েলিরা আতঙ্কিত। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালেও ফিলিস্তিনে অবৈধ বসতি স্থাপনকারী একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল যুক্তরাজ্য।

ট্যাগ :
লেখক সম্পর্কে তথ্য

ফ্রিডম ফ্লোটিলার সব নৌযান একসঙ্গে গাজার পথে এগোচ্ছে: শহিদুল আলম

ইসরায়েলের ওপর যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞা: গাজায় বর্বরতার জেরে বাণিজ্য স্থগিত

আপডেট : ০৬:৩৫:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

ইসরায়েলের ওপর যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞা: গাজায় বর্বরতার জেরে বাণিজ্য স্থগিত

গাজায় চলমান বর্বরতার কারণে ইসরায়েলের সাথে বাণিজ্য আলোচনা স্থগিতের পাশাপাশি পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। তবে, এই পদক্ষেপ তেল আবিবকে লক্ষ্য অর্জনের পথ থেকে সরাতে পারবে না বলে হুঁশিয়ার করেছে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র দপ্তর।1


ব্রিটিশ পদক্ষেপের ব্যাখ্যা

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের অধিবেশনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপের যৌক্তিক কারণ ব্যাখ্যা করেন। তিনি জানিয়েছেন, ইসরায়েলের সাথে মুক্ত বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত করে তেল আবিব থেকে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতকে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর পাশাপাশি, পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনে সহায়তার জন্য তিন ব্যক্তি ও চার প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কায়ার স্টারমার গাজায় ইসরায়েলের বর্বরতা নিয়ে কথা বলেছেন।2 তিনি বলেছেন, ইসরায়েলের অব্যাহত গোলাবর্ষণে ফিলিস্তিনি শিশুদের হত্যা সহ্য করা যায় না। তিনি অবিলম্বে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং সব জিম্মির মুক্তির আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।


ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া

এদিকে, ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বহিরাগত শক্তির চাপে তেল আবিব মাথা নত করবে না।3 সেখানে আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের বর্তমান সরকারের সাথে এমনিতেই মুক্ত বাণিজ্য আলোচনা খুব একটা এগোয়নি। নিষেধাজ্ঞাকে অযৌক্তিক উল্লেখ করে ইসরায়েল দাবি করেছে যে, ফিলিস্তিনিদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপে ইসরায়েলিরা আতঙ্কিত। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালেও ফিলিস্তিনে অবৈধ বসতি স্থাপনকারী একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল যুক্তরাজ্য।