Hi

১২:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ২০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারতের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা ১৯৭১-এর প্রতিশোধ

সম্প্রতি ভারতের বিরুদ্ধে চালানো পাল্টা হামলাকে ১৯৭১ সালের যুদ্ধে পাকিস্তানের পরাজয়ের প্রতিশোধ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। বুধবার (১৪ মে) শিয়ালকোটের পাসরুর সেনানিবাসে “অপারেশন বুনইয়ান-উন-মারসুস”-এ অংশ নেওয়া সেনাদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ বলেন, “আমাদের সেনারা প্রমাণ করেছে যে তারা সজাগ, প্রস্তুত এবং দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানাতে সক্ষম। ভারতের অপ্ররোচিত আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তারা সাহসিকতা ও দৃঢ়তা প্রদর্শন করেছে। মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আমাদের সেনারা ভারতের হামলার উপযুক্ত জবাব দিয়ে ইতিহাস গড়ে তুলেছে।”

তিনি বলেন, “১৯৭১ সালে পাকিস্তান যে জাতীয় ক্ষোভের মুখোমুখি হয়েছিল, আজ আমরা সেই ক্ষোভের জবাব দিয়েছি। এটি পাকিস্তানের জন্য একটি গর্বের মুহূর্ত হিসেবে ইতিহাসে লেখা থাকবে।”

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উদ্দেশ করে শেহবাজ বলেন, “বিশ্ব জানে ১৯৭১ সালে মুক্তিবাহিনীকে কারা প্রশিক্ষণ দিয়েছিল। আজ সেই একই শক্তি বেলুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) ও তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানকে (টিটিপি) সমর্থন দিচ্ছে। এই সহিংসতা ও অস্থিতিশীলতা আপনার, মোদি সাহেব, নীতির ফল।”

তিনি আরও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “মোদি, আপনি যদি আবারও আগ্রাসনের পথ বেছে নেন, তবে তার ফলাফল হবে আপনার কল্পনারও বাইরে। আমরা শান্তি চাই, কিন্তু আমাদের শান্তিচেষ্টাকে দুর্বলতা ভাববেন না।”

ভারতের পানি প্রবাহ বন্ধের হুমকির প্রতিক্রিয়ায় পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পানি ও রক্ত একসঙ্গে বইতে পারে না। এটি আমাদের সীমারেখা— এখানে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।”

শেহবাজ শরিফের এই বক্তব্যে দক্ষিণ এশিয়ায় বিদ্যমান উত্তেজনা আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকেরা।

সূত্র: জিও টিভি

ট্যাগ :
লেখক সম্পর্কে তথ্য

হাজারো শঙ্খর ধ্বনি ও প্রদীপের আলোয় বিতর্কিত পুজোর– প্রতিমার নিরঞ্জন শোভাযাত্রা।

ভারতের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা ১৯৭১-এর প্রতিশোধ

আপডেট : ০৪:২৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

সম্প্রতি ভারতের বিরুদ্ধে চালানো পাল্টা হামলাকে ১৯৭১ সালের যুদ্ধে পাকিস্তানের পরাজয়ের প্রতিশোধ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। বুধবার (১৪ মে) শিয়ালকোটের পাসরুর সেনানিবাসে “অপারেশন বুনইয়ান-উন-মারসুস”-এ অংশ নেওয়া সেনাদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ বলেন, “আমাদের সেনারা প্রমাণ করেছে যে তারা সজাগ, প্রস্তুত এবং দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানাতে সক্ষম। ভারতের অপ্ররোচিত আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তারা সাহসিকতা ও দৃঢ়তা প্রদর্শন করেছে। মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আমাদের সেনারা ভারতের হামলার উপযুক্ত জবাব দিয়ে ইতিহাস গড়ে তুলেছে।”

তিনি বলেন, “১৯৭১ সালে পাকিস্তান যে জাতীয় ক্ষোভের মুখোমুখি হয়েছিল, আজ আমরা সেই ক্ষোভের জবাব দিয়েছি। এটি পাকিস্তানের জন্য একটি গর্বের মুহূর্ত হিসেবে ইতিহাসে লেখা থাকবে।”

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উদ্দেশ করে শেহবাজ বলেন, “বিশ্ব জানে ১৯৭১ সালে মুক্তিবাহিনীকে কারা প্রশিক্ষণ দিয়েছিল। আজ সেই একই শক্তি বেলুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) ও তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানকে (টিটিপি) সমর্থন দিচ্ছে। এই সহিংসতা ও অস্থিতিশীলতা আপনার, মোদি সাহেব, নীতির ফল।”

তিনি আরও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “মোদি, আপনি যদি আবারও আগ্রাসনের পথ বেছে নেন, তবে তার ফলাফল হবে আপনার কল্পনারও বাইরে। আমরা শান্তি চাই, কিন্তু আমাদের শান্তিচেষ্টাকে দুর্বলতা ভাববেন না।”

ভারতের পানি প্রবাহ বন্ধের হুমকির প্রতিক্রিয়ায় পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পানি ও রক্ত একসঙ্গে বইতে পারে না। এটি আমাদের সীমারেখা— এখানে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।”

শেহবাজ শরিফের এই বক্তব্যে দক্ষিণ এশিয়ায় বিদ্যমান উত্তেজনা আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকেরা।

সূত্র: জিও টিভি