ইরানের পারমাণবিক ইস্যু নিয়ে তেহরানের সঙ্গে ওয়াশিংটনের আলোচনা চলাকালে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্য সফরে ইরানকে দুর্নীতিগ্রস্ত ও অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে আখ্যায়িত করেন। এর জবাবে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি শনিবার বলেন, “ট্রাম্প শান্তির কথা বলে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছেন।”
খামেনি আরও বলেন, “শান্তির নামে ট্রাম্প ইসরায়েলের হাতে ১০ টন বোমা তুলে দিয়েছেন, যা দিয়ে গাজায় শিশু হাসপাতাল ও সাধারণ মানুষের আবাসস্থলে বোমা বর্ষণ করা হয়েছে।” খামেনির এই বক্তব্যের পর জনসভাস্থল ইসরায়েলের বিরুদ্ধে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে।
মধ্যপ্রাচ্য সফরে ট্রাম্পের ইরান সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্যকে ‘মূল্যহীন’ আখ্যায়িত করে খামেনি গাজা রক্ষায় ইসরায়েলকে প্রতিহত করার আহ্বান জানান। তিনি ইসরায়েলকে ‘ভয়ঙ্কর এক ক্যান্সার’ হিসেবে অভিহিত করে গাজাকে বাঁচাতে হলে ইসরায়েলকে শেকড় থেকে উপড়ে ফেলার আহ্বান জানান।
তেহরানে নৌবাহিনীর এক সম্মেলনে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান ট্রাম্পের শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেন। তিনি বলেন, “গাজায় যখন দিনে দিনে শত শত ফিলিস্তিনির প্রাণ ঝরে যাচ্ছে, তখন কীভাবে ট্রাম্প শান্তি প্রতিষ্ঠার কথা বলেন?” তিনি আরও বলেন, “যিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন, তার শান্তির বার্তা বিশ্বাসযোগ্য নয়।”
এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার চলমান আলোচনা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। চার দফা বৈঠকের পরও দুই দেশ কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, “তেহরান তার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের ন্যায্য অধিকার কখনোই ত্যাগ করবে না।”