Hi

০৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চৌহালী উপজেলায় ফিডিং কর্মসূচি বাদ: শিক্ষার্থীদের পুষ্টি নিয়ে উদ্বেগ!

সিরাজগঞ্জ, ২৪ জুন ২০২৫: প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পুষ্টি নিশ্চিত করতে দেশের ১৫০টি উপজেলায় ফিডিং কর্মসূচি চালু করেছে সরকার। তবে সিরাজগঞ্জ জেলার যমুনা নদী বিধ্বস্ত ও প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ চৌহালী উপজেলাকে এ প্রকল্পের বাইরে রাখায় স্থানীয় অভিভাবকদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

উপজেলাটি নদীভাঙন, দারিদ্র্য ও অবকাঠামোগত দুর্বলতার কারণে বরাবরই উন্নয়ন কার্যক্রমে পিছিয়ে রয়েছে। এই উপজেলায় শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ চরাঞ্চল ও প্রত্যন্ত এলাকা থেকে স্কুলে আসে, যাদের খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি ঝুঁকির মাত্রা তুলনামূলকভাবে বেশি।

জানা গেছে, ২০১০ সাল থেকে চৌহালী উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুষ্টি সমৃদ্ধ বিস্কুট বিতরণ কর্মসূচি চলমান ছিল। এ প্রেক্ষাপটে হঠাৎ করে নতুন প্রকল্প থেকে চৌহালীর নাম বাদ যাওয়ায় স্থানীয়রা বেশ হতাশ হয়েছেন।

স্থানীয় একাধিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অভিভাবকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা আশা করেছিলেন—দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা ও বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনায় চৌহালী ফিডিং কর্মসূচির আওতায় থাকবে। কিন্তু তালিকায় না থাকায় তারা উদ্বিগ্ন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ জানান, “বিষয়টি আমি জেলা শিক্ষা অফিসে কথা বলেছি। তারা বলেছেন যে, ফিডিং কর্মসূচির সিদ্ধান্ত হয়েছে ঢাকা থেকে।” তিনি আরও বলেন, “এখানে ফিডিং কর্মসূচি চালু থাকলে অবশ্যই ভালো হতো।”

প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদ অবশ্য আশার বাণী শুনিয়েছেন। তিনি বলেন, “১৫০ উপজেলায় ডিপিই এপ্রুভ করা আছে। তবে ৩৫৯ উপজেলায় অন্য প্রকল্পের মাধ্যমে ফিডিং কর্মসূচি চালু হবে এবং তখন কোনো উপজেলা বাদ থাকবে না।”

লেখক সম্পর্কে তথ্য

জনপ্রিয়

জামালগঞ্জে ৪ ব্যাংকের উদ্যোগে প্রকাশ্যে কৃষি ঋণ বিতরণ: ১১ কৃষক পেলেন পৌনে ১৮ লাখ টাকা

চৌহালী উপজেলায় ফিডিং কর্মসূচি বাদ: শিক্ষার্থীদের পুষ্টি নিয়ে উদ্বেগ!

আপডেট : ১০:৪২:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

সিরাজগঞ্জ, ২৪ জুন ২০২৫: প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পুষ্টি নিশ্চিত করতে দেশের ১৫০টি উপজেলায় ফিডিং কর্মসূচি চালু করেছে সরকার। তবে সিরাজগঞ্জ জেলার যমুনা নদী বিধ্বস্ত ও প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ চৌহালী উপজেলাকে এ প্রকল্পের বাইরে রাখায় স্থানীয় অভিভাবকদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

উপজেলাটি নদীভাঙন, দারিদ্র্য ও অবকাঠামোগত দুর্বলতার কারণে বরাবরই উন্নয়ন কার্যক্রমে পিছিয়ে রয়েছে। এই উপজেলায় শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ চরাঞ্চল ও প্রত্যন্ত এলাকা থেকে স্কুলে আসে, যাদের খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি ঝুঁকির মাত্রা তুলনামূলকভাবে বেশি।

জানা গেছে, ২০১০ সাল থেকে চৌহালী উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুষ্টি সমৃদ্ধ বিস্কুট বিতরণ কর্মসূচি চলমান ছিল। এ প্রেক্ষাপটে হঠাৎ করে নতুন প্রকল্প থেকে চৌহালীর নাম বাদ যাওয়ায় স্থানীয়রা বেশ হতাশ হয়েছেন।

স্থানীয় একাধিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অভিভাবকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা আশা করেছিলেন—দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা ও বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনায় চৌহালী ফিডিং কর্মসূচির আওতায় থাকবে। কিন্তু তালিকায় না থাকায় তারা উদ্বিগ্ন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ জানান, “বিষয়টি আমি জেলা শিক্ষা অফিসে কথা বলেছি। তারা বলেছেন যে, ফিডিং কর্মসূচির সিদ্ধান্ত হয়েছে ঢাকা থেকে।” তিনি আরও বলেন, “এখানে ফিডিং কর্মসূচি চালু থাকলে অবশ্যই ভালো হতো।”

প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদ অবশ্য আশার বাণী শুনিয়েছেন। তিনি বলেন, “১৫০ উপজেলায় ডিপিই এপ্রুভ করা আছে। তবে ৩৫৯ উপজেলায় অন্য প্রকল্পের মাধ্যমে ফিডিং কর্মসূচি চালু হবে এবং তখন কোনো উপজেলা বাদ থাকবে না।”