Hi

০৬:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ২০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজায় দুর্ভিক্ষ: ১৪ হাজার শিশু মৃত্যুর ঝুঁকিতে

জাতিসংঘ সতর্ক করেছে যে, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পর্যাপ্ত ত্রাণ না পৌঁছালে গাজায় প্রায় ১৪,০০০ শিশু মৃত্যুর মুখে পড়তে পারে। জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা প্রধান টম ফ্লেচার বিবিসি রেডিও ৪-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ইসরায়েল যে পরিমাণ ত্রাণ ঢুকতে দিচ্ছে, তা অত্যন্ত অপ্রতুল এবং গাজায় চলমান দুর্ভিক্ষ মোকাবেলায় মোটেই যথেষ্ট নয়।


অপর্যাপ্ত ত্রাণ সরবরাহ

ফ্লেচার জানান, আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সম্প্রতি গাজার ১১ সপ্তাহব্যাপী ত্রাণ অবরোধ আংশিকভাবে শিথিলের ঘোষণা দেন, তবে তা শুধুমাত্র ন্যূনতম মাত্রায়। তিনি বলেন, গতকাল গাজায় মাত্র পাঁচটি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে, যা ছিল ‘সমুদ্রের একফোঁটা’র মতো। এসব ট্রাকে শিশু খাদ্য ও পুষ্টিকর সামগ্রী থাকলেও সেগুলো এখনো সাধারণ মানুষের হাতে পৌঁছেনি, বরং সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থান করছে।


জাতিসংঘের উদ্বেগ

ফ্লেচার বলেন, “আমি চাই, পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় এই ১৪,০০০ শিশুর যতটা সম্ভবকে বাঁচাতে পারি।” এই সংখ্যা কীভাবে নির্ধারিত হয়েছে এমন প্রশ্নে তিনি জানান, তাদের শক্তিশালী মাঠ পর্যায়ের দল হাসপাতাল, স্কুলসহ বিভিন্ন স্থানে প্রয়োজন নির্ধারণে কাজ করছে। জাতিসংঘের এই সতর্কতা গাজায় চলমান মানবিক বিপর্যয়ের গভীরতাকে আবারও সামনে নিয়ে এসেছে।

ট্যাগ :
লেখক সম্পর্কে তথ্য

শৈলকুপায় বজ্রপাতে ১ কৃষকের মৃত্যু

গাজায় দুর্ভিক্ষ: ১৪ হাজার শিশু মৃত্যুর ঝুঁকিতে

আপডেট : ১০:৩৬:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

জাতিসংঘ সতর্ক করেছে যে, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পর্যাপ্ত ত্রাণ না পৌঁছালে গাজায় প্রায় ১৪,০০০ শিশু মৃত্যুর মুখে পড়তে পারে। জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা প্রধান টম ফ্লেচার বিবিসি রেডিও ৪-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ইসরায়েল যে পরিমাণ ত্রাণ ঢুকতে দিচ্ছে, তা অত্যন্ত অপ্রতুল এবং গাজায় চলমান দুর্ভিক্ষ মোকাবেলায় মোটেই যথেষ্ট নয়।


অপর্যাপ্ত ত্রাণ সরবরাহ

ফ্লেচার জানান, আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সম্প্রতি গাজার ১১ সপ্তাহব্যাপী ত্রাণ অবরোধ আংশিকভাবে শিথিলের ঘোষণা দেন, তবে তা শুধুমাত্র ন্যূনতম মাত্রায়। তিনি বলেন, গতকাল গাজায় মাত্র পাঁচটি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে, যা ছিল ‘সমুদ্রের একফোঁটা’র মতো। এসব ট্রাকে শিশু খাদ্য ও পুষ্টিকর সামগ্রী থাকলেও সেগুলো এখনো সাধারণ মানুষের হাতে পৌঁছেনি, বরং সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থান করছে।


জাতিসংঘের উদ্বেগ

ফ্লেচার বলেন, “আমি চাই, পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় এই ১৪,০০০ শিশুর যতটা সম্ভবকে বাঁচাতে পারি।” এই সংখ্যা কীভাবে নির্ধারিত হয়েছে এমন প্রশ্নে তিনি জানান, তাদের শক্তিশালী মাঠ পর্যায়ের দল হাসপাতাল, স্কুলসহ বিভিন্ন স্থানে প্রয়োজন নির্ধারণে কাজ করছে। জাতিসংঘের এই সতর্কতা গাজায় চলমান মানবিক বিপর্যয়ের গভীরতাকে আবারও সামনে নিয়ে এসেছে।