Hi

০৮:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ২০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চেক পর্বতে রহস্যময় গুপ্তধন: সোনা ও মুদ্রায় ৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা


উত্তর-পূর্ব চেক প্রজাতন্ত্রের ক্রকোনোসে পর্বতমালায় আরোহণের সময় দু’জন মাউন্টেন ক্লাইম্বার একটি রহস্যময় অ্যালুমিনিয়াম বাক্স খুঁজে পেয়েছেন। ওই বক্সটি খুলে তারা অমূল্য গুপ্তধন আবিষ্কার করেন।


বক্সে যা ছিল

ওই বক্সের ভেতরে ছিল ১০টি সোনার ব্রেসলেট, একটি পাউডার কম্প্যাক্ট, মোট ৫৯৮টি সোনার মুদ্রা এবং একটি চিরুনি। আজকের (২১ মে, ২০২৫) রেট অনুযায়ী, এই সোনার গুপ্তধনের মূল্য বাংলাদেশের টাকায় ৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা

স্থানীয় প্রত্নতত্ত্ববিদ মিরোস্লাভ নোভাক জানান, গুপ্তধন আবিষ্কারের পর দুজনেই নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিকটবর্তী এইচরাডেক ক্রালোভে শহরের পূর্ব বোহেমিয়া জাদুঘরে সেগুলো জমা দেন।


রহস্য ও গবেষণা

মুদ্রাগুলোর মধ্যে একটি ১৯২১ সালের গোল্ড কয়েন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে গোল্ড কয়েনগুলো একশ’ বছর পুরনো। কে বা কেন সেগুলো ওই দুর্গম পাহাড়ে লুকিয়ে রেখেছিল তা নিয়ে চলছে গবেষণা। জাদুঘরের মুদ্রা বিশেষজ্ঞ প্রথমে এটি পরীক্ষা করেন।

ক্রকোনোসে পর্বতমালা পর্যটকদের খুব প্রিয় একটি স্থান। বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, বক্সটি হয়তো কোনো ধনী পরিবার বা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর লুকানো সম্পদ হতে পারে। এই আবিষ্কার স্থানীয় ইতিহাসবিদ ও প্রত্নতত্ত্ববিদদের মধ্যে নতুন করে গবেষণার সূত্রপাত করেছে। তবে গুপ্তধনের আসল রহস্য এখনো অমীমাংসিতই রয়ে গেছে।

ট্যাগ :
লেখক সম্পর্কে তথ্য

ফ্রিডম ফ্লোটিলার সব নৌযান একসঙ্গে গাজার পথে এগোচ্ছে: শহিদুল আলম

চেক পর্বতে রহস্যময় গুপ্তধন: সোনা ও মুদ্রায় ৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা

আপডেট : ০৯:১৩:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

উত্তর-পূর্ব চেক প্রজাতন্ত্রের ক্রকোনোসে পর্বতমালায় আরোহণের সময় দু’জন মাউন্টেন ক্লাইম্বার একটি রহস্যময় অ্যালুমিনিয়াম বাক্স খুঁজে পেয়েছেন। ওই বক্সটি খুলে তারা অমূল্য গুপ্তধন আবিষ্কার করেন।


বক্সে যা ছিল

ওই বক্সের ভেতরে ছিল ১০টি সোনার ব্রেসলেট, একটি পাউডার কম্প্যাক্ট, মোট ৫৯৮টি সোনার মুদ্রা এবং একটি চিরুনি। আজকের (২১ মে, ২০২৫) রেট অনুযায়ী, এই সোনার গুপ্তধনের মূল্য বাংলাদেশের টাকায় ৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা

স্থানীয় প্রত্নতত্ত্ববিদ মিরোস্লাভ নোভাক জানান, গুপ্তধন আবিষ্কারের পর দুজনেই নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিকটবর্তী এইচরাডেক ক্রালোভে শহরের পূর্ব বোহেমিয়া জাদুঘরে সেগুলো জমা দেন।


রহস্য ও গবেষণা

মুদ্রাগুলোর মধ্যে একটি ১৯২১ সালের গোল্ড কয়েন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে গোল্ড কয়েনগুলো একশ’ বছর পুরনো। কে বা কেন সেগুলো ওই দুর্গম পাহাড়ে লুকিয়ে রেখেছিল তা নিয়ে চলছে গবেষণা। জাদুঘরের মুদ্রা বিশেষজ্ঞ প্রথমে এটি পরীক্ষা করেন।

ক্রকোনোসে পর্বতমালা পর্যটকদের খুব প্রিয় একটি স্থান। বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, বক্সটি হয়তো কোনো ধনী পরিবার বা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর লুকানো সম্পদ হতে পারে। এই আবিষ্কার স্থানীয় ইতিহাসবিদ ও প্রত্নতত্ত্ববিদদের মধ্যে নতুন করে গবেষণার সূত্রপাত করেছে। তবে গুপ্তধনের আসল রহস্য এখনো অমীমাংসিতই রয়ে গেছে।