ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এক বিস্ফোরক দাবি করেছেন যে, ইরানের শাসকগোষ্ঠী যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তাদের সবচেয়ে বড় শত্রু মনে করতো এবং তাকে হত্যার চেষ্টাও করেছিল। গতকাল রবিবার (১৫ জুন) ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু এই চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেন।
নেতানিয়াহু বলেন, “তারা (ইরান) তাকে (ট্রাম্প) হত্যা করতে চায়। তিনি ইরানের এক নম্বর শত্রু।” তিনি আরও জানান, ট্রাম্প ইরানের পারমাণবিক চুক্তি বাতিল করেছিলেন এবং ইরানের সামরিক কমান্ডার কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন, আর এ কারণেই তেহরান তাকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছিল। নেতানিয়াহুর মতে, ট্রাম্প সরাসরি জানিয়েছিলেন—ইরান পারমাণবিক অস্ত্র বানাতে পারবে না এবং ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণও চলবে না।
নিজের বিষয়েও নেতানিয়াহু ইঙ্গিত দেন যে তিনিও ইরানের লক্ষ্যবস্তু ছিলেন। তিনি জানান, একবার তার বাড়ির শোবার ঘরের জানালায় ক্ষেপণাস্ত্র এসে আঘাত হেনেছিল। নিজেকে ট্রাম্পের ‘জুনিয়র পার্টনার’ উল্লেখ করে নেতানিয়াহু বলেন, তারা দুজনই ইরানের পারমাণবিক পরিকল্পনার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছিলেন।
নেতানিয়াহু সতর্ক করে বলেন, ইরান দ্রুত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বানাচ্ছে—যেগুলো ইসরায়েলের শহরগুলোতে আঘাত হানতে সক্ষম। তিনি বলেন, “ইসরায়েলের মতো ছোট দেশ এত বড় হুমকি সহ্য করতে পারে না, তাই আমাদের ব্যবস্থা নিতে হয়েছে।”
তিনি আরও দাবি করেন, ইসরায়েলের সাম্প্রতিক সামরিক অভিযান ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে অনেকটা পিছিয়ে দিয়েছে এবং এটিকে ইতিহাসের অন্যতম সফল সামরিক পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেন। সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু অভিযোগ করেন, ইরানের নেতারা বিগত ৫০ বছর ধরে নিজেদের জনগণকে দমন করে আসছেন এবং একইসাথে ইসরায়েলকে ধ্বংস করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।