Hi

০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মহেশপুরে মিথ্যা মামলায় কৃষককে হয়রানি ও জমি দখলের অভিযোগ: সংবাদ সম্মেলন

মহেশপুরে মিথ্যা মামলায় কৃষককে হয়রানি ও জমি দখলের অভিযোগ: সংবাদ সম্মেলন

ঝিনাইদহ, ২৩ জুন ২০২৫: ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাঘাডাঙ্গা গ্রামে ক্ষমতার অপব্যবহার করে কৃষক আব্দুস সোবহানের জমি দখলের চেষ্টা এবং তাকে ঘন ঘন মিথ্যা মামলায় হয়রানি করে জেল খাটানোর অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী ওই কৃষক।

আজ রোববার (২৩ জুন) দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আব্দুস সোবহানের কিশোর পুত্র সাব্বির হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সোবহানের শিশু সন্তান সাঈম ও ভাতিজা হাসানুল

লিখিত বক্তব্যে দাবি করা হয়, আব্দুস সোবহান বাঘাডাঙ্গা মৌজায় পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত একটি ধানী জমি দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করে আসছেন। সেখানে ৩৫ বছর আগে স্থাপিত একটি সেচ পাম্প রয়েছে, যা দিয়ে নিজের চার বিঘা জমিসহ পার্শ্ববর্তী কৃষকদের জমিতে সেচ দেন। এই সেচ পাম্প তার পরিবারের আয়ের অন্যতম উৎস।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, তাদের শরীকানা জমি কিনে নিয়ে বাঘাডাঙ্গা গ্রামের রমজান আলীর ছেলে সালাহউদ্দিন বাড়ি করতে চান। আর এ কারণে তিনি বিচারিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে উক্ত জমির ওপর দিয়ে জোরপূর্বক রাস্তা নির্মাণের চেষ্টা করেন। এতে বাধা দিলে ওই সালাহউদ্দীন তার সেচ পাম্প ভেঙে ফেলেন এবং আশপাশের গাছ কেটে দিয়ে উল্টো কৃষক আব্দুস সোবাহানের নামে মিথ্যা ভূমি অপরাধ ও চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন।

অভিযোগে বলা হয়েছে, এসব মামলায় পবিত্র রমজান মাসে একবার এবং ঈদুল আজহার আগে আরেকবার তাকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠানো হয়। ফলে তার ছোট ছোট শিশু সন্তানরা ঈদ করতে পারেনি। মিথ্যা মামলার কারণে জামিন পেলেও তিনি আর্থিক ও মানসিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হন। জমি না দিলে তাকে আবারও গ্রেপ্তারের হুমকি দিচ্ছেন সালাহউদ্দীন।

সংবাদ সম্মেলনে আব্দুস সোবহান জানান, গত ১৭ জুন তার মামলার দিন নির্ধারিত ছিল। কিন্তু সালাহউদ্দীন বিচারিক ক্ষমতার প্রয়োগ করতে পারে এই আশঙ্কায় আদালতে হাজিরা দেননি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচার দাবি করেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে সালাউদ্দিনের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

বিষয়টি নিয়ে নেপা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বর ওবায়দুল ইসলাম জানান, সালাহউদ্দীন ও তার ভাই আব্দুল আলীম ওই জমি কিনে বাড়ি করতে চান। কিন্তু আব্দুস সোবাহান রাস্তা দিচ্ছে না। এ নিয়ে মূলত তাদের মধ্যে বিরোধ। তিনি আরও জানান, বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য মহেশপুর আদালতের আইনজীবীরা ঘটনাস্থলে এসেছিলেন, তারপরও বিরোধ মেটেনি।


ট্যাগ :
লেখক সম্পর্কে তথ্য

জনপ্রিয়

কেসি কলেজের ছাত্র মনির খান সারাদেশের মধ্যে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় জাতীয় মেধা তালিকায় তৃতীয়

মহেশপুরে মিথ্যা মামলায় কৃষককে হয়রানি ও জমি দখলের অভিযোগ: সংবাদ সম্মেলন

আপডেট : ০৮:১৫:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

মহেশপুরে মিথ্যা মামলায় কৃষককে হয়রানি ও জমি দখলের অভিযোগ: সংবাদ সম্মেলন

ঝিনাইদহ, ২৩ জুন ২০২৫: ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাঘাডাঙ্গা গ্রামে ক্ষমতার অপব্যবহার করে কৃষক আব্দুস সোবহানের জমি দখলের চেষ্টা এবং তাকে ঘন ঘন মিথ্যা মামলায় হয়রানি করে জেল খাটানোর অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী ওই কৃষক।

আজ রোববার (২৩ জুন) দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আব্দুস সোবহানের কিশোর পুত্র সাব্বির হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সোবহানের শিশু সন্তান সাঈম ও ভাতিজা হাসানুল

লিখিত বক্তব্যে দাবি করা হয়, আব্দুস সোবহান বাঘাডাঙ্গা মৌজায় পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত একটি ধানী জমি দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করে আসছেন। সেখানে ৩৫ বছর আগে স্থাপিত একটি সেচ পাম্প রয়েছে, যা দিয়ে নিজের চার বিঘা জমিসহ পার্শ্ববর্তী কৃষকদের জমিতে সেচ দেন। এই সেচ পাম্প তার পরিবারের আয়ের অন্যতম উৎস।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, তাদের শরীকানা জমি কিনে নিয়ে বাঘাডাঙ্গা গ্রামের রমজান আলীর ছেলে সালাহউদ্দিন বাড়ি করতে চান। আর এ কারণে তিনি বিচারিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে উক্ত জমির ওপর দিয়ে জোরপূর্বক রাস্তা নির্মাণের চেষ্টা করেন। এতে বাধা দিলে ওই সালাহউদ্দীন তার সেচ পাম্প ভেঙে ফেলেন এবং আশপাশের গাছ কেটে দিয়ে উল্টো কৃষক আব্দুস সোবাহানের নামে মিথ্যা ভূমি অপরাধ ও চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন।

অভিযোগে বলা হয়েছে, এসব মামলায় পবিত্র রমজান মাসে একবার এবং ঈদুল আজহার আগে আরেকবার তাকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠানো হয়। ফলে তার ছোট ছোট শিশু সন্তানরা ঈদ করতে পারেনি। মিথ্যা মামলার কারণে জামিন পেলেও তিনি আর্থিক ও মানসিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হন। জমি না দিলে তাকে আবারও গ্রেপ্তারের হুমকি দিচ্ছেন সালাহউদ্দীন।

সংবাদ সম্মেলনে আব্দুস সোবহান জানান, গত ১৭ জুন তার মামলার দিন নির্ধারিত ছিল। কিন্তু সালাহউদ্দীন বিচারিক ক্ষমতার প্রয়োগ করতে পারে এই আশঙ্কায় আদালতে হাজিরা দেননি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচার দাবি করেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে সালাউদ্দিনের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

বিষয়টি নিয়ে নেপা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বর ওবায়দুল ইসলাম জানান, সালাহউদ্দীন ও তার ভাই আব্দুল আলীম ওই জমি কিনে বাড়ি করতে চান। কিন্তু আব্দুস সোবাহান রাস্তা দিচ্ছে না। এ নিয়ে মূলত তাদের মধ্যে বিরোধ। তিনি আরও জানান, বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য মহেশপুর আদালতের আইনজীবীরা ঘটনাস্থলে এসেছিলেন, তারপরও বিরোধ মেটেনি।