Hi

০৪:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ২০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাক মন্ত্রীর দাবি: ভারতের কান্না ওয়াশিংটনে পৌঁছাতে দুই ঘণ্টাও লাগে না

পাকিস্তানের পরিকল্পনা মন্ত্রী আহসান ইকবাল দাবি করেছেন, তাদের দেশ ভারতের বিরুদ্ধে এমন কঠোর প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে যে, “মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যেই ভারতের কান্না ওয়াশিংটনে গিয়ে পৌঁছেছে।” নারোওয়ালে একটি উদ্ধার কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, এখন তাদের নেতৃত্ব “হামলা করব কি না” – এই দ্বিধায় ভোগে না, বরং সিদ্ধান্ত নেওয়ার ও জবাব দেওয়ার সাহস রাখে।

তিনি আরও দাবি করেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দক্ষতা ও সামরিক সক্ষমতা এতটাই উন্নত যে ভারতের কোটি কোটি ডলারের যুদ্ধবিমানগুলো “জং ধরা ধাতব টুকরোতে” পরিণত হয়েছে। আহসান ইকবালের মতে, বর্তমান নেতৃত্ব ও সেনাবাহিনী প্রমাণ করেছে যে যুদ্ধ সংখ্যা দিয়ে নয়, বরং দক্ষতা দিয়েই জয় করা যায়।

অন্যদিকে, পাকিস্তান সরকার “অপারেশন বুনিয়ান-উম-মারসুস”-এর সাফল্য তুলে ধরে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, কাশ্মীরের পেহেলগাম হামলা ছিল ভারতের সাজানো একটি “ফলস ফ্ল্যাগ অপারেশন”, যার উদ্দেশ্য ছিল পাকিস্তানকে দোষী সাব্যস্ত করা। হামলার ১০ মিনিটের মধ্যেই ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে এবং পাকিস্তান নিরপেক্ষ তদন্তের প্রস্তাব দিলেও ভারত তা প্রত্যাখ্যান করে।

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, ভারত মুরিদকে, বাহাওয়ালপুর ও মুজাফ্‌ফরাবাদে বিমান হামলা চালায়, যেখানে বেসামরিক নাগরিক ও ধর্মীয় স্থাপনার ক্ষতি হয়। এর জবাবে পাকিস্তান সীমিত ও লক্ষ্যভিত্তিক সামরিক প্রতিক্রিয়া দেখায়, যা শুধুমাত্র ভারতীয় সামরিক স্থাপনাগুলোতে আঘাত হানে। পাকিস্তান ভারতের যুদ্ধবিমান ধ্বংস, এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিষ্ক্রিয় এবং ব্রাহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। ভারত ড্রোনের মাধ্যমে সীমান্তে আতঙ্ক ছড়িয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়। পেহেলগাম পাকিস্তান সীমান্ত থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হলেও ভারতীয় মিডিয়া দ্রুত পাকিস্তানকে দায়ী করে, যদিও অনেক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সেই দাবির অসঙ্গতি তুলে ধরে। প্রতিবেদনের শেষে পাকিস্তান শান্তির পক্ষে থাকার কথা জানায়, তবে একইসঙ্গে নিজেদের ভূখণ্ড ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত বলেও উল্লেখ করে।

ট্যাগ :
লেখক সম্পর্কে তথ্য

শৈলকুপায় বজ্রপাতে ১ কৃষকের মৃত্যু

পাক মন্ত্রীর দাবি: ভারতের কান্না ওয়াশিংটনে পৌঁছাতে দুই ঘণ্টাও লাগে না

আপডেট : ০৬:৫৫:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫

পাকিস্তানের পরিকল্পনা মন্ত্রী আহসান ইকবাল দাবি করেছেন, তাদের দেশ ভারতের বিরুদ্ধে এমন কঠোর প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে যে, “মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যেই ভারতের কান্না ওয়াশিংটনে গিয়ে পৌঁছেছে।” নারোওয়ালে একটি উদ্ধার কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, এখন তাদের নেতৃত্ব “হামলা করব কি না” – এই দ্বিধায় ভোগে না, বরং সিদ্ধান্ত নেওয়ার ও জবাব দেওয়ার সাহস রাখে।

তিনি আরও দাবি করেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দক্ষতা ও সামরিক সক্ষমতা এতটাই উন্নত যে ভারতের কোটি কোটি ডলারের যুদ্ধবিমানগুলো “জং ধরা ধাতব টুকরোতে” পরিণত হয়েছে। আহসান ইকবালের মতে, বর্তমান নেতৃত্ব ও সেনাবাহিনী প্রমাণ করেছে যে যুদ্ধ সংখ্যা দিয়ে নয়, বরং দক্ষতা দিয়েই জয় করা যায়।

অন্যদিকে, পাকিস্তান সরকার “অপারেশন বুনিয়ান-উম-মারসুস”-এর সাফল্য তুলে ধরে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, কাশ্মীরের পেহেলগাম হামলা ছিল ভারতের সাজানো একটি “ফলস ফ্ল্যাগ অপারেশন”, যার উদ্দেশ্য ছিল পাকিস্তানকে দোষী সাব্যস্ত করা। হামলার ১০ মিনিটের মধ্যেই ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে এবং পাকিস্তান নিরপেক্ষ তদন্তের প্রস্তাব দিলেও ভারত তা প্রত্যাখ্যান করে।

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, ভারত মুরিদকে, বাহাওয়ালপুর ও মুজাফ্‌ফরাবাদে বিমান হামলা চালায়, যেখানে বেসামরিক নাগরিক ও ধর্মীয় স্থাপনার ক্ষতি হয়। এর জবাবে পাকিস্তান সীমিত ও লক্ষ্যভিত্তিক সামরিক প্রতিক্রিয়া দেখায়, যা শুধুমাত্র ভারতীয় সামরিক স্থাপনাগুলোতে আঘাত হানে। পাকিস্তান ভারতের যুদ্ধবিমান ধ্বংস, এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিষ্ক্রিয় এবং ব্রাহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। ভারত ড্রোনের মাধ্যমে সীমান্তে আতঙ্ক ছড়িয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়। পেহেলগাম পাকিস্তান সীমান্ত থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হলেও ভারতীয় মিডিয়া দ্রুত পাকিস্তানকে দায়ী করে, যদিও অনেক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সেই দাবির অসঙ্গতি তুলে ধরে। প্রতিবেদনের শেষে পাকিস্তান শান্তির পক্ষে থাকার কথা জানায়, তবে একইসঙ্গে নিজেদের ভূখণ্ড ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত বলেও উল্লেখ করে।