আওয়ামী লীগ নেতা এখন বিএনপির সার্চ কমিটিতে, কুষ্টিয়ায় তোলপাড়

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ায় বিএনপির লিফলেট বিতরণে বাধা দেওয়া এবং নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতন চালানোয় অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ মোস্তফা বর্তমানে কুষ্টিয়া পৌর ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সার্চ কমিটির সদস্য হওয়ায় শহরজুড়ে তীব্র সমালোচনা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

মোস্তফার অতীত ও বিতর্কিত ভূমিকা

জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় মোহাম্মদ মোস্তফা বিভিন্ন আওয়ামী লীগ নেতার সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর অকথ্য অত্যাচার চালিয়েছেন। বিএনপির লিফলেট বিতরণের সময় তিনি প্রকাশ্যেই বাধা দিতেন এবং নেতাকর্মীদের মারধর করতেন। নিজ এলাকায় সাধারণ মানুষের উপরও তার নির্মম নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। তাকে নিয়মিত আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে দেখা যেত।

রাজনৈতিক ভোলবদল: আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে?

তবে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মোস্তফার রাজনৈতিক ভোল পাল্টে গেছে। তিনি বিএনপির কিছু নেতার সাথে আঁতাত করে এখন কুষ্টিয়া পৌর ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সার্চ কমিটির সদস্য বনে গেছেন। তার এই অপ্রত্যাশিত পদপ্রাপ্তি স্থানীয় রাজনীতিতে আলোচনার ঝড় তুলেছে।

ত্যাগী নেতাকর্মীদের ক্ষোভ ও অভিযোগ

কুষ্টিয়া বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেছেন যে, কিছু বিএনপি নেতার ছত্রছায়ায় আওয়ামী লীগের এই নেতা সার্চ কমিটিতে স্থান পেয়েছেন। তাদের দাবি, তারেক রহমানের নির্দেশ অমান্য করে ‘দল ভারী করার’ উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগ নেতাদের দলে টানা হচ্ছে, যা দলের ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতাদের পদবঞ্চিত করছে এবং দলের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা ও ভাবমূর্তিকে হুমকির মুখে ফেলছে।

অপসারণের দাবি ও পৌর বিএনপির আশ্বাস

ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা অবিলম্বে মোহাম্মদ মোস্তফাকে সার্চ কমিটি থেকে বাদ দিয়ে একটি নতুন ও স্বচ্ছ কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া পৌর বিএনপির সদস্য সচিব একে বিশ্বাস বাবু বলেন, “আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। কমিটির কার্যক্রম আপাতত বন্ধ রয়েছে। তার যদি আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে ছবি থাকে, তবে তাকে অবশ্যই বাদ দেওয়া হবে। সিনিয়র কয়েকজন নেতা ওয়ার্ডের বিষয়টি দেখভাল করছেন।”